• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

এখন আমি বড় একা

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০১৯  

 

 

কেমন আছেন, প্রবাস জীবনের গল্প শুনতে চাই-

মহান সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় ভালো আছি। অনীককে ছাড়া কিছুই ভালো লাগে না। আমি থাকি ঢাকায়, আর অনীক কানাডায়। প্রিয় পুত্রকে সব সময় মিস করি। অনীক ছাড়া আমি বড় একা। তাই সময়-সুযোগ পেলেই কানাডায় ওর কাছে ছুটে আসি। এখন অনীকের কাছেই আছি।

 

 

প্রিয় পুত্রকে কাছে পেয়ে কেমন লাগছে?

ভালো লাগছে। কিন্তু ওকে তেমন করে কাছে পাই না। সেই সাত সকালে ইউনিভার্সিটির উদ্দেশে বেরিয়ে যায়। ফেরে সন্ধ্যার পর। আর যখন ও ফেরে তখন ভীষণ ক্লান্ত থাকে। দুটো খাবার মুখে দিয়ে শুয়ে পড়ে। আমি ওর চুলে বিলি কাটতে থাকি। একসময় ও ঘুমিয়ে পড়ে। ওকে গাড়ি ড্রাইভ করে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ইউনিভার্সিটিতে যেতে হয়। যখন তুষারপাত হয় তখন বরফের জন্য গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। আমার ভীষণ ভয় করে। নামাজ পড়ে আল্লাহতায়ালার কাছে ওর নিরাপত্তার জন্য দোয়া করি। এভাবেই অনীককে নিয়ে আমার সময় কাটছে।

 

অনীককে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর কথা ছিল, তাহলে তা কি হচ্ছে না?

না, একদিকে অনীকের ব্যস্ততা, অন্যদিকে এখন এখানে উইন্টার সিজন চলছে। আমি এখানে এলেই মাছ ধরতে যাই। মাছ শিকার করা আমার শখ। এবার যখন মাছ শিকারে গেলাম তখন দেখি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে। সামারেই শুধু এখানে মাছ শিকার করা যায়। সামার শেষ বলে মাছ শিকারও বন্ধ। অনীক ব্যস্ত বলে একা একা ঘুরে বেড়াতেও ভালো লাগে না।

 

তাহলে কানাডায় বলতে গেলে ঘরেই সময় কাটছে?

না, একেবারে ঘরে সময় কাটছে বললে ভুল হবে। বের হই সুইমিং করি। চিকিৎসকদের কথায় সুইমিং করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়ম করে এখানে সুইম (সাঁতার) করছি। আর কাঁচাবাজার করতে বের হতে হয়। বাসায় এসে অনীকের জন্য মজার সব রান্না করি। আমি না থাকলে ওকে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার ক্লান্ত শরীর নিয়ে রান্না করা থেকে শুরু করে ঘর মোছাসহ সবই করতে হয়। এখানে কাজের মানুষ খুব একটা পাওয়া যায় না। এখন আমি সব করছি। জীবনে কখনো ঘর মোছার মতো কাজ করিনি। এখন পুত্রের জন্য এসব করতে খুব আনন্দ লাগছে।

 

কখন দেশে ফিরছেন?

এখনো ঠিক করিনি। হয়তো বছরের শেষদিকে ফিরতে পারি। নিজ দেশে ফিরতে পারলে খুব ভালো লাগে। কারণ জন্মভূমির মতো প্রিয় স্থান আর কিছুই নেই। মাতৃভূমি সবার কাছে প্রাণের চেয়েও প্রিয়। আমার কাছেও তাই।

 

ঢাকার বাসায় ফুল-পাখি নিয়ে বেশ আনন্দে সময় কেটে যায় তাই না?

ফুল-পাখি বলি আর অন্য যা কিছুই বলি, আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমার আদরের ধন অনীক। ওকে ছাড়া চারদিকে শুধুই অসীম শূন্যতা। ঢাকায় এলে অনিকবিহীন একাকিত্ব আমাকে ভীষণভাবে গ্রাস করে। আমি আবার ছুটে যাই অনীকের কাছে। এবার ঢাকা ফেরার সময় অনীকের জন্য কমপক্ষে তিন মাসের খাবার একসঙ্গে রান্না করে ডিপ ফ্রিজে রেখে আসব। যাতে তিন মাস পর আবার আমার কানাডা আসা পর্যন্ত ওকে রান্নাবান্না নিয়ে আর কষ্ট করতে না হয়।

 

অভিনয় বা নির্মাণে আর ফিরবেন না?

ফেরার ইচ্ছা যে নেই তা কিন্ত নয়, তবে একদিকে মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ খুবই কমে গেছে। সিনেমা হলের সংখ্যা অল্প-স্বল্প যা আছে তাতে দর্শক ফিরছে না। কারণ সিনেমা হলের পরিবেশ ভালো নয়। আমি মনে করি, এখন বিশ্বব্যাপী সিনেপ্লেক্স কালচার চলছে।

তাই চলচ্চিত্রে প্রাণ ফেরাতে মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ ও সিনেপ্লেক্স বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে সবসময়ই আমি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমি চাই চলচ্চিত্র জগতের মানুষ আবার

ব্যস্ত হয়ে ওঠুক। দেশীয় এই প্রধান গণমাধ্যমটিতে আবার প্রাণের সঞ্চার হোক।

বরগুনার আলো