• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০১৯  

আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো খাই এ থেকেই শরীরের প্রবেশ করে কোলেস্টেরল। কোলেস্টেরলের মধ্যে ভাল খারাপ দুটোই আছে। এইচডিএল শরীরের জন্য উপকারে আসে আর এলডিএল বেশি হলে তা শরীরকে খারাপের দিকে নিয়ে যায়।

উচ্চ রক্তচাপ ও ওবেসিটি যেমন হার্টের সমস্যা করে তেমনি খারাপ কোলেস্টেরলের হাত ধরে হার্টে বাসা বাঁধতে পারে নানা অসুখ। তাই খারাপ কোলেস্টেরলকে অবহেলা করলে তার ফল খুব একটা সুখকর হয় না।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাবারের মাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল শরীরে গেলেই বিপদ। বেশি করে শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে তা পরিণত হয় ফ্যাটে। তখন দেহকোষগুলো বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল তৈরি করে। এই জাতীয় কোলেস্টেরল ধমনীর প্রাচীরে জমা হয় ও রক্তের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে।

তাদের মতে, খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ে প্রথম থেকে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে নানা জটিল অসুখের শিকার হতে হয়। তবে এই ডিজিজ নিয়ন্ত্রণও করা যায় লাইফস্টাইলের কিছুটা অদলবদল ঘটিয়ে। সারাদিনের কাজে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেয়া, কিছু ভুল বাদ দেওয়া এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়।

একজন সুস্থ সবল মানুষের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা হওয়া উচিত প্রতি ডেসিলিটারে ১৬০ মিলিগ্রামেরও কম। এক্ষেত্রে আপনি যদি কিছু অভ্যাস আয়ত্তে আনতে পারেন তবে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করা সম্ভব।

প্রতিদিনের খাবার থেকে বাদ দিন চর্বি জাতীয় মাংস, পাম তেল, ডালডা, নারিকেল, ডিমের কুসুম, মাখন, ঘি ইত্যাদি। কম তেল-মশলা হার্টের পক্ষে যেমন ভাল তেমনই তা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও রাখে নিয়ন্ত্রণে।

আর খাবারে রাখতে পারেন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফাইভার সমৃদ্ধ খাবার। যেমন শাকসব্জি, তরিতরকারি, বিভিন্ন ধরনের ফল, তার সঙ্গে ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারও ভাল।

শুধু এসব খাবারই নয় কোলেস্টেরল রুখতে প্যাকেটজাত খাবার বাদ দিতে হবে। যদি কিনতেই হয় তবে পুষ্টিগুণের সঙ্গে কতোটা ট্রান্স ফ্যাট আছে তাও দেখে নিতে হবে। কেননা এই ট্রান্স ফ্যাট থেকেও শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমতে পারে।

আপনার ওজন অনুযায়ী শরীরের কতটা পানি প্রয়োজন তাও জেনে নিন কোন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। তারপর নিয়ম মেনে প্রতিদিন সেই পরিমাণ পানি খান। শরীরের টক্সিন সরাতে দারুন কাজ করে পানি। যে কোন হার্টের অসুখ ৫০-৬০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে উপযুক্ত পরিমাণ পানি খাওয়ার প্রবণতা।

শরীরের ট্রাইগ্লিসারাইডকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে ও খারাপ কোলেস্টেরলকে রুখতে চাইলে প্রতিদিন একমুঠো বাদামই হতে পারে আপনার সমস্যার অন্যতম সমাধান। আমন্ড, বালিতে ভাজা বাদাম মিশিয়ে ২৫ গ্রাম ওজনের মতো নিন। বিকেলের টিফিনে তা খান। বাদাম শরীরে ভাল কোলেস্টেরল বাড়িয়ে থাকে।

এর সঙ্গে শরীরচর্চাকে বাদ দিলে চলবে না। জিম বা ব্যায়ামের সময় না পেলেও অন্তত প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট একটানা জোরে হাঁটুন। এতে কোলেস্টেরল যেমন কমবে তেমনি হার্টও থাকবে ভাল।

বরগুনার আলো