• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে

শরীরে একজিমা হলে যা করবেন

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের নারী পুরুষ অনেকেই চুলকানি নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসেন। এসব রোগীদের বিভিন্ন চর্মরোগের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত যে রোগটি সেটি হলো অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস (AD), যা একজিমা নামে বহুল পরিচিত। আজকে আলোচনা করবো একজিমা কী, কেন হয় এবং এতে করণীয় সম্পর্কে।

অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস বা একজিমা ত্বকের এক ধরণের প্রদাহ। এর ফলে ত্বক প্রচুর চুলকায়, লালচে হয়ে ফুলে উঠে, ত্বকে ফাটল দেখা দেয় এবং চুলকানোর ফলে আক্রান্ত স্থানগুলো থেকে কখনো কখনো পানির মত কিছুটা গাঢ় পরিষ্কার তরল পদার্থ বের হয়ে আসে। পরবর্তীতে সেখানে কালো স্পট পড়তেও দেখা যায়।

শিশুদের ক্ষেত্রে পুরো শরীরেই চুলকানি থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুর পিছনের অংশ, কনুইয়ের সামনের অংশগুলি বেশি আক্রান্ত হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের হাত ও পা বেশি আক্রান্ত হয়। এছাড়া শরীরের অন্যস্থানও আক্রান্ত হতে পারে।

একজিমার প্রকৃত কারণ এখনো অজানা। তবে ধারণা করা হয় জেনেটিক বা বংশগত কারণ ও ইমিউন সিস্টেমের ত্রুটিপূর্ণ কাজ অন্যতম। যাদের বংশে বা পরিবারে একজিমা, হাঁপানি, হে ফিভার বা খড় জ্বর থাকে তাদের এ সমস্যা বেশি হয়। এমন ব্যক্তিদের বলা হয় অ্যাটোপিক পারসন বা ব্যক্তি। তাদের বিভিন্ন পরিবেশে, এলার্জেন, ধুলোবালি, শুস্ক আবহাওয়া ও বিশেষ কিছু খাবারের কারণে এই রোগের প্রকটতা বেড়ে যায়।

অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস রোগে মূলত রোগের লক্ষণ দেখে ডাক্তাররা নির্ণয় করে থাকেন। এর জন্য তেমন কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। যেহেতু রোগের প্রকৃত কারণ এখনো অজানা, সেহেতু এর সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই যার দ্বারা রোগটি নিরাময় করা যায়। এটিকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ বলা হয়। চিকিৎসার মাধ্যমে এর প্রকটতা নিয়ন্ত্রনে রাখা হয়।

অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসের চিকিৎসা মূলত এন্টিহিস্টামিন ও টপিক্যাল স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া রোগের লক্ষণ, প্রকটতা ও ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের জন্য ডাক্তররা প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক ও মুখে স্টেরয়েড দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ভিটামিন-ডি ও প্রোবাওটিকের ভূমিকা রয়েছে বলে গবেষণায় জানা যায়।

অ্যাটপিক ডার্মাটাইটিস বা একজিমা হতে ভালো থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্বাস্থ্য সচেতনতা। যেমন যেসব পরিবেশে বা খাবারের কারণে চুলকানি হয় তা পরিহার করা। ধুলোবালি, রোদ, সিগারেটের ধোঁয়া এড়িয়ে চলা। সুঁতি কাপড় পরিধান করা। সাবান, স্যাভলন বা ডেটল পরিহার করা বা কম ব্যবহার করা বা কম ক্ষারীয় সাবান ব্যবহার করা বা সাবানের পরিবর্তে শরীরে শ্যাম্পু ব্যবহার করা। খুব অল্প সময়ে গোসল করা, ৫ থেকে ১০ মিনিটের বেশি সময় ধরে গোসল না করা। গোসলে ঠান্ডা পানির পরিবর্তে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা। সবসময় শরীরে লোশন, তেল বা ভ্যাজলিনের মত পেট্রোলিয়াম ব্যবহার করে দেহের আর্দ্রতা বজায় রাখা।

বরগুনার আলো