• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

হাতে কাঁশি দেওয়া যাবে না

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২০  

 


করোনাভাইরাস নিয়ে ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না। করোনাভাইরাসের অধিকাংশ রোগী ভালো হয়ে যায়। ঘরে বসে থাকলেও কিন্তু ভালো হয়ে যাবে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৮০ শতাংশ রোগীই ভালো হয়ে যায়। ভয়ের কিছু নেই। এ ভাইরাসে আক্রান্ত মাত্র ২০ শতাংশ রোগীকে হাসপতালে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে এবং ২/৩ শতাংশকে আইসোলেশনে নিতে হতে পারে। তবে আমাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতেই হবে। কারণ করোনাভাইরাসে নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। কোনো টিকাও নেই। প্রতিরোধ ও সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। ভাইরাস প্রতিরোধে হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করবেন। একবার ব্যবহারের পর রুমাল পরিষ্কার করে নেবেন। টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন, ব্যবহারের পর টিস্যু ফেলে দেবেন বা ডিসপোজিবল করবেন। যেখানে সেখানে ব্যবহৃত টিস্যু ফেলবেন না। ভালো হয় টিস্যুটা পুড়িয়ে ফেলতে পারলে। অনেকের অভ্যেস আছে হাতে কাঁশি দেয়। এটা করা যাবে না। করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর হাতে থেকে তা অন্যান্য স্থানে ছড়াতে পারে। অর্থাৎ রোগী যেখানে স্পর্শ করবেন সেখানেই এ ভাইরাস ছড়িয়ে যায়। দরজায় হাত দিলে সেখানে ছড়িয়ে পড়বে, চেয়ার টেবিলে স্পর্শ করলে সেখানে ছড়াবে, টেলিফোন, কীবোর্ড যাই স্পর্শ করবেন সেখানে ছড়াবে। এ জন্য বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে দিনে কয়েকবার হাত ধুবেন, কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড। এটা করা খুব জরুরি। ঘরের আসবাবপত্র, টেবিল চেয়ার, মেঝে পরিষ্কার রাখবেন। এ ভাইরাস অনেক ভারী ভাইরাস। কাঁশি দিলে বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না। আক্রান্ত রোগীর ৬ ফুটের মধ্যে যে থাকে সে সংক্রমিত হতে পারে। ভেজা কাপড় রোদে ভালো করে শুকাতে হবে। দিনে কয়েকবার ঘরের মেঝে পরিষ্কার করতে হবে। পারতপক্ষে করমর্দন করবেন না। কোলাকুলি বা আলিঙ্গন করবেন না। জনসমাগমে যত কম যাওয়া যায় তত ভালো। বেশি মানুষ যেখানে থাকে তা এড়িয়ে চলাই ভালো। হাট-বাজার, বাস, ট্রেন এড়িয়ে চলবেন। কার ভাইরাস আছে আমরা তো জানি না। আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কিন্তু বেশি। প্রয়োজন ছাড়া এমনি এমনি বাইরে কেউ যাবেন না। আর রাস্তায় ঢালাওভাবে সবার মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। শুধু আক্রান্ত রোগী মাস্ক ব্যবহার করলে হলো। একই মাস্ক বারবার ব্যবহার করবেন না। একবার ব্যবহারের পর পরিষ্কার করবেন। আতঙ্কিত হয়ে মাস্ক কিনতে দোকানে ভিড় করারও প্রয়োজন নেই। আক্রান্ত হলেই মারা যাবেন বিষয়টা এরকম নয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী কিন্তু ভালো হয়ে যায়। ঘরে বসে থাকলেও ভালো হয়ে যাবে এবং সাধারণ চিকিৎসায়ও ভালো হয়ে যাবে। তাই আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না ভীত সন্ত্রস্ত হবেন না। বাংলাদেশের  করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে প্রশাসন। বাংলাদেশে এখনো ব্যাপক হারে করোনাভাইরাস ছড়ায়নি। যাদের ভাইরাস ধরা পড়েছে তারা দেশের বাইরে থেকে আসছে। আক্রান্ত রোগী কিন্তু ভালো আছে, তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের আলাদা করে রাখা হয়েছে যাতে তারা এ ভাইরাস না ছড়াতে পারে। সুস্থ হলে তারা বাড়িতে চলে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে না ছড়ায়। এটাই আমাদের জন্য বেশি জরুরি। তাই আতঙ্ক নয় বাড়াতে হবে জনসচেতনতা। 

লেখক : অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ: প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

বরগুনার আলো