• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

কোন চাল বেশি উপকারী, লাল-বাদামি নাকি কালো?

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২০  

ভাত খেলেই বাড়বে ওজন। এই ভয়ে অনেকেই ভাত খাওয়া বাদ দিয়েছেন। বিশেষ করে সাদা চালের ভাত উপমহাদেশের সর্বাধিক প্রচলিত। আর এই সাদা চাল শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতির কারণ।

সাদা এবং চকচকে করার জন্য এই চালে প্রক্রিয়াজাত এবং পোলিশিংও করা হয়ে থাকে। তবে বাদামি, লাল এবং কালো চাল সাদা চালের চেয়ে তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যকর। এগুলোর বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। চালের প্রকারভেদ অনুযায়ী স্বাস্থ্য উপকারিতা-

বাদামি চাল বা ব্রাউন রাইস

ধান থেকে খোসা ছাড়িয়েই যে চাল পাওয়া যায় সেগুলোই মূলত ব্রাউন রাইস বা বাদামি চাল। এই চালের ভাত সাদা চালের ভাতের চেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। সাম্প্রতি বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলোতে মানুষ সাদা চালের তুলনায় বাদামি চাল বেশি খাচ্ছে। 

ফলে বাদামি চাল বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ব্রাউন রাইস সহজেই ভেঙে যায়। ফলে এটি সাবধানে রান্না করতে হয়। গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন এক কাপ বাদামী চালের ভাত খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।

লাল চাল বা রেড রাইস

লাল চালের রং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টোসায়ানিন নামক যৌগ থেকে আসে। যা লাল এবং বেগুনি রঙের শাকগুলোতে পাওয়া যায়। লাল চালের ভাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং আয়রন থাকে। ফলে এটি প্রদাহ কমায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করতেও সহায়তা করে। 

লাল চালের ভাত হজম করতে বেশি সময় লাগে বলে ক্ষুধা যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণ করে। যা ওজন হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই চাল দেখতে লালচে বাদামি বর্ণের তবে রান্না হওয়ার পরে গোলাপী রং ধারণ করে।

কালো চাল বা ব্ল্যাক রাইস

কালো চাল নিষিদ্ধ ধান হিসাবে পরিচিত। এটি বহু শতাব্দী ধরে চীনা খাবারের অংশ। এবং এই চাল কেবল রাজপরিবারের জন্য সংরক্ষিত ছিল। কালো চাল ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ফাইটোনিট্রিয়েন্টস, ফাইটোকেমিক্যালস, ভিটামিন-ই, প্রোটিন, আয়রন সমৃদ্ধ। 

ফলে এটি ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এই চাল দেখতে জেট কালো রঙের তবে রান্না করার পরে বেগুনি রঙের হয়। কালো চালের ভাতে প্রায় ১৬০ রকমের ক্যালরি থাকে। যা অন্যান্য চালের তূলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

সাদা চাল বা হোয়াইট রাইস

উপমহাদেশে সর্বাধিক প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত হয় সাদা চালের ভাত। সাদা চাল উচ্চস্তরের পরিশোধনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। ফলে থায়ামিন, ভিটামিন-বি এর মতো অন্যান্য কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টি হারাতে হয়। সাদা চালের ভাতে পুষ্টি কম। তবে এটি শক্তির ভাণ্ডার। এতে স্টার্চের ঘনত্বের কারণে যে কোনও চালের চেয়ে দেহে বেশি শক্তি দেয়।

বরগুনার আলো