অসুস্থরা যেভাবে নিবেন রোজার প্রস্তুতি
রমজান মাস শুরু হতে আর বেশি সময় বাকি নেই। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের রোগীরা রোজার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে সম্ভাব্য জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস থাকলে অনেকেই রোজা রাখতে ভয় পান। এতে ভয়ের কিছু নেই। তবে ভয়টা অমূলকও নয়। কারণ খাদ্যের ব্যাপারে তাদের ক্ষেত্রে উপদেশ হলো- সময়মতো এবং প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর খাবার খাবেন। যারা ইনসুলিন নেন, তাদের খাবারের আগে অর্থাৎ ১৫-২০ মিনিট আগে ইনসুলিন নিতে বলা হয়। এ জন্য রোজার সময় তারা বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে রোজা রাখলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। বিশেষ সতর্কতা আর নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চললে বেশিরভাগ ডায়াবেটিক রোগীই রোজা রাখতে পারেন। এ জন্য করণীয় হলো-
* প্রথমেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে নিন।
* কেননা অন্য সময়ের তুলনায় সাধারণত এ সময় মুখে খাওয়ার ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ কিছুটা কমিয়ে আনতে হয়। তিনবারের ওষুধ একবার বা দু’বারে এনে সমন্বয় করতে হবে। এ কাজ নিজে নিজে না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* এখন থেকেই সকাল বা দুপুরের ওষুধ রাতে এবং রাতের ওষুধ সেহরির সময় খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন। অর্থাৎ যারা মুখে খাওয়ার ওষুধ খান, তারা সকালের ডোজটি ইফতারের শুরুতে এবং রাতের ডোজটি অর্ধেক পরিমাণে সেহরির আধা ঘণ্টা আগে খাবেন।
* যারা দিনে একবেলা ওষুধ খান, তারা ইফতারের আগে একটু কম করে খাবেন।
* ইনসুলিনের ক্ষেত্রেও সকালের ডোজটি ইফতারের আগে, রাতের ডোজটি কিছুটা কমিয়ে সেহরির আধা ঘণ্টা আগে সমন্বয় করে নেবেন। কতটা কমাবেন, তা চিকিৎসক বলে দেবেন।
* দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে এ রকম কিছু ইনসুলিন এখন পাওয়া যায়। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে এসব ইনসুলিন দিনে একবার নিতে পারেন। এসবে হঠাৎ সুগার কমে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
গর্ভাবস্থায়
গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস রোজা না রাখাই শ্রেয়। কেননা ওই সময় মায়ের গর্ভে অনাগত শিশুর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হয় বলে এ সময় মায়ের শরীরে সঠিক মাত্রায় ও নির্দিষ্ট পরিমাণে পুষ্টি, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও পানি ইত্যাদি সরবরাহ করা জরুরি। এ সময় শিশুর জন্য দরকারি কোনো কিছুর অভাব ঘটলে পরবর্তী জীবনে তা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। এ সময় অনেকের বমি বমি ভাব থাকে বা বমি হয়, মাথা ঘুরায়, অনেকে খেতে পারেন না, ওজন কমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই এ তিন মাস রোজা না রাখাই উচিত।
* গর্ভকালীন মধ্যবর্তী তিন মাসে গর্ভবতী মায়েরা একটু ভালো বোধ করেন এবং এ সময় গর্ভস্থ বাচ্চার শারীরিক গঠনও তৈরি হয়ে যায়। এ সময় গর্ভবতী মা ইচ্ছা করলে রোজা রাখতে পারেন, যদি অন্য কোনো সমস্যা না থাকে।
* শেষের তিন মাস একজন গর্ভবতীকে বেশ সতর্ক হয়ে চলতে হয়। এ সময় বাচ্চা দ্রুত বাড়ে। তাই দু’জনের পুষ্টি নিশ্চিত করতে গর্ভবতীকে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে জোর দিতে হয়। তাই এ সময় রোজা না রাখাই শ্রেয়।
* এ ছাড়া যারা হাইরিস্ক প্রেগন্যান্সি বা ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ করা অবস্থায় রয়েছেন, যাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ রয়েছে, তারা রোজা না রাখলেই ভালো করবেন।
হৃদরোগ
জটিল বা ঝুঁকিপূর্ণ হৃদরোগী ছাড়া অন্য হৃদরোগীদের জন্য রোজা বেশ উপকারী। এ সময় নিয়ম মেনে চলা হয় বলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেই থাকে। হৃদরোগীদের জন্য পরামর্শ হলো-
* প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তিরা অনায়াসেই রোজা রাখতে পারেন, বয়োবৃদ্ধ হৃদরোগীদের রোজা না রাখাই উত্তম। বিশেষ করে পঞ্চাশোর্ধ্ব হার্টের রোগী, যারা বেশি দুর্বল, তারা দীর্ঘ সময় অনাহারে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন বলে তাদের রোজা রাখা অনুচিত। পাশাপাশি হার্ট ফেইলিওর রোগীদের রোজা রাখা উচিত নয়।
* আনকন্ট্রোল্ড অ্যানজাইনা বা নিয়মিত বুকের ব্যথা থাকে যাদের, তাদের তিন বেলা ওষুধ খেতে হয় বলে রোজা না রাখাই উচিত।
* হৃদরোগীদের রোজা রাখা অবস্থায় যদি খুব বেশি খারাপ অনুভব হয়, দ্রুত রোজা ভেঙে ওষুধ খাওয়া উচিত।
কিডনি রোগ
কিডনি রোগে আক্রান্তরা রোজা রাখতে পারবেন না- এমন কথা নেই। আকস্মিক কিডনি বিকল রোগে আক্রান্তরা এবং এন্ড স্টেজ রেনাল ফেইলিওর বা শেষ স্তরের কিডনি রোগীদের রোজা রাখা উচিত নয়। বরং রোগ নিরাময় হওয়ার পর রোজা রাখা যাবে।
* রক্তের ক্রিয়েটিনিন ৩০ শতাংশ বেড়ে গেলে, পটাসিয়াম বেড়ে গেলে রোজা রাখা ঠিক হবে না।
* যাদের কিডনি ফেইলিওরের মাত্রা শেষ পর্যায়ে, তাদের পক্ষে রোজা রাখা উচিত নয়।
* কিডনির পাথরজনিত রোগে যারা ভুগছেন, তারা রোজা রাখার সময় পুরো রমজান মাসে অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করবেন।
* ডায়ালাইসিস গ্রহণকারী রোগীদের রোজা রাখার প্রয়োজন নেই।
অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট
রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। তবে রোজা রাখা অবস্থায় ইনহেলার নেওয়া যাবে কিনা, এ বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে। কেননা ওষুধ সরাসরি রক্তে মিশে গেলে রোজা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে সঠিক নিয়মে ইনহেলার নিলে রক্তে ওষুধ মিশতে পারে না বা নগণ্য পরিমাণ মিশতে পারে। এ জন্য সেহরি ও ইফতারের সময় ইনহেলার নিলে ভালো হয়। হঠাৎ তীব্র শ্বাসকষ্ট হলে দেরি না করে চিকিৎসা দিতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
রোজার সময় কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশি হয়। এর কারণ- পানিশূন্যতা ও আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া। এ জন্য বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। বিশেষ করে ইফতারের সময় বা পরবর্তী সময় ইসবগুলের ভুসি, লাল আটা ও ঢেঁকিছাঁটা চাল খেতে পারলে ভালো উপকার মেলে। এরপরও সমস্যা থাকলে ল্যাক্সাটিভ ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
লেখক : ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং সাবেক ডিন (মেডিসিন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
বরগুনার আলো- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- সাদা পোশাক ঘেমে হলদেটে হয়ে গেলে কী করবেন?
- বানিয়ে ফেলুন ৪ স্বাদের লাচ্ছি
- সরকারি ক্রয় আইন পরিবর্তনের সুপারিশ
- সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা নিন
- প্লাস্টিক বর্জ্যে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীরা পড়বেন ব্ল্যাকলিস্টে
- বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
- আইফোন ১৬-তে যেসব নতুন ফিচার থাকছে
- শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতের শিক্ষক পাবে প্রাথমিক স্কুল
- সাত দিনে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর
- হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল ৭ মে পর্যন্ত
- চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী
- শিশুকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ সৎবাবার বিরুদ্ধে
- বরিশালে বেহুন্দি জালসহ ২ জেলে আটক
- উজিরপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কীম বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- পটুয়াখালীর মুগডাল যাচ্ছে জাপানে
- তৃতীয় বিয়ে করছেন শাকিব, এর মাঝেই আইনি ব্যবস্থার কথা বললেন বুবলী
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উন্নতিতে বড় সুবিধাভোগী উত্তর-পূর্ব ভারত
- জি কে শামীমের জামিন ঘিরে ফের প্রতারণা
- ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১
- উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠনের নির্দেশ ইসির
- প্রথম ধাপের ভোটে ১৪১ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন আজ
- এএসপি পদে পদোন্নতি পেলেন ৪৫ পুলিশ পরিদর্শক
- যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৪ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত
- সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে
- ছদ্মবেশে গাজীপুর ও নীলফামারীর হাসপাতালে দুদকের অভিযান
- প্রতিভা বিকাশে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না : টুকু
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- আদালতের রায়ের ওপরে কিছু নেই: বুয়েট উপাচার্য
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- প্রথম ধাপে বরিশালের ২ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান ১২ জন
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে