• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

যে গ্রামে মানুষ আর সাপ একসঙ্গে যেভাবে বসবাস করে!

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বহু মানুষ সংস্কারের বশে সাপকে দুধ-কলা দিয়ে পুজো করেন। মহাদেব বা মনসার সঙ্গে সাপের নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে গৃহস্থের সুখ-শান্তির জন্য সাপের পুজো করেন তারা।

কিন্তু জ্যান্ত সাপ যদি মানুষের সামনে ফনা তুলে দাঁড়ায়। শরীরের ঘাম ছুটে যায়। প্রাণে বাঁচতে এদিক-ওদিক পালাতে হয়, বা লাঠিপেটা করে করুণ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয় সেই বিষধর সাপকে। 

তবে ভারতের মহারাষ্ট্রের শ্বেতফল গ্রাম অনন্য এক নজির গড়ে তুলেছে। এ গ্রামে মানুষ আর সাপেদের মধ্যে অবাক করা সম্পর্ক। এখানে সাপ এবং মানুষ, কেউই একে অপরকে ভয় পায় না। অত্যন্ত বিষধর সাপও যখন-তখন গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এটাই ভারতের একমাত্র গ্রাম যেখানে এমন নজির গড়ে উঠেছে। এখানে সাপের কামড়ে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেনি।

পুণে থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে শ্বেতফল গ্রাম। এটি প্রায় ১,৭০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে। ২০১১ আদমসুমারি অনুযায়ী, এই গ্রামে মোট ৫১৭ পরিবারের বাস। জনসংখ্যা ২৩৭৪। শুষ্ক জলবায়ুর কারণে নানা প্রজাতির সাপেদের বসবাসের আদর্শ জায়গা এই গ্রাম।

এই গ্রামের প্রায় সবারই সাপের প্রতি অগাধ ভক্তি। এই গ্রামে কেউটে, চন্দ্রবোড়া, শাখামুটি-সহ নানা প্রজাতির বিষধর সাপ রয়েছে। গ্রামের বড়রাই শুধু নয়, বাচ্চারাও সাপকে ভয় পায় না। সাপ নিয়েই তারা খেলা করে, ঠিক যেন তাদের খেলনা।

এখানকার প্রতিটা বাড়িতেই সাপদের থাকার আলাদা ব্যবস্থাও রয়েছে। সাপ ইচ্ছামতো সময়ে ঘরে ঢুকে সেই স্থানে বিশ্রামও নেয়। আবার ইচ্ছা হলে বেরিয়েও যায়। বিশ্রামাগারে সব সময়ই সাপের খাবারও (দুধ) মজুত রাখা হয়। তবে এটা একদমই কুসংস্কার। সাপ সরীসৃপ প্রাণী। আর দুধ সরীসৃপদের জন্য বিষ।

এই গ্রামবাসীদের দাবি, এখানে সাপে কাটার ঘটনা ঘটেছে। গ্রামে সিদ্ধেশ্বরের একটি মন্দির রয়েছে। যেখানে সাতমুখো কেউটে সাপ সিদ্ধেশ্বরের মাথার উপর ফনা তুলে রয়েছে। তাদের মতে, তামার এই মূর্তিটি নাকি প্রতিবার সাপে কাটা রোগীকে প্রাণ ফিরিয়ে দেন।

এদিকে সাপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপ কখনো পোষ মানে না। এরা নিজেদের বিষের প্রয়োগ মাত্র দুই কারণে করে থাকে। একটি হলো শিকারের সময় এবং অপরটি নিজেকে বিপদ থেকে বাঁচাতে। অনেক সময় বিষাক্ত সাপ কামড় দিলেও বিষ ঢালে না।

অন্যদিকে কবে থেকে এবং কীভাবে শ্বেতফলবাসীর মধ্যে এই অভ্যাস শুরু হয়েছিল, তা কারোরই জানা নেই। তবে মহারাষ্ট্রের এই গ্রামের কথা সামনে আসার পর পর্যটকরা এখানে ভিড় করতে শুরু করেছেন। সাপের সঙ্গে মানুষের সহাবস্থান কাছ থেকে তারা দেখতে চান।

তবে এখানকার কেউ কেউ মনে করেন, এই গ্রাম পর্যটন বান্ধব করার জন্য সাপেদের উপরে নির্মম অত্যাচার চালানো হয়। সাপ যাতে কামড়াতে না পারে, তার বিষদাঁত ভেঙে ফেলা হয়, বিষগ্রন্থি পর্যন্ত ছিড়ে দেয়া হয়। অনেক সাপের মুখও নাকি সেলাই করে আটকে দেয়া হচ্ছে। ফলে না খেতে পেয়ে বা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক সাপ। এর ফলে তারা মারাও যাচ্ছে।

বরগুনার আলো