‘শান্তির দূত’ থেকে যেভাবে গণহত্যার কাঠগড়ায় সু চি
১৯৮৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় প্রায় ১৫ বছর নিজ দেশের সেনাবাহিনীর হাতে গৃহবন্দি ছিলেন মিয়ানমারের সংগ্রামী রাজনীতিক অং সান সু চি। বন্দিদশাতেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার থেকেছেন এ নেত্রী। ফলে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন শান্তি ও সংগ্রামের অবিতর্কিত এক প্রতীক।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম ও ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পান আধুনিক মিয়ানমারের জাতির জনক অং সানয়ের কন্যা সু চি।
দীর্ঘকাল বন্দিদশায় কাটিয়ে অবশেষে ২০১০ সালে মুক্ত হয়ে নতুন উদ্দীপনায় রাজনীতির পথে হাঁটতে শুরু করেন সু চি। এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিশাল জয় পায় তার নেতৃত্বাধীন দল। সু চি হন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর।
কিন্তু ভাগ্য যেন পরিহাস করে এ নেত্রীকে। দীর্ঘ কারাবাস ও নিপীড়ন শেষে তিনি যখন দেশের নেতৃত্বে, ঠিক সে সময়ই ২০১৭ সালে দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যাযজ্ঞ শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ভয়াবহ নিপীড়ন ও সহিংসতার মুখে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে যায় লাখ লাখ রোহিঙ্গা।
সারা বিশ্ব সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো মিয়ানমারের ওই সহিংসতার প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। সেনা অভিযান ও হত্যাযজ্ঞকালে নীরব ভূমিকার জন্য বিতর্কিত হতে শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী ও ‘শান্তির প্রতীক’ অং সান সু চি।
জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থেকে শুরু করে বেশিরভাগ দেশই এ ইস্যুতে মিয়ানমারকে কাঠাগড়ায় তোলার আহ্বান জানায়। প্রস্তাব ওঠে সু চির শান্তিতে পাওয়া নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারেরও। সার্বিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সময় তাকে দেওয়া নানান সম্মানজনক পুরস্কার, ডিগ্রি ও নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নেয় অনেক দেশ ও প্রতিষ্ঠান। এভাবেই দিনে দিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে থাকেন এককালের মানবাধিকারের প্রতীক সু চি ।
২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো ওই অভিযানকে ‘গণহত্যা’ উল্লেখ করে এরই মধ্যে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরে এ ইস্যুতেই ‘ইন্টারন্যাশন্যাল কোর্ট অব জাস্টিস’এ (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে তিন দিনব্যাপী সেই মামলার গণশুনানি শুরু হয়েছে। ভাগ্যরে নিদারুণ পরিহাস, যে সেনাবাহিনীর হাতে একদিন বন্দি ছিলেন আজ তাদেরই দুষ্কর্মের সাফাই গাইতে সেখানে হাজির হয়েছেন সু চি। গণহত্যা সংক্রান্ত মামলায় কাঠগড়ায় ‘শান্তির প্রতীক’!
সু চিকেই কেন দেশের পক্ষে লড়তে আন্তর্জাতিক আদালতে হাজির হতে হলো, এ নিয়েও বিশ্বব্যাপী বিতর্ক শুরু হয়েছে। এছাড়া সু চির বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- তার বেসামরিক সরকার সেনাবাহিনীর ‘বিদ্বেষমূলক প্রচারণা উস্কে’ দিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ‘আলামত ধ্বংস’ করেছে এবং সেনাবাহিনীর চালানো মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে করে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমার সরকারও নৃশংসতায় ভূমিকা রেখেছে বলে বলা হচ্ছে।
এদিকে মিয়ানমার বরাবরই গণহত্যা বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটির সেনাবাহিনীর দাবি, ‘সন্ত্রাসীদের’ নির্মূল করার জন্যই সে সময় রাখাইনে অভিযান চালায় তারা। নির্দিষ্ট কোনো সম্প্রদায়কে নির্মূল করার উদ্দেশ্যে ওই অভিযান ছিল না। তাদের মতে, রোহিঙ্গারা ‘অবৈধ অভিবাসী’।
নোবেলজয়ী সু চিও এ জায়গায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে একমত। বছরের পর বছর ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তিনি। তারও দাবি, কোনো সম্প্রদায়কে নির্মূলের উদ্দেশ্যে রাখাইনে কোনো অভিযান চালানো হয়নি।
বরং সেখানে চলমান সঙ্কটকে ভুলভাবে ব্যাখ্যার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অভিযুক্ত করেন সু চি। এর আগে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাখাইনে ‘উগ্রবাদী’ রয়েছে, যারা শান্তি চায় না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এসব উগ্রবাদের দিকে মনোযোগ না দেওয়ায় আমরা অসন্তুষ্ট।
সেনাবাহিনীকে সু চি ঠিক কী কী কারণে সমর্থন করছেন তা স্পষ্ট নয়। অনেকের ধারণা, নিজের দেশের পক্ষে অবস্থান নিতেই তিনি এটি করছেন। আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে নিজ দেশের হয়ে লড়তেই এ অবস্থান তার। এছাড়া ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের আগে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিলেও এ ধরনের অবস্থান নিতে পারেন সু চি।
এদিকে কেবল এবারের মতো নয়, মিয়ানমারের প্রতিনিধি হিসেবে সামনের বছরগুলোতেও গণহত্যা মামলার বিরুদ্ধে নিজের পক্ষে সাফাই গাইতে হবে সু চিকে। সব মিলিয়ে ইতোমধ্যেই বিশ্ববাসীর কাছে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে নিজের পূর্ব অবস্থান হারিয়ে ফেলেছেন এ নেত্রী। ধসে পড়েছে তার আগেকার সেই অবস্থান।
২০১৭ সালে গোটা বিশ্ব রাখাইনে সমকালের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক গণহত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ‘জেনোসাইড’ বা গণহত্যার মামলা করে গাম্বিয়া। জরুরি ভিত্তিতে এ মামলার বিচারকাজ শুরুর দাবি তাদের। রোহিঙ্গারা যেন আরও ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি নিশ্চিত করতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এ মামলার পরও ন্যায়বিচার পেতে আরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে রোহিঙ্গাদের। চূড়ান্ত রায় দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বছরের পর বছর সময় নেন। কিন্তু আদালত চাইলে যে কোনো ধরনের অন্তর্বর্তী আদেশ দিতে পারেন। মিয়ানমারের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন।
গাম্বিয়ার করা এ মামলার সূত্রে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তেমনই কোনো অন্তর্বর্তী আদেশ আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে নতুন করে চাপের মুখে পড়তে পারে দেশটি।
বরগুনার আলো- গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়লে দ্রুত যা করবেন
- বরফ পানি দিয়ে গোসল কি শরীরের জন্য ভালো?
- তরমুজের ললি আইসক্রিম বানাবেন যেভাবে
- ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
- ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে জাল ও ছাগল বিতরণ
- দেশের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নেত্রী
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা প্রতিবাদে ভোলায় ছাত্রলীগের কর্মসূচি
- বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য সর্বজনীন পেনশন মেলা
- বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে তুর্কি জাহাজ
- মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্বে শামসুল হক ফাউন্ডেশন
- আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের আহ্বান
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি
- সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল
- সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর
- সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে
- প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- প্রত্নসম্পদ বেহাত হওয়া ঠেকাতে নতুন আইন
- ইপিজেড পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল, আসবে দেড়শ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ!
- নির্বাচনে সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না: বরিশালের এসপি
- চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাইটার জেটি, বাড়ছে সক্ষমতা
- ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই খুন
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
- হাওড়-দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ৭০ শতাংশ ভর্তুকি, অন্যরা ৫০
- গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৭৬.২৫ পেয়ে প্রথম লামিয়া
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- ইস্তিসকার নামাজের সময় ও বিধি-বিধান
- প্রথম ধাপে বরিশালের ২ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান ১২ জন
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- সিনেমা হল ভেঙে হচ্ছে মাদরাসা
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
- অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে