• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বের দ্রুততম মানব ক্যালকুলেটর নীলকান্ত!

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২০  

মাথার মধ্যে অঙ্ক কষার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে প্রথম স্বর্ণপদক জয় করেছেন ২০ বছর বয়সী নীলকান্ত ভানু প্রকাশ।

দৌড়ের ক্ষেত্রে উসাইন বোল্ট যেমন, অঙ্কের ব্যাপারে নীলকান্ত ভানু প্রকাশ ঠিক সে রকম। খবর বিবিসির।

তিনি মনে মনে অঙ্ক করতে পারার বিষয়টিকে স্প্রিন্ট বা দৌড় প্রতিযোগিতার সঙ্গে তুলনা করেন।

ভানুর মতে, অঙ্ক একটি 'বিশাল মানসিক স্পোর্ট' এবং অঙ্ক নিয়ে মানুষের ভয় দূর করাই তার জীবনের মূল লক্ষ্য।

সবাই তাকে ডাকে ভানু নামে। তিনি বলেন, সবসময় সংখ্যার কথা তার মাথায় ঘোরে এবং তিনি এখন বিশ্বের দ্রুততম মানবক্যালকুলেটর।

নীলকান্ত ভানু বলেন, আপনি যদি খুব দ্রুত দৌড়তে পারেন, কেউ আপনাকে কোনোরকম প্রশ্ন করবে না; কিন্তু মনে মনে অঙ্ক করতে পারলে তা নিয়ে অনেকের মাথায় অনেক প্রশ্ন আসে।

আমরা উসাইন বোল্টের ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হই, যখন তিনি ৯.৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ান, তখন আমরা তা নিয়ে তাকে বাহবা দিই।

আমরা তখন কিন্তু বলি না– পৃথিবীতে গাড়ি আছে, বিমান আছে, অত দ্রুত দৌড়ানোর কী দরকার!

তিনি বলেন, ক্যালকুলেটর আছে বলে মাথা ব্যবহার করার দরকার নেই, এর পেছনে তো কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।

আসলে মানুষের দেহ যে অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারে, এটি মানুষের জন্য একটি অনুপ্রেরণার ব্যাপার- দ্রুত অঙ্ক করতে পারা বা মাথা ব্যবহার করে হিসাব করতে পারাটাও একইভাবে দেখা উচিত।

অনেকেই হয়তো বলবেন, ভানু অঙ্ক বিষয়ে অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে জন্মেছে, কিন্তু তার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি মোটেও তেমন নয়।

ভানুর যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন এক দুর্ঘটনায় মাথায় চোট পেয়ে এক বছর তাকে পুরো বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়। ওই সময়ই শুরু হয় মাথার ভেতর দ্রুত অঙ্ক করতে পারার ক্ষমতা তৈরিতে তার যাত্রা।

ভানু বলেন, আমার বাবা-মা বলেছিলেন আমার মস্তিষ্কের জখম হয়তো চিরদিনের মতো আমার মস্তিষ্কের ক্ষমতা নষ্ট করে দেবে। তাই মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখতে, সক্রিয় রাখতে আমি মনে মনে অঙ্ক করার কাজটা রপ্ত করি।

ভারতের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে তিনি। কাজেই তার জীবনের লক্ষ্য হওয়ার কথা পড়াশোনা করে একটা ভালো চাকরি জোগাড় করা।

কিংবা একটা ব্যবসায় ঢোকা। শুধু অঙ্ক নিয়ে পড়ে থাকা তার মতো পরিবারের ছেলের জন্য বিরল একটা অভিজ্ঞতা। কিন্তু সংখ্যা নিয়ে তার আগ্রহ ও পারদর্শিতার কারণে ভানু এখন অঙ্ক নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি শেষ করতে যাচ্ছেন।

এই প্রতিযোগিতায় জেতার জন্য বড় বড় প্রথম সারির প্রতিযোগীদের মতো ভানু যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।

তবে তিনি বলছেন, এটি টেবিলে বসে অনেক পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নেয়ার মত সহজ নয়, তিনি মনে করেন এটি মস্তিষ্কের বড় একটি খেলা। 'আমি প্রস্তুতির জন্য দ্রুত অঙ্ক করতে পারার বিষয়টি আয়ত্ত করার ওপর শুধু জোর দিইনি, আমি খুব দ্রুত সংখ্যা নিয়ে চিন্তার ক্ষমতা আয়ত্ত করেছি।

তার বয়স যখন খুব কম, তখন স্কুলের পড়ার বাইরে প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা অঙ্ক অভ্যাস করতেন। এখন অবশ্য তিনি আর প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিয়মমাফিক অভ্যাস করেন না।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তিনি বলছেন, আমি এখন নিয়মের কাঠামোর বাইরে গিয়ে মানসিক অঙ্কের অভ্যাস করছি, সেখানে আমি সারাক্ষণ সংখ্যা নিয়ে ভাবি, আমার মাথায় সবসময় সংখ্যা ঘোরে।

আমি খুব জোরে গান ছেড়ে দিয়ে অঙ্ক অভ্যাস করি। অনেক সময় লোকের সঙ্গে কথা বলার সময়, ক্রিকেট খেলতে খেলতে সংখ্যা নিয়ে ভাবি। কারণ মস্তিষ্কের গঠনই এমন যে সেটি একসঙ্গে অনেক কাজ করতে সক্ষম।

ভানু বলেন, 'আমি যখন কথা বলছি, তখন একই সঙ্গে আমার পাস দিয়ে যতগুলো ট্যাক্সি চলে গেছে, সবার নম্বর আমি বলে দিতে পারব।

কিংবা ধরুন, আমি একজনের সঙ্গে যখন কথা বলছি, তখন কতবার তিনি চোখের পলক ফেলছেন সেটি আমি গুনতে থাকি। এভাবে মস্তিষ্ককে সবসময় খাটানো যায়।

বরগুনার আলো