• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে

টেঁটায় গেঁথে মাছ শিকার

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৯ জুন ২০১৯  

ঘড়ির কাটায় যখন রাত নয়টা তখন এমন মানুষের আগমন ঘটে যাদের দেখে মনে হয় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। মনে কিছুটা ভীতির সঞ্চার হলেও ঘোর কাটে কাছে গেলে। আসলেই ডাকাত নয় তারা মাছ শিকারির দল।

এমনই দল দেখা যায় বরগুনার পাথরঘাটার কালমেঘা গ্রামে। যাদের বাম হাতে টর্চ, ডান হাতে টেঁটা ও কোমরে ঝুলানো চটের ব্যাগ। আষাঢ় মাসের আগমনী পেলেই তারা এ মাছ শিকারে নামেন।

কালমেঘা গ্রামের সর্দার বাড়ির আফজাল সর্দার ঝানু শিকারিদের একজন। শিকারে তার এ অঞ্চলে বিশেষ সুখ্যাতি আছে। প্রতি বছরই সবার আগে সবচেয়ে বড় বোয়াল মাছটা ঘরে তোলেন তিনি। শিকারের পদ্ধতি জানালেন আফজাল।

তিনি বলেন, আমাদের মুনশিয়ানায় বাঁশের ডগার আড়াই থেকে তিন হাতের অগ্রভাগে সাইকেলের পুরোনো স্পোকের এক দিক সুচালো করে ১২ বা ১৫টি স্পোক চিকন রশিতে বেঁধে তৈরি করা হয় টেঁটা। সন্ধ্যার পরপরই দল বেঁধে ফসলের মাঠে জমা পানিতে টর্চের আলোতে দেখা মিললে মুহূর্তেই শক্ত হাতের নির্ভুল নিশানায় টেঁটায় গেঁথে ফেলে শিকার করা হয় মাছ।

আফজাল বলেন, এ সিজনটায় দল বেঁধে মাছ শিকার ভিন্ন এক আমেজ। নতুন পানিতে আসা বোয়াল মাছ শিকারই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তবে গুলিশা প্রজাতির টেংরা মাছও ধরা পড়ে।

হতাশার স্বরে তিনি বলেন, এহন আর আগের মত জিয়াল মাছ পাওন যায় না। আগে নতুন পানিতে প্রচুর মাছ ধরা পড়ত। কিন্তু বর্তমানে জিয়াল মাছের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। দেশীয় প্রজাতির কিছু মাছ বিলুপ্ত প্রায়।

আফজাল মনে করেন, জলাশয় ভরাট হওয়ায় মাছের নিরাপদ বিচরণস্থল কমে আসছে। ফলে বংশ বিস্তার কম হয়। এছাড়া নদ-নদীতে বিভিন্ন প্রকার জালে প্রচুর পোনা মাছ ধরা পড়ে। ফলে দিন দিন জিয়াল মাছের সংখ্যা কমছে। এমন মৌসুমে ১৫ বছর আগে প্রায় প্রতিদিন দুই-চারটা বোয়াল শিকার করতেন তিনি। কিন্তু এখন প্রায়ই খালি হাতে ফিরতে হয়।

এ বছর এখনো বোয়াল শিকার করতে পারেননি কেউ। তবু নতুন পানি মাঠে এলেই হাত নিশপিশ করে আফজালের। মরিচা ধরা টেঁটায় শান দেয় তিনি, চার্জ দিয়ে টর্চ রেডি করে রাখেন। আর সন্ধ্যার পরেই শুরু হয় দল বেঁধে মাছ শিকার অভিযান। মাছ মিলুক অথবা না মিলুক, নতুন পানিতে মাছ-ব্যাঙদের এমন উৎসবের হানা দেয়া আফজালরা ঠিকই মেতে ওঠেন ভিন্ন এক উৎসবে।

বরগুনার আলো