• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যেতে হিমশিম খাচ্ছে বিএনপি

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০১৯  

নতুন করে আলোচনায় এসেছে নির্বাচনকালীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গ। এমন প্রেক্ষাপটে ঐক্যের অন্যান্য শরিকরা জোট টিকিয়ে রাখতে আগ্রহী হলেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিএনপি।

নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, রাজনৈতিক আদর্শ তথা নীতিগত কিছু বিষয়ে দ্বিমত হওয়ায় ফ্রন্টভুক্ত অন্য দলগুলোর সঙ্গেও বিএনপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দূরত্ব তৈরি হয়েছে ফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে। এসব কারণে নির্বাচনের পরে আনুষ্ঠানিক ও অর্থবহ কোনো বৈঠকও হয়নি। তবে ফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিএনপি। কারণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের তথা উদারপন্থী বলে পরিচিত ওই দলগুলো বিএনপির কাছ থেকে চলে গেলে দুদিক থেকেই সরকারের লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

ঐক্যফ্রন্ট গঠনে নিয়ামক ভূমিকা পালনকারী বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ভাষায়, ঐক্যফ্রন্ট মৃত্যুবরণ করেনি। প্রাণহীন অবস্থায় টিকে আছে। ঐক্যফ্রন্ট থাকবে কি না এ সিদ্ধান্ত বিএনপিকেই নিতে হবে। তবে আমি মনে করি, রাজনৈতিক আদর্শ তথা অবস্থানগত কারণে বিএনপিরই ফ্রন্টকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত। তার মতে, শুধু জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে চললে বিএনপি ভুল করবে।

জানা গেছে, বিএনপির মধ্যে দুই ধরণের ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে। একদিকে তারা মনে করছে, ফ্রন্টভুক্ত দলগুলোর নেতাদের ইমেজ কাজে লাগানো জরুরি। অন্যদিকে ওই দলগুলোর কাছ থেকে সাংগঠনিক বা ভোটের রাজনীতিতে বড় ধরনের কিছু পাওয়ার নেই বলেও বিএনপির অনেকে মূল্যায়ন করছেন। অথচ নির্বাচনে তাদের অনেক আসন ছাড়তে হবে। ঐক্যফ্রন্ট রক্ষা করতে গিয়ে এরই মধ্যে ২০ দলীয় জোট ভাঙনের মুখে পড়েছে। তাই রাজনীতির লাভ-ক্ষতির হিসাবের মধ্যেই আটকে আছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ।

সূত্র মতে, ড. কামাল হোসেনের ভূমিকার কারণে বিএনপির মধ্যেও কতগুলো প্রশ্ন সামনে এসেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়ার পরও নির্বাচনে তার অংশ না নেওয়া রহস্যজনক। দ্বিতীয়ত, জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখানোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ রাজনৈতিক নীতিগত বিষয়ে দৃশ্যমান পৃথক অবস্থান তৈরি হয়েছে বলেও তারা মনে করেন। গত ৩১ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের এক আলোচনাসভায় বঙ্গবন্ধুর নাম বললেও জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নাম না বলায় সভাস্থলেই বিক্ষোভ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনার বিষয়টি নিয়ে বরাবরই নীরব ছিলেন ড. কামাল হোসেন। কৌশলী ভূমিকায় প্রশ্নবিদ্ধ ড. কামালকে সামনে নিয়ে আর কতটা এগোনো যাবে সে নিয়েও সাম্প্রতিককালে বিএনপির মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয় সব সংকট ছাপিয়ে বিএনপি কী সিদ্ধান্ত নেয়।

বরগুনার আলো