ভোট কিনতে গিয়ে আটক বিএনপির এজেন্ট, ইশরাকের বাগড়া

ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কেনার প্রাক্কালে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন বিএনপির এজেন্ট মো. সেলিম হোসেন। এসময় ওই আসনের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবির প্রধান এজেন্ট ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে ওই এজেন্টকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের কাজে বাগড়া দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে শনিবার (২১ মার্চ) সকালে জিগাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বিএনপির এজেন্ট মো. সেলিম হোসেন। এসময় তিনি ভোটকেন্দ্রে আসা ভোটারদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করেন। বিষয়টি গোচরে এলে ওই এজেন্টকে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তোলে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। এ সময় দলীয় এজেন্টকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়াতে পুলিশ ভ্যানে উঠে পড়েন ইশরাক হোসেন। তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নির্বাচন চলাকালীন সময়ে আমাদের এজেন্টকে আটক করতে পারেন না। তাকে ছেড়ে দিন। নইলে ফল ভালো হবে না।

ভোটকেন্দ্রে আসা একাধিক ভোটার  জানান, সকাল থেকেই জিগাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবির পক্ষে ভোট চাইছিলেন সে দলের এজেন্ট মো. সেলিম হোসেন। এসময় তিনি জোরপূর্বক ভোটারদেরকে বলছিলেন, ভোট ধানের শীষেই দিও-আমরা তোমার পকেট ভর্তি করে দিবো। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ কয়েকজন প্রতিবাদ করলেও তিনি তা আমলে না নিয়ে বরং বেপরোয়াভাবে নিজের কাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করলে হঠাৎ করে এসে উপস্থিত হন প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবির প্রধান এজেন্ট ইশরাক হোসেন। এসময় তিনি পুলিশের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করেন এবং ওই এজেন্টকে গ্রেপ্তার করলে তার ফল ভালো হবে না বলে হুমকিও দেন। তার দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নেয়ার ঘটনায় উপস্থিত সবাই স্তব্ধ হয়ে যায়। এর আগে সকালে জিগাতলা কুইন্স কলেজ কেন্দ্রে ইশরাক হোসেন জোরপূর্বক বিএনপির ১২ জন এজেন্টকে ঢোকান। পরে এ নিয়ে উপস্থিত জনসাধারণের প্রতিরোধের মুখে পড়েন তিনি।

এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, মাঠের রাজনীতিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ দল বিএনপির জনসমর্থন তলানিতে। নিজেদের ব্যর্থতা নিরসনে উদ্যোগ না নিয়ে ও জনগণের কল্যাণে কাজ না করে উল্টো টাকা দিয়ে ভোট কেনার মতো হীন কাজ করছে। ইশরাক হোসেনের এমন অদ্ভুত আচরণ থেকে এটা সহজেই অনুমেয়, বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ কতোটা অস্বচ্ছ।