নিজেরা ত্রাণ লুট করে অন্যদের দোষ দিচ্ছে বিএনপি নেতারা!

চলমান করোনা সংকটের মধ্যেও থেমে নেই বিএনপির অপরাধকর্ম। এসময় তারা জনগণের পাশে না থেকে উপরন্তু নিজেদের মধ্যকার বিবাদে জড়িয়ে বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার কিশোরগঞ্জে নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ঘটলো ত্রাণ লুটপাটের ঘটনা। অথচ, দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার দলীয় লোকজনকে দোষারোপের চেষ্টা করছেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা।

এ কারণে তারা মিথ্যাচার করে সোমবার (১১ মে) কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই ত্রাণ লুটের ঘটনা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজনই ঘটিয়েছেন। বিশিষ্টজনদের অভিমত, উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো বিএনপি নেতাকর্মীদের পুরনো অভ্যাস। কিশোরগঞ্জের ঘটনাও তেমন একটি ঘটনা। তাই তাদের চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত সত্য জানুন। দেখবেন থলের বিড়াল বের হয়ে গেছে।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বহু আগে থেকেই। এমনকি গেল সংসদ নির্বাচন কিংবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও সে চিত্র প্রকাশ্য হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বিএনপির বিবদমান দুটি গ্রুপের রেষারেষিতে গত ৯ মে রাতে ত্রাণ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

অথচ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ১১ মে সংবাদ সম্মেলনে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের অর্থায়নে বাজিতপুর ও নিকলীতে দরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে উপজেলার বলিয়ারদী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের আফজাল মিয়ার বাড়িতে বিতরণের জন্য ২০০ প্যাকেট রাখা হয়। কিন্তু গত ৯ মে রাতে সরকার দলীয় লোকজন এসে জোর করে মালামালগুলো নিয়ে যান।

এই অভিযোগকে মিথ্যে অ্যাখ্যা দিয়ে স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে জানান, ঘটনাটা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। বিএনপির নেতৃবৃন্দের নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল ছিল। সেই জায়গা থেকে তারা নিজেরা ত্রাণ লুটপাট করে এখন অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, তাদের নিজেদের দোষ ঢাকতে তারা এখন সরকার দলীয় লোকজনকে দোষারোপ করছে। অথচ বছরের পর বছর তাদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এলাকাবাসী সবাই এ ঘটনা জানেন। দোষারোপের রাজনীতিতে বিশ্বাসী বিএনপি নেতৃবৃন্দ সরকারের বদনাম করতে এই কাজ করছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।