গুণ্ডামি করে লাভ নেই, ছাত্রলীগ মাঠে আছে: জয়

প্রেসক্লাবে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষের বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, আজকে জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা, ছাত্রদলের গুণ্ডাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, গুণ্ডামি করে লাভ নেই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাঠে আছে। গত দু’দিন আমরা দেখেছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তাদেরকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। ছাত্রদলের গুণ্ডারা সীমালঙ্ঘন করে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করেছে। বাঁশ দিয়ে তাদের উপর হামলা করা হয়েছে। অছাত্রদের সংগঠন ছাত্রদলকে আর অরাজকতার সুযোগ আমরা দেবো না।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আনন্দ র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে এই র‌্যালি করা হয়। এতে অংশ নেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত করিয়েছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে এটি আমাদের দেশের জন্য বড় অর্জন। তিনি এখন দেশরত্ন থেকে বিশ্বরত্ন।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে বলেন, করোনা মোকাবেলায় যখন সারাবিশ্ব হোঁচট খেয়েছে। হিমশিম খেয়েছে, সে সময় দেশে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রেখে বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলা করায় এখন জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা পৃথিবীতে একটি আশ্চর্য। বাংলাদেশের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, ছাত্রলীগের ইতিহাস। পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা এখানে স্থান পাবে না।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ যখন আজকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, যখনই আমরা কোনো সুখবর পাই, তখনই তাদের চুলকানি শুরু হয়। আপনারা দেখেছেন এই কোভিডের মধ্যে তারা একটার পর একটা ইস্যু তৈরি করে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার পায়তারা করেছে। তারা আল জাজিরার নাটক সাজানোর চেষ্টা করেছে, ছাত্রদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, এতোদিন তারা বলতো পুলিশ তাদের উপর হামলা করে, এখন আমরা দেখেছি পুলিশের উপর ছাত্রদলের গুণ্ডারা ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা করেছে। কারাভ্যন্তরে একজন লেখকের মৃত্যুকে ইস্যু করার পায়তারা করছে। বিপ্লবকে তারা ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছে। সকল যৌক্তিক আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্ব করবে।