• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

কেন মুহাররমের নয় তারিখও সিয়াম পালন করবেন?

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

 

ইমাম নববি (রহ.) বলেন, মুহাররমের নয় তারিখ সিয়াম মুস্তাহাব হবার হিকমত প্রসঙ্গে আমাদের সাথি এবং অন্যান্য আলিমরা বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন—

এক. এর উদ্দেশ্য হলো, ইহুদিদের বিরোধিতা করা। কারণ তারা কেবল একটি অর্থাৎ মুহাররমের দশ তারিখ সিয়াম পালন করতো।

দুই. আশুরার দিনের সিয়ামকে অন্য আরেকটি সিয়ামের সম্পৃক্ত করা। যেমনিভাবে এককভাবে জুময়ার দিন সিয়াম পালন করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। ইমাম খাত্তাবি ও অন্যান্যদের মত এটি। 

তিন. দশ তারিখের সিয়ামের ক্ষেত্রে চন্দ্র গণনায় ত্রুটি হয়ে ভুলে পতিত হবার আশঙ্কা থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে। হতে পারে গণনায় নয় তারিখ, কিন্তু বাস্তবে তা দশ তারিখ। 

আহলে কিতাবের বিরোধিতাই এর মধ্যে সর্বাধিক শক্তিশালী কারণ। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহ.) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বহু হাদিসে আহলে কিতাবদের সাদৃশ্য গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। যেমন, আশুরার ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন,

لَئِنْ عِشْتُ إلَى قَابِلٍ لاَصُومَنَّ التَّاسِعَ

‘যদি আমি আগামি বছর বেঁচে থাকি, তাহলে অবশ্যই নয় তারিখও সিয়াম রাখব।’ 

ইমাম ইবনু হাজার আসকালানি (রহ.) উপরোক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নয় তারিখে সিয়াম পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করার উদ্দেশ্য এই নয় যে, তিনি কেবল নয় তারিখেই সিয়াম পালনের  ইচ্ছা করেছেন বরং তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে, দশ তারিখের সিয়ামের সাথে নয় তারিখের সিয়ামকে সংযুক্ত করা। সাবধানতা বশত কিংবা ইহুদি-খৃস্টানদের বিরোধিতার জন্যে। এটিই অগ্রগণ্য মত। সহিহ মুসলিমের কিছু বর্ণনাও এদিকেই ইঙ্গিত করে। [আসকালানি, ফাতহুল বারি, ৪/২৪৫]

শুধু দশ তারিখ সিয়াম রাখার বিধান

ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘আশুরার সিয়াম এক বছরের গুনাহের কাফফারা আর শুধুমাত্র আশুরার একদিন সিয়াম পালন মাকরুহ হবে না।’ [ইবনু তাইমিয়্যাহ, আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা]

ইবনু হাজার হায়সামি রচিত তুহফাতুল মুহতাজ গ্রন্থে আছে, ‘আশুরার ক্ষেত্রে কেবল দশ তারিখ একটি সিয়াম রাখাতে কোনো অসুবিধা নেই।’

বরগুনার আলো