• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

যাদেরকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসলাম

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৯  

‘পরকীয়াতেও ক্ষান্ত হননি ভাই-বোন, এবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন তারা’ একই বাবার দুই সন্তানের পরস্পরের বিয়ে সংবাদ এটি। ইসলামের আলোকে এ বিয়ে সুস্পষ্ট নিষিদ্ধ। যাদেরকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ ও হারাম সে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন।

বিয়ে করার আগেই জেনে নেয়া দরকার যে, যাকে বিয়ে করছেন তার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কী? পাত্র-পাত্রীর সঙ্গে বংশগত, বৈবাহিক কিংবা ছোট বয়সে মায়ের বুকের দুধ পান করানোর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা?

সাম্প্রতিক সময়গুলোতে হারাম বিয়ের প্রবণতা মহামারি আকারে বাড়ছে। ভাই-বোন ছাড়াও স্ত্রীর বোনের সঙ্গে পরকীয়া ও পালিয়ে বিয়ের ঘটনা, অন্যের বৈধ স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয় করে বিয়ে, আপন খালার সঙ্গে বিয়ে, আপন বোনের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনাও ব্যাপক হারে ঘটে চলেছে। ইসলামে এসব বিয়েও হারাম।

যাদেরকে বিয়ে করা যাবে না, সে তালিকায় কুরআনে ১৪ জনের নাম এসেছে। সুতরাং বংশতগত, বৈবাহিক কিংবা দুধপান করানোর ভিত্তিতে যাদের সঙ্গে বিয়ে নিষিদ্ধ তাদের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে-
> তোমাদের মা।
> তোমাদের কন্যা।
> তোমাদের বোন।
> তোমাদের ফুফু।
> তোমাদের খালা।
> ভাইয়ের মেয়ে।
> বোনের মেয়ে।
> তোমাদের ওই মা, যারা তোমাদেরকে নিজেদের বুকে দুধ পান করিয়েছে।
> তোমাদের দুধ-বোন (বুকের দুধ পানকারীনী মায়ের মেয়ে)।
> তোমাদের স্ত্রীদের মা (শাশুরি)।
> তোমরা যাদের সঙ্গে সহবাস করেছ; সে সব স্ত্রীদের মেয়ে, যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে।
(লালন পালনে থাকা মেয়ের মায়ের সঙ্গে যদি সহবাসের সম্পর্ক না থাকে, তবে এ বিয়েতে তোমাদের কোনো গোনাহ নেই।
> তোমাদের নিজ ছেলেদের স্ত্রী (পুত্রবধু)।
> দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা।
কিন্তু অতীত যা হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু এবং
> অন্যের বৈধ স্ত্রীকে বিবাহ করা হারাম।’

বংশগত সম্পর্কের দিক থেকে যাদের বিয়ে করা হারাম। তারা হলো-
> আপন মা বিয়ে করা হারাম। মা থেকে উপরের দিকে নানি, নানির মা আবার মায়ের বোনসহ মা-এর মেয়ে সন্তান, সন্তানের সন্তানকেও বিধানের আলোকে বিয়ে করা হারাম।
> নিজের মেয়েকে বিয়ে করা হরাম। মেয়ে থেকে নিচের দিকে নাতনি (নিজ মেয়ের মেয়ে), নাতনির মেয়ে এভাবে নিচের দিকের মেয়েদের বিয়ে করা হারাম। এ ক্ষেত্রে ছেলের ঘরের নাতনিসহ নিচের দিকের মেয়েদেরও বিয়ে করা হারাম।
> আপন বোনকে বিয়ে করা। আবার বাবার অন্য স্ত্রীর মেয়েদেরও বিয়ে করা যেমন হারাম তেমনি মায়ের অন্য স্বামীর মেয়েকেও বিয়ে করা হারাম।
> বাবার আপন বোন ফুফুকে বিয়ে করা হারাম। আবার বাবার বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনকেও বিয়ে করা হারাম।
> মা-এর আপন বোনকে (খালা) বিয়ে করা হারাম। আবার মা-এর বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনকেও বিয়ে করা হারাম।
> ভাই-এর মেয়ে ভাতিজির সঙ্গেও বিয়ে হারাম। ভাই আপন হোক কিংবা বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় হোক।
> বোন-এর মেয়ে ভাগিনিকে বিয়ে করা হরাম। চাই সে বোন আপন হোক কিংবা বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় হোক।

বৈবাহিক সম্পর্কে যারা হারাম-
> স্ত্রীদের মাকে (শাশুড়ি) বিয়ে করা হারাম। স্ত্রীদের নানি, দাদিও এ বিধানের আলোকে হারাম।
> নিজ স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ের পর সহবাস করার পর স্ত্রীর অন্য স্বামীর ঔরসজাত মেয়েকে বিবাহ করাও হারাম।
> ছেলের বউকে বিয়ে করা হারাম। ছেলে শব্দের ব্যাপকতার কারণে পৌত্র ও দৌহিত্রের স্ত্রীকেও বিয়ে করা যাবে না।
> বংশ ও দুধ মায়ের দিকে থেকে দুই বোনকে এক সঙ্গে বিয়ে করা হারাম। স্ত্রীর ওই বোন হোক বৈমাত্রেয় কিংবা বৈপিত্রেয়। তবে যদি কোনো বোন মারা যায় কিংবা তালাকের মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন হয় তবে নির্ধারিত সময়ের পর অন্য বোনকে বিয়ে করা যাবে।

বুকের দুধ পান করানোর কারণে যাদের দিয়ে করা হারাম
কুরআনে বিধান মতে দুধ মা ও দুধ বোনকে বিয়ে করা হারাম। যদি কোনো ছেলে কিংবা মেয়ে কোনো নারীর বুকের দুধ নির্দিষ্ট সময়কাল (২ বছর) পান করে তবে ওই সন্তানের জন্য দুধ পান করানো নারী তার মা, নারীর স্বামী তা বাবা, নারীর নিজ ছেলে মেয়ে তার ভাই-বোন, নারীর বোন তার খালা, স্বামীর বোন তার ফুফু হয়ে যায়। আর তাদের সঙ্গে সে সন্তানের বিয়েও হারাম হয়ে যায়।

তবে...
খালাতো, মামাতো, ফুফাতো বা চাচাতো বোনদের বিয়ে করা হারাম নয়। চাচার মৃত্যুর পর কিংবা চাচার কাছ থেকে তালা পাওয়া নারীকেও বিয়ের বৈধতা দিয়েছে ইসলাম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিয়ের ক্ষেত্রে কুরআন সুন্নাহর বিধান মোতাবেক বিয়ে করার তাওফিক দান করুন। সব অবৈধ সম্পর্ক ও পরকীয়ার পাশাপাশি অবৈধ বিয়ে থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বরগুনার আলো