• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

ট্রল করা মুমিনের কাজ নয়

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 

কাউকে নিয়ে ট্রল বা ব্যঙ্গ করা মুমিনের কাজ নয়। আর সব বিষয়ে মজা নেওয়া ব্যক্তিত্বহীনতার পরিচয়। কারণ মুমিন কখনো অন্যকে বিদ্রুপ করতে পারে না। কারও দোষচর্চা করতে পারে না। কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে পারে না। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অপর সম্প্রদায়কে বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর কোনো নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ উপনামে ডেকো না। ঈমানের পর মন্দ নাম কতই না নিকৃষ্ট! আর যারা তওবা করে না, তারাই তো জালিম।’ (সুরা হুজরাত :১১)

এ আয়াতে কোনো সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়কে নিয়ে বিদ্রুপ করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকার মানুষ নিয়ে, এক জেলা অন্য জেলা নিয়ে, এক দল অন্য দলকে নিয়ে হরহামেশাই ট্রল করে থাকি। কারও কারও অবস্থা দেখে মনে হয়- এরা ট্রল করাকে কাজ মনে করে।

কারও অপারগতা, কারও অসুস্থতা, কারও মৃত্যু নিয়ে ট্রল করার প্রশ্নই ওঠে না। হজরত আবু বকর (রা.) অসুস্থ হলে একটি কবিতা পড়তেন, যার ভাবার্থ এমন- ‘প্রতিটি ব্যক্তিকে নিজ পরিবারে সুপ্রভাত বলা হয়, অথচ মৃত্যু তার জুতার ফিতার চেয়েও অতি নিকটে।’ মানুষকে যে কোনো সময় আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে হতে পারে। কেউ জানে না, কখন, কোথায়, কীভাবে আল্লাহ তাকে তলব করবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘কেউ জানে না, আগামীকাল সে কী অর্জন করবে। আর কেউ জানে না, কোন স্থানে সে মারা যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ।’ (সুরা লুকমান :৩৪)

এ কারণে মুসলিম-অমুসলিম কারও অসুস্থতা ও মৃত্যু নিয়ে ট্রল করতে নেই। হাদিসে আছে, একদিন রাসুলের (সা.) পাশ দিয়ে একটি জানাজা যাচ্ছিল। তখন তিনি দাঁড়িয়ে যান। এ সময় তাকে বলা হয়েছিল, জানাজাটি একজন ইহুদির। তিনি বলেছিলেন, ‘সেকি মানুষ নয়?’ (সহিহ বুখারি :১৩১২)

মহানবি (সা.) একজন অমুসলিমের মৃত্যুতেও সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। অথচ আমরা নোংরা রাজনীতি করতে গিয়ে হিংসার বশীভূত হয়ে অপর মুসলিমকে নিয়ে কুৎসা রটনা করছি প্রতিনিয়ত। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কারও প্রতি (খারাপ) ধারণা থেকে বিরত থাকো। কেননা, কারও প্রতি (খারাপ) ধারণা করা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। তোমরা অন্যের দোষ অন্বেষণ করো না, অন্যের পেছনে গোয়েন্দাগিরি করো না, পরস্পর হিংসাকাতর হয়ো না, একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করো না এবং পরস্পর বিরোধে লিপ্ত হয়ো না। বরং তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে থেকো।’ (সহিহ বুখারি : ৬০৬৪)

বরগুনার আলো