• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

যেসব ক্ষেত্রে গিবত করা জায়েজ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২০  

গিবত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ পরনিন্দা, দোষারোপ করা, অনুপস্থিত থাকা, পরোক্ষে নিন্দা, পরচর্চা করা, কুৎসা রটনা করা, পেছনে সমালোচনা করা। অন্যের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করা, কুৎসা রটনা করা, পেছনে সমালোচনা করা ইত্যাদি।

শরীয়তের পরিভাষায় গিবত বলতে বুঝায় কোনো ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার সম্পর্কে এমন কথা বলা যা শুনলে সে তা অপছন্দ করবে।

গিবত করার মাধ্যম (চোখের ইশারায়, অঙ্গভঙ্গিতে, শ্রবণে ও লিখনে গীবত): পরনিন্দা কেবল মুখের বাক্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং চোখের ইশারায়, অঙ্গভঙ্গিতে, শ্রবণে ও লিখনের দ্বারাও গিবত হয়ে থাকে। সর্বপ্রকার গিবতই হারাম।

গিবত করা বা পরনিন্দা করা হারাম। এ কথাটি একজন সাধারণ মুসলমানও জানে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের বা দলের গিবত বলা জায়েজ, এই কথাটা অনেকেই জানে না। যার কারণে গিবতকারী গিবতকারী বলে চিল্লা চিল্লি করে।

কিছু মানুষ এমন আছে যে, সে নিজে খারাপ, কিন্তু তার কারণে অন্যলোক ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। এমন লোকের অনুপস্থিতিতে তার নিন্দা করা যাবে না। করলে গিবত হবে।

কিছু লোকের চরিত্র এমন যে, সে নিজেও ধ্বংশ হয়েছে এবং অন্যকেও ধ্বংশ করতেছে। এমন লোকের ধ্বংশাত্বক ছোবল থেকে অন্যকে বাঁচানোর উদ্দ্যেশে তার খারাপ চরিত্রের কথা মানুষকে জানিয়ে দেয়া গিবতের অন্তর্ভুক্ত নয়।

যেমন: আপনার এলাকাতে একজন প্রশিদ্ধ ডাকাত আছে, তা ভাষা খুবই মিষ্টি। সে মিষ্টি কথার দ্বারা মানুষকে বশীভূত করে ফেলে এবং সুযোগমতো কৌশলে মানুষের অনিষ্ট করে। এমতাবস্তায় আপনি দেখলেন যে, আপনার ঘনিষ্ট একজন আত্নীয় তার খপ্পরে পড়ে যাবার উপক্রম। এখন আপনি কি করবেন? এখন আপনার একান্ত কর্তব্য হলো, ডাকাতের চরিত্রকে প্রকাশ করা। যদি না করেন তাহলে আপনার আত্নীয়ের সবকিছু ধ্বংশ করে দেবে। এই হলো সাধারণ ব্যাপার। আর যে দল বা গোষ্টি প্রতারনার ফাদ পেতে লাখ লাখ লোকের ঈমান আমল নষ্ট করছে তাদের মন্দ দিকগুলো সাধারণ জনগনের নিকট প্রকাশ করা ফরজ।

যেসব ক্ষেত্রে গিবত করা জায়েজ:

গিবতের ক্ষতিকর প্রভাবে ব্যক্তি থেকে সমাজের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে শধু ইসলাহের উদ্দেশ্যে ও নেকির আশায় জনকল্যাণার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমালোচনা করা যায়। যেটা আসলে গিবত নয়। বরং সত্য তুলে। যেমন: 

(১) অত্যাচারীর অত্যাচার প্রকাশ করার জন্য। 
(২) সমাজ থেকে অন্যায় দূর করা এবং পাপীকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য। 
(৩) হাদিসের সনদ যাচাইয়ের জন্য। 
(৪) মুসলিমদেরকে মন্দ থেকে সতর্ক করার জন্য। 
(৫) পাপাচার ও বিদাত থেকে সাবধান করার জন্য। 
(৬) প্রসিদ্ধ নাম বলে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য! যাতে করে লোকেরা এদের চিনতে পারে। (নববী, রিয়াযুছ ছালেহীন, ২৫৬ অনুচ্ছেদ, পৃঃ ৫৭৫; মুসলিম হা/২৫৮৯ ‘গিবত হারাম হওয়া’ অনুচ্ছেদ, নববীর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)।

বরগুনার আলো