• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

খাওয়ার সময় সালাম দেয়া নেয়ার বিধান

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২০  

সালাম আরবি শব্দ, এর অর্থ হচ্ছে শান্তি, প্রশান্তি, কল্যাণ, দোয়া, শুভকামনা। সালাম একটি সম্মানজনক, অভ্যর্থনামূলক, অভিনন্দনজ্ঞাপক, উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন পরিপূর্ণ ইসলামি অভিবাদন। 

‘সালাম’ আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম। (সুরা-৫৯ হাশর, আয়াত: ২৪)।

ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য প্রকাশ পায় সালামের মাধ্যমে। সালাম পরস্পরে সম্পর্ক বৃদ্ধি করে, ভালোবাসা গভীর করে। বেশি বেশি সালাম প্রদানের ব্যাপারে নবী (সা.) আমাদের আদেশ করেছেন। আজান, ইকামত, নামাজ, ইস্তিঞ্জা ইত্যাদি ছাড়া বাকি সর্বাবস্থাই সালাম দেয়া যায়।

অনেকেই মনে করেন, খাওয়ার সময় সালাম দেয়া যায় না। কেউ সালাম দিলে তাকে বলা হয়, ‘আরে জানো না, খাওয়ার সময় সালাম দেয়া যায় না?’ আবার অনেকে তো বলে, ‘খাওয়া আর কোরআন পড়া সমান, তাই এ অবস্থায় সালাম দেয়া যাবে না।’

এসবই কুসংস্কার। কোরআন ও সহিহ হাদিসে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। বরং ইসলামে কিছু নির্দিষ্ট সময় বা পরিবেশ ব্যতীত সর্বাবস্থায় সালাম প্রদানে উৎসাহিত করা হয়েছে। বারা ইবনু আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সালামের বহুল প্রসার করো, তাহলে শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করবে।’ (বুখারি, আদাবুল মুফরাদ: ৯৮৮)।

অবশ্য এ ব্যাপারে একটি হাদিস পেশ করা হয় যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) নাকি বলেছেন, لا سلام على أكل অর্থাৎ: ‘খাওয়ার সময় সালাম দেয়া যাবে না।’ অথচ ইমাম আজলুনি (রহ.) বলেছেন, ‘এটি কোনো হাদিসই না। তবে খাবারের লোকমা যদি মুখে থাকে, তাহলে সালামের উত্তর দেয়া জরুরি না। এছাড়া খাওয়া অবস্থায় সালাম দেয়া অথবা উত্তর দেয়াতে কোনো অসুবিধা নেই।’ (আজলুনি, কাশফুল খাফা, ২/৩৬৩)।

শায়খ আব্দুর রহমান আস সাহিম বলেন, সমাজে প্রচলিত খাওয়ার সময় সালাম দেয়া যায় না বলে যে কথাটি রয়েছে তা সালামের ব্যাপারে নয়, মোসাফাহার ব্যাপারে। সুতরাং সালাম দেয়া ও নেয়াতে কোনো সমস্যা নেই। (সাখাবী, আল-মাকাসিদ, পৃ. ৪৬০, মোল্লা কারী, আল আসরার, পৃ. ২৬৫, আল-আজলূনী, কাশফুল খাফা ২/৪৮৮, যারকানী, মুখতাসারুল মাকাসিদ, পৃ. ২০৩)।

বরগুনার আলো