• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী আইইবির ৬১তম কনভেনশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

অভিশাপ সম্পর্কে নবিজি (সা.) যা বলেছেন

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২২  

অভিশাপ এক ভয়ানক ক্ষেপণাস্ত্র। সমাজে অনেক সময় দেখা যায়, রাগ ও ক্ষোভে একে অপরকে অভিশাপ দেয়। বাকবিতণ্ডায়, মনোমালিন্যে কিংবা সম্পর্কের টানাপোড়েনেও একে অন্যের উপর এ অভিশাপ দিয়ে থাকে। এটা যে কতোটা ভয়াবহ; আমরা অনেকেই তা উপলব্ধি করিনা। কিন্তু অভিশাপ দিলেই কি তা কার্যকরী হয়। এ সম্পর্কে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী বলেছেন?

না, অভিশাপ দিলেই তা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকরী হয় না। যাকে অভিশাপ দেওয়া হয় প্রথমে তার ওপর সরাসরি পড়ে না বরং এর আগে তা এদিক সেদিক আসা যাওয়া করে। আর অভিশাপ যদি সঠিক কারণে দেওয়া হয় তবে তা কার্যকরী হয় আর যদি সঠিক কারণ ছাড়া কেউ কাউকে অভিশাপ দেয় তবে তা অভিশাপকারীর ওপরই পতিত হয়। এ সম্পর্কে হাদিসের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। তাহলো-

১. হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন কোনো বান্দা কোনো বস্তুকে অভিশাপ দেয় তখন ঐ অভিশাপ আকাশের দিকে অগ্রসর হয়। এরপর সেই অভিশাপের জন্য আকাশের পথকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন তা পুনরায় দুনিয়ায় দিকে ফিরে আসে; কিন্তু দুনিয়াতে আসার পথও বন্ধ করে দেওয়ায় সে ডানে বামে যাওযার চেষ্টা করে। অবশেষে অন্য কোনো পথ না পেয়ে যাকে অভিশাপ করা হয়েছে তার ওপর ফিরে আসে। তখন সেই বস্তু যদি ঐ অভিশাপের যোগ্য হয়, তাহলে তার উপর ঐ অভিশাপ কার্যকরী হয়। অন্যথায় অভিশাপকারীর উপরই তা পতিত হয়।’ (আবু দাউদ)

তবে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরস্পরকে অভিশাপ দিতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহর গজব বা জাহান্নাম দ্বারা অভিশাপ দিতেও নিষেধ করেছেন। অভিশাপ সম্পর্কে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও যেসব কথা বলেছেন, তাহলো-

২. হজরত সামুরাহ ইবনু জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর অভিশাপ, আল্লাহর গজব বা জাহান্নাম দ্বারা অভিশাপ দিও না।’ (আবু দাউদ, বুখারি, আদাবুল মুফরাদ, তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ)

৩. হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, অভিশাপকারীরা (কেয়ামতে) সুপারিশকারী হতে পারবে না এবং সাক্ষীদাতাও হতে পারবে না।’ (আবু দাউদ, বুখারি, আদাবুল মুফরাদ, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)

৪. হজরত ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি বাতাসকে অভিশাপ দিলো। মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে এক ব্যক্তির চাদর বাতাসে ওলট-পালট হয়ে গেলে সে বাতাসকে অভিশাপ দিলো। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তুমি বাতাসকে লানত করো না, কেননা সে নির্দেশপ্রাপ্ত। যা অভিশাপযোগ্য নয় কেউ তাকে অভিশাপ দিলে তা অভিশাপকারীর উপরই পতিত হয়।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)

তাই আসুন, সামান্য কোনো বিষয়ের রেশ ধরে একে অন্যের প্রতি অভিশাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকি। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ কথাটি স্মরণ রাখি। তিনি বলেছেন, ‘মুমিন কখনো অভিসম্পাতকারী হতে পারে না।’ (তিরমিজি)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে অভিশাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বরগুনার আলো