• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান

ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ ধূমকেতু!

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২১  

জুরাসিক যুগে প্রাণীকুলের যারা পৃথিবীতে বিরাজ করেছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডাইনোসর। চার পায়ের এই প্রাণীটি ছিল সেই সময়ের ত্রাস। দুই পায়ে ভর করে হাঁটা বৃহদাকার প্রাণীটির পাখাও ছিল। যে কারণে উড়তেও সক্ষম ছিল এটি। শরীরের আঁকার বৃহৎ হওয়ায় খাবার লাগত অনেক বেশি। তাই অন্যান্য প্রাণীদের নিজের ভোজ হিসেবেই গ্রহণ করত তারা। 

তবে ডাইনোসর পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছে বহুকাল আগে। তবে বিভিন্ন গুহাচিত্র, জীবাশ্ম, পায়ের ছাপ থেকে এই প্রাণীটির ব্যাপারে অনেক কিছুই জানা গেছে এখন পর্যন্ত। তবে যে ব্যাপারটি সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তুলেছিল মানুষকে। তা হলো ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ। আর এই বিষয়টি নিয়ে বহুদিন ধরেই কাজ করছেন গবেষকেরা। এই রহস্য ভেদ হলে সেই সময়য়কার পৃথিবীর ভূগোল-বিজ্ঞান-ইতিহাস সবটাই জানা সহজ হবে। অবশেষে খুলল সেই সাড়ে ৬ কোটি বছরের রহস্যের জট। 

 

জুরাসিক যুগে ছিল ডাইনোসরের বাস

 

এ বিষয়ে অনেকটা আলো ফেলেছেন গবেষকেরা। তারা বলছে, ডাইনোসরদের বিলুপ্তির রহস্য লুকিয়ে। আর সেই রহস্য আছে মেক্সিকোর এক গহ্বরে। গহ্বরের নাম চিকসুলুব ক্রিয়েটার। গবেষকেরা দেখেছেন এই গুহায় ছড়িয়ে রয়েছেস্পেস ডাস্ট বা মহাজাগতিক ধুলা,পাওয়া গিয়েছে ইরিডিয়াম। এই ইরিডিয়াম ডাইনোসরদের জীবাশ্মের সঙ্গেও পাওয়া গিয়েছে। এর মানে হল, এই ইরিডিয়াম ডাইনোসরদের সময়েও ছিল।

গবেষকেরা বলছেন, চিকসুলুব ইম্প্যাক্টর হল এক দানব গ্রহাণু। যা পৃথিবীর উপর এসে পড়েছিল। এর ফলে মেক্সিকান পেনিনসুলায় এক বিশাল গহ্বর তৈরি হয়ে যায়। আসলে পেট্রোলিয়ামের খোঁজ করতে গিয়েই এই গহ্বরটির খোঁজ মেলে। আর তখনই বিজ্ঞানীদের টনক নড়ে। সেখান থেকেই শুরু হয় গবেষণা। মেলে মহাজাগতিক ধুলোও।

 

চিকসুলুব ইম্প্যাক্টর হল এক দানব গ্রহাণু

একদল বিজ্ঞানী মনে করেন, অ্যাস্টেরয়েডরাই আমাদের গ্রহে প্রাণ বহন করে আনে। তারা নানা অণুজীব, বরফ ইত্যাদি বহন করে এনেছিল। ফলে সেই বিজ্ঞানীর দল, এই চিকসুলুবের তথ্যে উল্লসিত হচ্ছেন। তারা দাবি করছেন, এভাবেই ক্রমশ জানা যাবে, ধূমকেতুর মাধ্যমেই নানা রাসায়নিক কণা, নানা প্রয়োজনীয় জীবাণু, সমুদ্র এসেছে পৃথিবীতে। আর এতে পরিবেশে খানিকটা পরিবর্তন আসে। যাতে ডাইনোসর একেবারেই মানিয়ে নিতে পারেনি নিজেদের। এমনটাই ধারণা করছেন গবেষকরা।

এই চিকসুলুব-তথ্য যদি মান্যতা পায়, তবে এটা নিশ্চিত হবে যে, সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আছড়ে পড়া ধূমকেতুর মাধ্যমেই মারা পড়েছিল তাবৎ ডাইনোসরকুল। 

বরগুনার আলো