• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

অদ্ভুত মাছ বৃষ্টি (ভিডিও)

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়। তবে সব বৃষ্টিতেই যে শীতল জল আর বরফের দানা পড়ে এমন কিন্তু নয়। অদ্ভুত বৃষ্টিপাতের উদাহরণও রয়েছে। বৃষ্টিতে আকাশ থেকে মাছ, মাংস, স্কুইড, ব্যাঙ, মাকড়সা পতিত হয়েছে। অবাক বিস্ময়ের অদ্ভুত বৃষ্টি প্রকৃতির এক মজার খেলা।

হন্ডুরাস এমন একটি স্পেনিস শব্দ যার  অর্থ হল ‘গহীন’। ‘ওন্দোরাজ’ হল এর স্পেনিশ উচ্চারণ। এ দেশটিকে এক সময় বলা হত স্পেনিশ হুন্ডুরাস। কারণ ওই সময়ে ব্রিটিশ সম্রাজ্যে আর একটি দেশ ছিল হন্ডুরাস নামে। সে দেশটি এখন বেলিজ দেশের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। 

হন্ডুরাসের মাছ বৃষ্টি: মাছ বৃষ্টি এ দেশের লোকচার ঘটনায় একটি রহস্যময় ঘটনা। মে থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটে থাকে। প্রথমে আকাশে প্রচুর মেঘ জমে, এর পর শুরু হয় বৃষ্টিপাত। সেই সঙ্গে থাকে প্রবল বাতাস, থাকে বিদ্যুৎ চমক আর বজ্রপাত। এই বৃষ্টির সঙ্গে মাটিতে অসংখ্য জিবন্ত মাছ পড়ে এবং বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর অসংখ্য মাছ মাটির উপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ দেশের লোকজন এ মাছ নিয়ে রান্না করে। ১৯৯৮ সাল থেকে এ ঘটনার জন্য প্রতি বছর উৎসবের আয়োজন করা হয় এ দেশেটিতে। আটলান্টিক মহাসাগরের টর্নেডো এ মাছ উড়িয়ে নিয়ে এসে এ শহরে ফেলে। তাই প্রতি বছর একেই সময়ে এ মাছ বৃষ্টি হতে দেখা যায়। এ মাছ গুলো হল স্বাদু পানির মাছ। এ মাছ বৃষ্টি নিয়ে অনেক লোক কথাও প্রচলিত আছে। 

 

অনেকের মতে, এ স্বাদু পানির মাছগুলো ভূগর্ভস্থ জলধারে আশ্রয় নেয়। ভারী বৃষ্টিতে মাটি ধুয়ে গেলে মাছ গুলো দেখা যায়।

আবার অনেকে বলে, ১৮৫৬–১৮৬৪ সালে এ দেশে এক সাধু আসার কারণে এ মাছ বৃষ্টি হয়। প্রচলিত রয়েছে, এ দেশের অভাবী লোকদের জন্য সাধু সৃষ্টি কর্তার কাছে তাদের খাবারের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। তারপর থেকেই এই মাছ বৃষ্টি শুরু হয়।

হঠাৎ শ্রীলঙ্কার এক গ্রামে মাছ-বৃষ্টি। গ্রামবাসী পথের ধারে, মাঠে মাছ কুড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। আকাশ থেকে বৃষ্টিজলের সঙ্গে অবাধে ঝরেছে এই মাছগুলো। আকারে বেশ ছোট ছোট এই মাছগুলো ছিল একদম তাজা। কোনোকোনোটা দিব্যি লাফাচ্ছিল। আগ্রহী মানুষ বাটিতে করে সংগ্রহ করেছেন মাছগুলো। কুড়ানো মাছভর্তি পাত্রে পানি ঢেলে দিতেই লাফিয়ে উঠল মাছ। পুরো ঘটনাটি গ্রামবাসীকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যেমনটি হয় রূপকথার গল্প শুনে। এই অবাক করা ঘটনার সাক্ষী হয়েছে শ্রীলঙ্কার চিলাও জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দারা। অস্বাভাবিক এই মাছ-বৃষ্টিতে দারুণ আনন্দিত তারা। মাছ-বৃষ্টির এই খবর ফলাও করে জানিয়েছে বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো।

গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ঘরের চালে আকাশ থেকে ভারী কিছু পড়ার শব্দে তারা বাইরে ছুটে আসেন। খোলা মাঠে, বাড়ির আশপাশে, রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মাছ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। ওই গ্রামের বাসিন্দারা সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কিলোগ্রামের মতো মাছ কুড়িয়েছেন বলে জানায় বিবিসি। খাওয়ার উপযোগী এই মাছ-বৃষ্টিতে আনন্দ-ভোজ শুরু হয়ে যায় গ্রামটিতে। তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি লম্বা এই মাছগুলো শ্রীলঙ্কায় স্থানীয়ভাবে বেশ পরিচিত।

তবে মাছ-বৃষ্টি হওয়ার বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। 

বিজ্ঞানীরা বলছেন, 'মাছ-বৃষ্টি' অস্বাভাবিক হলেও প্রকৃতিতে এটা ঘটে থাকে। মাছ সমৃদ্ধ কোনো কম গভীরতার জলাশয়ের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্র বয়ে গেলে এমন জলঘূর্ণি ঘটতে পারে। এ সময় পানিতে থাকা মাছ, ব্যাঙসহ সবকিছুই ঘূর্ণিবায়ুর সঙ্গে আকাশে উঠে যায়। আকাশে উঠে যাওয়ার পর ঝড়ের সঙ্গে অনেকদূরে চলে যেতে পারে এসব জলজ প্রাণীও। এমনকি এই জলঘূর্ণি থেমে যাওয়ার পরও মেঘের স্তরের কারণে এরা সাময়িকভাবে আটকে থাকতে পারে ওপরেই। আর ঝড়, জলঘূর্ণি থেমে গেলে মেঘের ভেতর থেকে ঝরে পড়তে শুরু করে জলজ প্রাণীগুলো।

শ্রীলঙ্কায় এই মাছ-বৃষ্টি অবশ্য এবারই প্রথম নয়। ২০১২ সালে দেশটির দক্ষিণা লে 'চিংড়ি-বৃষ্টি' হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল। একই বছর লাল ও হলুদ রঙের শিলাখণ্ডের অস্বাভাবিক শিলাবৃষ্টি হয় শ্রীলঙ্কায়। ওই শিলাগুলো মহাকাশ থেকে পতিত বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা। জলবায়ুর এই বিশেষ পরিবর্তন এবং শ্রীলঙ্কায় এই মাছ-বৃষ্টি ও মহাকাশের শিলাবৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করছেন মার্কিন ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।

বরগুনার আলো