• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আজানের সময় নারীদের মাথায় কাপড় দেয়া: ইসলাম যা বলে

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

অনেকেই আছেন সবসময় মাথায় কাপড় দেন না। কিন্তু আজানের সময় মাথায় কাপড় দেন। আজান শেষ হলে মাথার কাপড় নামিয়ে ফেলেন। 

জিজ্ঞেস করলে বলেন আজানের সময় মাথায় কাপড় না দিলে শয়তান চুলের ফাঁকে এসে আশ্রয় নেই। এ কথা কতটুকু সত্য; এ সম্পর্কে ইসলামের বক্তব্য নিচে তুলে করা হলো-

নারীদের মাথা ঢেকে রাখা এবং মাথায় কাপড় দেয়া আজান সংশ্লিষ্ট বিষয় নয়। বরং নারীদের মাথায় কাপড় সব সময় থাকা উচিত। কেননা মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে দেয়।‘জিলবার অর্থ হাত, পা, মাথা,সমস্ত শরীর ডেকে রাখার মতো কাপড়। (সূরা : আহজাব, আয়াত : ৫৯)।

পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে নারীদের পর্দা বা হিজাবের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, শুধুমাত্র লম্বা চাদর বা আবরণ যথেষ্ট নয় বরং মুমিন কন্যা ও নারীরা এমন পোশাক পরিধান করবে যাতে চুলসহ তাদের সমস্ত শরীর ঢেকে থাকে। শরীর বা চুলের কোনো অংশ বাইরে বের করে রাখা যাবে না।  পোশাক পরিধান করলে তোমরা পবিত্র আত্মার নারী হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং দুষ্ট লোকদের দ্বারা নিপীড়ন বা উত্যক্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। কোনো খারাপ লোক পুরো শরীর আবৃত কোনো নারীর সম্মানহানি করতে যাবে না।

(১) হিজাবের উদ্দেশ্য হচ্ছে কুদৃষ্টি, ইভটিজিং ও মর্যাদা হানিকর আচরণ থেকে নারীকে রক্ষা করা। কাজেই হিজাব নারীর জন্য কিছুটা সীমাবদ্ধতা তৈরি করলেও এটি তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

(২) আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূলের নির্দেশ হচ্ছে  ইসলামি সমাজে সবার পবিত্রতা ও সম্মান রক্ষা করা। এই নির্দেশ পালনের জন্যই নারীকে ঘর থেকে বাইরে বের হলে উপযুক্ত পোশাক পরিধান করতে হবে। 

(৩) ইসলাম নারীকে ঘরের মধ্যে পুরোপুরি আটকে থাকতে বলেনি। বরং হিজাব পরিধান করে তারা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন।

আর নারীরা আজানের সময় যেভাবে মাথা ঢেকে নেন, এটা মূলত আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। যদি কোনো নারীর বাসা-বাড়িতে অসতর্কাবস্থায় মাথায় কাপড় না থাকে। তবে আজানের সময় সে যদি সতর্ক হয় এবং মাথায় কাপড় টেনে নেয়। তাহলে এটা ঈমান ও আল্লাহভীতির পরিচায়ক। 

কেননা আজান আল্লাহ তায়ালার বড়ত্ব ও মহত্ত্বসংবলিত কিছু বাক্যের সমষ্টি। যা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ‘শিআর’ তথা প্রতীক। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘কেউ আল্লাহর প্রতীকে সম্মান প্রদর্শন করলে সেটা তো তার হৃদয়ের খোদাভীতিপ্রসূত।’ (সূরা : হজ, আয়াত : ৩২)।

বরগুনার আলো