• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

খেয়ে পড়ে ভাল আছে পথরঘাটার জেলে পল্লীর জেলেরা

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮  

 

পাথরঘাটা প্রতিনিধি:
বরগুনার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ সাগরের ওপর নির্ভরশীল। ওই এলাকার জেলেরা প্রতিদিন সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে জলদস্যুদের হাতে অপহরন হয়। এ সব জেলেদের লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে ছাড়িয়ে আনা হত। টাকা সংগ্রহ করতে মহজনদের কাছে দাদোনের জালে বাঁধা পরত জেলে পরিবার। দাদোন টাকা পরিশোধ করতে না পাড়ায় অনেক জেলে মহাজনদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। ২০১১ সাল থেকে সুন্দরবনে জলদস্যুদের আস্তানায় র‌্যাবের সারাশি অভিযানে সাগরে এখন আর জলদস্যু নেই। ফলে গ্রামের জেলেরা খেয়ে পড়ে ভাল আছে। এখন আর কোন জেলে দাদোন টাকার জন্য এলাকা ছেড়ে পালাতে হয়না।

পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের সাগরপাড়ের রুহিতা গ্রাম। ষাটউর্দ বয়সের মান্নান মাঝি, তার সাগরে মৎস্য শিকারের ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতার কথা ব্যাক্ত করেন তিনি, ২০০৪ সালে সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে শুরু হয় জলদস্যুদের গনডাকাতি। প্রতিদিন ডাকাতের গুলির শব্দে ঘুম ভাংত নদীর পাড়ের মানুষের। সকাল বেলা খোজ খবর নিয়ে দেখতাম মাছ ধরার ট্রলারে জেলে অপহরন হয়েছে। পাশের বাড়ির জেলের স্বজনরা অহজারি করত। এখন সাগরে ডাকাতি নেই।

পদ্মা গ্রামের সিদ্দিক মেম্বর জানান, সাগরে ডাকাতি বেশীর ভাগ জলদস্যু পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামে জন্ম নেয়। এরা সংঘবদ্ধ হয়ে ছদ্দ নামে গড়ে তোলে সুন্দরবনের জলদস্যু বাহিনী। এসব যুবক শ্রেনীর জলদস্যুরা বিভিন্ন ভাবে আগ্নেঅস্ত্র সংগ্রহ করে সাগরে ট্রলারে ডাকাতি করে দাফিয়ে বেড়ায়। রাতারাতি বেকার শ্রেনীর যুবকরা হঠাত করে অনেক টাকার মালিক হয়ে যায়। এলাকায় তাদের চলাফেরা গতি দেখে সাধারন মানুষের সন্দেহ হয়। বিষয়টি প্রসাশনের কাছে জানালে। জলদস্যুরা টাকা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকেও ম্যানেজ করে ফেলে। পরে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির  আন্দলনের ফলে আওয়ামী লীগ সরকার পদক্ষেপ নেয় সাগরের জলদস্যু নির্মুলের। ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্তস পাথরঘাটার পদ্মাগ্রামের ৯ জলদস্যুকে ক্রসফায়ারের মেরে ফেলা হয়েছে। এর পর থেকে সাগরের জেরেরা অনেক আত্মগোপনে গিয়ে। পূর্নবাসনের জন্য অস্ত্রসহ আত্মসমার্পন করছে র‌্যাবের কাছে।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, গত ৪ বছর ধরে বরগুনা জেলার জেলে, ট্রলার মালিক ও মৎস্যজীবিরা অনেক ভাল আছে। প্রতি বছর ইলিশ শিকারের প্রধান মৌসুমে দক্ষিন উপকুলের জেলেদেরকে মুক্তিপন দিয়ে সুন্দরবনের জলদস্যুদের কাজ থেকে ছাড়িয়ে আনতে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা দিতে হত। গত ৪ বছর ধরে আর জলদস্যুদের টাকা দিতে হয় না। এ কারনে যেমন এলাাকায় প্রতি বছর ট্রলারের সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি সাগর থেকেও মাছ আমদানী হচ্ছে অনেক বেশী। তিনি বলে, এ বছর গত ৩ মাসে প্রত্যেক সাধারন জেলে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা করে পুজি হয়েছে। মোটের ওপর সকল মৎস্য জীবিরাই খেয়ে পড়ে ভাল আছে।


 

বরগুনার আলো