• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

মহাজোট সরকারের আমলে ইলিশের উৎপাদন দ্বিগুণ বেড়েছে

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৮  


সোহানুর রহমান :
মাছে-ভাতে বাঙালি- এটাই আমাদের সংস্কৃতি। আর মাছের রাজা ইলিশ। ইলিশ মাছ স্বাদ ও পুষ্টিগুণে অতুলনীয়। ইলিশের নাম শুনলেই যে কারো জিভে জল চলে আসে। মহাজোট সরকারের ফলপ্রসু উদ্যোগে মা ইলিশ রক্ষা, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা বন্ধ, ঝাটকা ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা এবং অভয়ারণ্য সৃষ্টির কারণে বিগত এক দশকে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। 
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০১-০২ অর্থবছর দেশে ইলিশ আহরণ ছিল মাত্র ২ লাখ ২০ হাজার টন। ২০০৮-০৯ অর্থবছর তা ৩ লাখ টনে উন্নীত হয়। চার লাখ টনে উন্নীত হতে ২০১৫-১৬ অর্থবছর লেগে যায়। অর্থবছরটিতে দেশে ইলিশ আহরণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন। সেই ধারাবাহিকতায় গেল অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছুঁয়েছে প্রায় ৫ লাখ টনে।  আর চলতি অর্থবছর ৫ লাখ ৪০ হাজার টন ইলিশ আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। 
মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ পর্যবেক্ষণ সেলের হিসেবে ১৫ বছর আগে দেশের ২৪ টি উপজেলার নদীতে ইলিশের বিচরণ থাকলেও এখন অন্তত ১২৫ টি উপজেলার নদীতে ইলিশের বিচরণের তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া মহাজোট সরকারের আমলেই বিশ্বে প্রথম ইলিশ মাছের পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের মৎস্য বিজ্ঞানীরা।
বরিশালের ইলিশ একটি ব্রান্ডের নাম। পুষ্টি উপাদান বেশি থাকায় এ ইলিশের স্বাদও ভালো।   কোন অঞ্চলের ইলিশের পুষ্টি-গুণ কেমন, তা পরিমাপে একদল গবেষক দেশের ছয়টি অঞ্চলের প্রত্যেকটি থেকে ২০টি করে মাছের নমুনা সংগ্রহ করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরীক্ষাগারে মাছের পুষ্টি উপাদান পরীক্ষা করেছিলেন। পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বরিশালের ইলিশই বেশি পুষ্টি ধারণ করছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন জার্নাল অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্সেসে প্রকাশিত হয়েছে। 
সরকারের গৃহীত ইলিশ রক্ষার সুফল পেয়েছেন বরিশাল বিভাগের প্রান্তিক জেলেরাও। ইলিশ ধরা বন্ধ রাখতে জেলেদের দেয়া হয়েছে সরকারী বিভিন্ন সহায়তা। এ বছর ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার দুই লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩টি জেলে পরিবারকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছে সরকার। ইলিশ রক্ষায় প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরে ৭ থেকে ২৮ অক্টোবরে পর্যস্ত ২২দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ইলিশ আহরণে বিরত থাকার সময় সরকারীভাবে বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার ৮৮ হাজার ১১১ জন, পটুয়াখালীর ৪৫ হাজার ৬৪২ জন, বরিশালের ৪৩ হাজার ৬৪৪ জন, বরগুনার ৩৪ হাজার ২১১ জন, পিরোজপুরের ১৪ হাজার ৮৭৫ জন ও ঝালকাঠি জেলার এক হাজার ৪৬০ জন জেলেকে চাল দেয়া হয়।
বরিশালের পাশাপাশি সব অঞ্চলেই ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সব ধরনের উগ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। এজন্য নদ-নদীর জাটকাপ্রধান অঞ্চলে প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সরকার ইলিশের পাঁচটি অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার পর প্রতি বছর প্রজননের মৌসুমে মা-ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। নতুন অভয়াশ্রম ঘোষণার কাজও শেষের দিকে। আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি জেলেদের মধ্যে সচেতনতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে জেলেদের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে আরো সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সরকারের এসব উদ্যোগের ফলেই দেশে ইলিশ আহরণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। 


 

বরগুনার আলো