ডেন্টাল ক্যাভিটি কি এবং কেন হয় ?
আমাদের দেশে ৯০% মানুষ কোনো না কোনোভাবে মুখের রোগের সমস্যার শিকার। এর মধ্যে ৬৫% থেকে ৮৫% স্কুল ছাত্রছাত্রী যে কোনো একটি দাঁতে ক্যাভিটিতে আক্রান্ত। ৭০% বয়স্ক মানুষে যে কোনো একটি দাঁতে ক্যাভিটির রোগে আক্রান্ত। ডেন্টাল ক্যাভিটি শব্দটির প্রকৃত অর্থটা কি? এটার প্রকৃত অর্থ দাঁত সম্পর্কিত। আমাদের জিহ্বা, মাড়ি, ঠোঁট, স্নায়ু সংযোগ এবং লালা গ্রন্থি মিলে ডেন্টাল শব্দটির প্রয়োগ হয়। আর ডেন্টাল ক্যাভিটি বলতে আমরা দাঁতে গর্ত হয়ে যাওয়াকে বোঝায়। দাঁতে গর্ত হওয়া সমস্যাটি অন্যতম প্রচলিত দন্ত রোগের মধ্যে একটি। এ রোগের কারণে দাঁতের দৃশ্যমান অংশে কিংবা গভীরে গর্তের সৃষ্টি হয়।
প্রাথমিকভাবে এ রোগের কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। গর্ত বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁতে ব্যথা, শিরশির অনুভূতি, কিছু কামড়ানোর সময় ব্যথা অনুভাব, ঠান্ডা-গরম এবং মিষ্টি জাতীয় কিছু খাদ্য গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে চিনচিন ব্যথা অনুভূতি হয় এবং ক্রমে কালো, হলদেটে বা সাদা অংশ ক্ষয়ের মাধ্যমে গর্ত বড়ভাবে দৃশ্যমান হতে থাকে। যেহেতু প্রাথমিকভাবে এ রোগের কোনো প্রভাব বোঝা যায় না কাজেই শুরু থেকেই দক্ষ দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা উচিত। মূলত দাঁতের ক্ষয় থেকে দাঁতের গর্তের দৃষ্টি। দাঁতের ক্ষয় মূলত কিছু ধাপে ধাপে হয়। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এবং নিয়মিত দাঁত ব্রাশ না করার কারণে দাঁতের সামনের অংশে আঠালো হলদে প্রলেপ দেখা যায়, ফলে দ্রুত ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়। এই অবস্থাকে আমরা প্লাগ বলি। ক্রমে তা বড় হয়ে মাড়িতে ক্যালকুলাস সৃষ্টি করে যা ব্যাকটেরিয়াকে স্থায়ীভাবে সহায়তা করে। প্লাগ থেকে সৃষ্ট এসিড দাঁতের মিনারেল উপাদানকে নষ্ট করে দেওয়ার মাধ্যমে দাঁতের প্রথম স্তর এনামেলকে দুর্বল করে দেয়। ফলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গর্তের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থাকে আমরা দাঁতের গর্ত সৃষ্টি হওয়ার প্রাথমিক ধাপ বলি। এনামেল অংশ নষ্টের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া দাঁতের গঠনে দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করে যাকে আমরা ডেন্টিন বলি। দ্বিতীয় স্তরটি প্রথমটি থেকে অপেক্ষাকৃতভাবে নরম এবং এসিড সহ্য ক্ষমতা কম।
ডেন্টিন স্তরে অবস্থিত কিছু ক্ষুদ্র নালির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া দাঁতের স্নায়ুতে সংযোগ স্থাপন করে। ফলে দাঁতের শিরশির অনুভূতির সৃষ্টি হয়। তৃতীয় পর্যায়ে ব্যাকটেরিয়া দাঁতের গঠনের তৃতীয় স্তর পাল্পে প্রবেশ করে যা দাঁতের স্নায়ু এবং রক্ত পরিবাহী ধমনী দ্বারা গঠিত। এর ফলে ব্যাকটেরিয়ার কারণে পাল্প ফুলে যায়। ফলে ধমনী এবং শিরা চাপের সম্মুখীন হয় সংকুচিত জায়গার কারণে। ফলশ্রুতিতে দাঁতে দেখা দেয় প্রচ- ব্যথা। এ ব্যথা শেষ পর্যন্ত দাঁতের গোড়া থেকে দাঁতের অস্থিতে পৌঁছায়। পরবর্তীতে যা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। আমাদের দেশে শিশুদের দুধ দাঁতের ক্ষেত্রে দাঁতের এই রোগটিকে অবহেলা করা হয়। কারণ অনেক বাবা-মা প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী দুধ দাঁত অস্থায়ী এটা ভেবে থাকেন। কিন্তু এই গর্ত থেকেই হতে পারে দাঁতে ব্যথা, দাঁতে পুঁজের সংক্রমণ, মাড়ি ফুলে যাওয়া, দাঁত ভেঙে যাওয়া, দাঁত ক্ষয়ে দাঁত পরে যাওয়া এবং সেই সঙ্গে স্থায়ী দাঁত উঠতে জটিলতার সৃষ্টি হওয়ার মতো রোগগুলোর।
প্রতিরোধের উপায় : লক্ষ্য রাখতে হবে সচেতনতাই এই রোগ মুক্তির প্রধান উপায়। নিয়মিত দুবার দাঁত ব্রাশ করা। ফ্লুরাইড যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা। দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফ্লুরাইডযুক্ত মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা। তাজা ফল এবং শাকসবজি খেতে হবে যেটা লালা বৃদ্ধিতে সহায়ক। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত চা-কফি পান থেকে বিরত থাকা। তাই এসব বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।
বরগুনার আলো- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- আদালতের রায়ের ওপরে কিছু নেই: বুয়েট উপাচার্য
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- বাতাসের চাপ থেকে বিদ্যুৎ: বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি স্টার্টআপ
- এই গরমে দিনে কয়বার গোসল করা উচিত?
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু
- আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট