• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

বরগুনায় ধর্ষণ মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০১৯  

 

গার্মেন্টস কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

আসামিদের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত হাসিবকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তার সহযোগী আসামি ইদ্রিস ও হায়দারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। 

আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মানিকখালী গ্রামের মো. এনছের আলীর ছেলে হাসিব। তার সহযোগী একই গ্রামের হায়াত আলীর ছেলে ইদ্রিস ও সোনা মিয়ার ছেলে হায়দার।

রায় ঘোষণার সময় আসামি হাসিব ও ইদ্রিস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি হায়দার পলাতক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বাড়ির পাশে ১৭ বছরের নাবালিক এক গার্মেন্টস কর্মী চট্টগ্রামে কাজ করতো। আসামি হাসিবের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। হাসিব তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে আসামি ইদ্রিস ও হায়দারও ওই গার্মেন্টস কর্মীকে নিশ্চিত করে হায়দার তাকে বিয়ে করবে। আসামিদের আশ্বাসে ওই নাবালিকা তার বাড়িতে আসে। 

২০০৭ সালের ১০ জুলাই রাত ১১টায় আসামি হাসিবের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করা হয়। ওই রাতে ইদ্রিস ও হায়দার নাবালিকাকে ঘরের বাইরে আসতে বলে। তাদের কথা মত মেয়েটি বাইরে গেলে ইদ্রিস ও হায়দারের সহযোগিতায় হাসিব ঘরের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। অন্য দুই আসামি ইদ্রিস ও হায়দার পাহারা দেয়। মেয়েটি বাদী হয়ে ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই ট্রাইব্যুনালে মামলা করে। তদন্ত করে পুলিশ দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। 

দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন। আসামি হাসিব বলে, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপীল করবো।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আসামিপক্ষে ছিলেন কামরুল আহসান মহারাজ।

বরগুনার আলো