• শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

  • || ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ড. ওয়াজেদ মিয়া অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’

নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা আজ থেকে শুরু হচ্ছে।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল রোববার। নির্ধারিত এ দিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে তিনশ’ আসনের সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আজই চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।

তফসিল ঘোষণার পর প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকলেও প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটতে পারবেন প্রার্থীরা।

একইসঙ্গে পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল প্রচারণায় শোভা পাবে। প্রার্থীদের পদচারণায় নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের ৪৮ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে এবারের প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গের আশঙ্কা করছে খোদ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কারণ তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটগ্রহণের ২১দিন পূর্বে প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হয়নি।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছে, সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারণা শুরু হবে। কোনো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের জন্য মাঠে রয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা।

এদিকে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিটি গঠন করার ১৪ দিনেও বরাদ্দ না পাওয়ায় পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারেনি ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ (ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি)। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নির্বাচনী অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে যুগ্ম জেলা জজ ও সহকারী জজদের সমন্বয়ে গত ২৫ নভেম্বর ১২২টি ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করা হয়। প্রতিটি কমিটিকে তিনটি খাতে ৬০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হবে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত নির্বাচনী তদন্ত কমিটির জন্য কোন অর্থ ছাড় হয়নি। সোমবার এই অর্থ ছাড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আইন অনুযায়ী, এই কমিটি কারও অভিযোগের ভিত্তিতে বা নিজ উদ্যোগে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে পারবে। তবে এই কমিটির কাউকে সরাসরি সাজা দেয়ার ক্ষমতা নেই। তারা অভিযোগ তদন্ত করে তিনদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করবে। কমিটির কয়েকজন সদস্য বলেন, তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এর আগের নির্বাচনে ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ সংশ্লিষ্ট এলাকায় গাড়িতে টহলে থাকত। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এই কাজটিও সেভাবে করা যাচ্ছে না।

আচরণবিধিতে যা বলা হয়েছে: নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোটের প্রচারণায় কোনো প্রার্থী বা দলের বিরুদ্ধে কোন প্রকার উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া যাবে না। সভা করতে ২৪ ঘণ্টা আগে স্থান ও সময় পুলিশকে জানাতে হবে। সভার জন্য লিখিত অনুমতি নিতে হবে এবং আগে যে আবেদন করবে তাকে আগেই অনুমতি দিতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ধরণের গেট বা তোরণ নির্মাণ ও প্যান্ডেল স্থাপন করা যাবে না। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করা যাবে। পোস্টার হবে সাদাকালো। শুধু প্রার্থী এবং দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে ব্যবহার করা যাবে। প্রার্থীরা দলীয় এবং সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় নির্বিশেষে প্রতিটি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ একটি এবং পৌরসভা/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডে একটির অধিক ক্যাম্প করা যাবে না। সরকারি রেস্ট হাউজ, ডাকবাংলো, সার্কিট হাউজ কোনো দল বা প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারের জন্য ব্যবহার করা যাবে না, সরকারি যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না, রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনসভা বা প্রচার সভা করা যাবে না। কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কেউ নির্বাচনের আগে উক্ত প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকায় বসবাসকারী কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা উক্ত এলাকা বা অন্যত্র অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো চাঁদা বা অনুদান দেয়া বা দেয়ার অঙ্গীকার করতে পারবেন না। প্রার্থী কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অথবা সদস্য হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠানের কোন সভায় অংশ নিতে পারবেন না।

সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও তাদের সমমর্যাদাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি, এমপি এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড যোগ করতে পারবেন না।

কোনো প্রার্থী তার এলাকায় সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না এবং এ সংক্রান্ত কোনো সভায় যোগ দিতে পারবেন না। এই আইন লংঘনকারী ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বরগুনার আলো