• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক রাইসি-আমির আব্দুল্লাহিয়ান মারা গেছেন: ইরানি সংবাদমাধ্যম সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতে কাজ করছে বিএসটিআই: প্রধানমন্ত্রী চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত

ডিসি সম্মেলনে ৩৩৬ প্রস্তাবনার মধ্যে সিদ্ধান্ত ৮০টির

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮  

গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রশাসনিক বিষয় ছাড়াও ৩৩৬টি প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসকরা। তাদের দেওয়া প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে গত ২ ডিসেম্বর পর্যালোচনা সভা করে ৮০টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। জেলা প্রশাসক সম্মেলনের (২০১৮) কার্যবিবরণীর আলোকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও কার্যালয় সম্পর্কিত প্রস্তাবনাগুলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি হিসেবে চিহ্নিত করে বাস্তবায়নের জন্য তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের জন্য মাঠ পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন জেলা প্রশাসকরা। প্রতিবছরই ঢাকায় জেলা প্রশাসকদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। গত ২৪ থেকে ২৬ জুলাই (২০১৮) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্পর্কিত ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্প, আশ্রয়ণ ও গুচ্ছ গ্রাম, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইনদের জীবনমান উন্নয়ন ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা। শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয়গুলো হচ্ছে, খাদ্য পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা, বিসিক শিল্প নগরীগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন বা একই বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট (ইটিপি) স্থাপন, খুলনা ও যশোরে সার গোডাউন নির্মাণ, শিল্প নগরীগুলোর জন্য পর্যাপ্ত জনবলসহ বয়লার পরিদফতরের আঞ্চলিক অফিস স্থাপন, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ফল ও কফি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা ও হিমাগার স্থাপন, খুলনা বিভাগে একটি আম প্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাক্টরি নির্মাণ, রংপুরে কৃষি নির্ভর খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল গড়ে তোলা এবং পাবনার পাকসি মিল চালু করা।
স্বাস্থ্য বিভাগ সম্পর্কিত বিষয়গুলো হচ্ছে, উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ, উপজেলা পর্যায়ে দুর্গম এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের জন্য নতুন জনবল কাঠামো অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় জনবল পদায়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে পদায়ন করা চিকিৎসকের ডেপুটেশন বা অন্যত্র সংযুক্তি প্রদান বন্ধ ও উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের ন্যূনতম তিন বছর সেবা প্রদান বাধ্যতামূলক করা। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসা সেবাকে কার্যকর করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অতিরিক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের পদকে সিনিয়র স্কেলে উন্নীত করা এবং ডেপুটি সিভিল সার্জনের পদ বাড়ানো, নাটোরে আধুনিক ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ, চরাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জাহাজ বা বৃহৎ লঞ্চে ভাসমান হাসপাতাল (ফ্লোটিং হসপিটাল) চালু এবং মৌলভীবাজারের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ সম্পর্কিত বিষয়গুলো হচ্ছে, জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে জোরদার, ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার, সিরাজগঞ্জ জেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে পদ সৃষ্টি, সিলেটের নতুন উপজেলা ও ইউনিয়নগুলোর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে পদ সৃষ্টি, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয়টি হচ্ছে, বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো যাতে প্রবাসী বান্ধব হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে, মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি মৎস্য ও পোল্ট্রি খামারিদের সহায়তা, নদীতে খাঁচায় মাচ চাষ বিষয়ে নীতিমালা, হাওর অঞ্চলে বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ দু’মাস মাছ ধরা বন্ধ রাখা, প্রণোদনার মাধ্যমে কারেন্ট জালের কারখানাগুলোকে পরিবর্তন, জেলা ও উপজেলা অফিসের শূন্য পদ পূরণ, খামারিদের পোল্ট্রি শিল্পে উৎসাহিত করা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় চিংড়ির হ্যাচারি স্থাপন, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনায় ফিস প্রসেসিং ও ল্যান্ডিং জোন স্থাপন, দিনাজপুরে উৎপাদিত দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং চাপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ ও রহনপুর স্থলবন্দরকে পুনরায় সচল করা।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয়গুলো হচ্ছে, শ্রমবাজার সম্পর্কে শ্রমজীবীদের অবহিতকরণ কর্মসূচি চালুর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, মৌলভীবাজারে শ্রম আদালত স্থাপন ও শিশু শ্রম নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে, মাঠ প্রশাসনে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদের নাম পরিবর্তন, সচিবালয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য লাউঞ্জ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন, জেলার অভ্যন্তরে গাড়ি চালকদের বদলির এখতিয়ার জেলা প্রশাসকদের ওপর এবং আন্তঃজেলা বদলির এখতিয়ার বিভাগীয় কমিশনারদের ওপর ন্যস্ত করা, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের তহবিলে বরাদ্দ বৃদ্ধি, গলাচিপা, বাউফল, রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়ায় নৌযান সংযোজন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোতে হেল্প ডেস্ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শাখায় জনবল নিয়োগ, জেলা পুলের যানবাহন মেরামতের ব্যয়সীমা বাড়ানো, মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের টিফিন ভাতা বাড়ানো, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের গাড়ির তেলের সিলিং বাড়ানো ও তাদের মাসিক আপ্যায়ন ভাতা দেওয়া, জেলা প্রশাসক ও যুগ্ম সচিব তদূর্ধ্ব কর্মকর্তা ছাড়া মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জরুরি প্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি প্রদানের ক্ষমতা বিভাগীয় কমিশনারকে দেওয়া, মাঠ প্রশাসনে কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য নতুন কম্পিউটার সামগ্রী সরবরাহ করা, বাবুর্চি পদে নিয়োগের যোগ্যতা উল্লেখ করে সার্কিট হাউস বিষয়ক নিয়োগবিধি সশোধন করা, সচিবালয়ের কর্মচারীদের মতো মাঠ পর্যায়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি দেওয়া, দুর্গম ভাতা প্রদান, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আরও তিনটি উপ সচিবের পদ সৃষ্টি, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ, আইসিটি শাখাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি, সার্কিট হাউসগুলোর জনবল কাঠামো বাড়ানো, এ যাবৎ প্রকাশিত সব নীতিমালা, প্রজ্ঞাপন, পরিপত্র, স্মারক সংকলন আকারে প্রকাশ এবং অনলাইন আর্কাইভে সংরক্ষণ করা, পটুয়াখালীতে আধুনিকমানের একটি নতুন সার্কিট হাউস এবং কুয়াকাটায় জরুরি ভিত্তিতে একটি রেস্ট হাউস নির্মাণ, কুষ্টিয়া জেলায় নতুন সার্কিট হাউস নির্মাণ ও ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রেখে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের বাসভবনটি নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। সৈয়দপুরে একটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কনভেনশন সেন্টার কাম রেস্ট হাউজ নির্মাণ করতে হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে, রেলে নিরাপদে ও স্বচ্ছন্দে ভ্রমণের স্বার্থে মহিলাদের আসন সংরক্ষণ, জামালপুরে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে আসন সংখ্যা বাড়ানো, বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের স্টেশনের ভেতরে যাতায়াতের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত টয়লেট সুবিধা, প্লাটফর্মে বগির অবস্থান নির্ণয়, রুচিসম্মত ও মানসম্মত খাবার পরিবেশন এবং প্লাটফর্মে ঝামেলামুক্তভাবে যাত্রীদের লাগেজ পরিবহনের জন্য পর্যাপ্ত ট্রলির ব্যবস্থা রাখা, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চালু, ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করে চিলমারী পর্যন্ত কানেকটিং ট্রেন চালু করতে হবে। এছাড়া ময়মনসিংহ শহরের মধ্য দিয়ে চলমান রেললাইনটি মূল শহরের মাঝখান থেকে দক্ষিণ অংশে বাইপাস সড়কের সমান্তরালে স্থাপন এবং রেললাইনের জায়গায় একটি প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ, নেত্রকোনা জেলায় জারিয়া থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রেললাইন সম্প্রসারণ, নোয়াখালী জেলায় চৌমুহনী থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণ এবং সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও রংপুর রেলপথ সংযোগ প্রকল্প দ্রুত শেষ করার কথা বলা হয়েছে। 

বরগুনার আলো