• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক রাইসি-আমির আব্দুল্লাহিয়ান মারা গেছেন: ইরানি সংবাদমাধ্যম সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতে কাজ করছে বিএসটিআই: প্রধানমন্ত্রী চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত

ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিই লক্ষ্য - মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি করে নিজের জীবনমান উন্নয়ন করা নয়, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত ব্যবসায়ী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

‘শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’ স্লোগান ধারণ করে ব্যবসায়ী সম্মেলন শুরু হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে ফুটে ওঠে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশা। এ সময় তারা দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের মতো বড় প্রকল্প, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, কিংবা বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি চোখে পড়েছে বিশ্বময়। দেশের অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে জয়ী করে শান্তি ও সমৃদ্ধির দেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। সম্মেলনে দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা ও শিল্পপতিরা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান এবং নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে তার পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, মীর নাসির হোসেন, এ কে আজাদ, বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিসেস নিহাদ কবির, বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা রোকেয়া আফজাল রহমান, মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ, আতিকুল ইসলাম, এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলা, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মোক্তাদির, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফলি, বিএসআরএম স্টিলের চেয়ারম্যান আলী হুসেন আকবর আলী, এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী চৌধুরী, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সোনিয়া বশীর কবির, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ ব্যবসায়ী নেতারা।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন। আমরা চাই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। যেনতেনভাবে নয়, জনগণের ভোটেই আবার ক্ষমতায় আসতে চাই। নির্বাচনে যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে সে জন্য সবার সাহায্য চাই। তিনি বলেন, আমি কী পেলাম, না পেলাম তা নিয়ে চিন্তা করি না। আমি চিন্তা করি, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কী করে গেলাম, কী রেখে গেলাম। কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে সুন্দর শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ আছে। সবাই যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশটা বজায় রাখে। এখানে জনগণ ভোট দেবে, যাকে দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে। আমার এমন কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই, যেনতেনভাবে ক্ষমতায় আসতে হবে। দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিক। ভোট দিয়ে তারা তাদের সরকার পছন্দ করে নিক। সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, খুব পরিকল্পিতভাবেই আমাদের পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি। এগুলো বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, তার জন্য অবশ্যই আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাইব। তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট চাই, যেন উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখতে পারি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব; এ সুযোগটা আমি দেশবাসীর কাছে চাই, আপনাদের কাছে চাই। যারা এখানে উপস্থিত বা যারা আসতে পারেননি তাদেরও আমি এই আবেদনই জানাব, অন্তত নৌকা মার্কায় আমাকে ভোট দিয়ে আরেকবার সুযোগ দিন আপনাদের সেবা করার। আমার উন্নয়নের কাজগুলো যেন আমি সম্পন্ন করতে পারি। যদিও এর শেষ নেই। উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। তারপরও যে কাজগুলো হাতে নিয়েছি, তা যেন আমরা পালন করতে পারি। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আজকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। এখন দেশে-বিদেশে যেখানেই যান বাঙালি জাতি হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে যে সম্মানটা পাচ্ছেন, তা যেন অব্যাহত থাকে, তা-ই আমি চাই।

প্রধানমন্ত্রী সরকারের টানা মেয়াদে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, এই বিদ্যুৎ কিন্তু কখনো বেসরকারি খাতে ছিল না। কেবলমাত্র সরকারি খাত থেকে উৎপাদন হতো। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা আইন করে এটা বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিই। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যারা শিল্পমালিক তাদেরও অনুমোদন দিই। তারা দশ-বিশ-ত্রিশ মেগাওয়াট যা-ই পারেন ক্যাপটিভ জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নিজের ফ্যাক্টরিতে ব্যবহার করাসহ পাশে বিক্রি করতে পারবেন। আমরা এ সুযোগ করে দিই। শেখ হাসিনা বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না। আর সব কাজ সরকার একা করবে না। সরকারের হাতে কিছু থাকবে, যাতে অর্থনৈতিক অবস্থাটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং একটা সুস্থ পরিবেশ রাখতে পারে। কিন্তু মূল ব্যবসাটা করবে বেসরকারি খাত। তাই যখনই আমরা সরকারে এসেছি, বেসরকারি খাতের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমরা ব্যবসা করতে আসিনি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসা করার মতো পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া— এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই রাজনৈতিক দল এই উপমহাদেশে, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার একবার ঘোষণা দিয়ে ফেলে দিই না। এই ইশতেহারটা আমাদের সঙ্গে থাকে। সেই সঙ্গে যখনই কোনো প্রজেক্ট নিই বা বাজেট করি; তখন এই বাজেট করার সময় প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়েই নির্বাচনী ইশতেহারের একটা কপি দিই। কারণ আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি সেই ওয়াদা পূরণ করতে চাই। যদি সুযোগ হয় তার চেয়েও বেশি করি। সামনে সরকারের অনেক পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতির পিতা একটা কথা বলতেন, বাংলাদেশকে তিনি গড়ে তুলবেন প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে।

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কিন্তু প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া করতে যাইনি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধান করার প্রচেষ্টা নিয়েছি এবং একটা এগ্রিমেন্টেও সই করেছি। ঠিক সেভাবে সমুদ্রসীমা, স্থলসীমানাসহ যেসব জায়গায় এতটুকু জটিলতা ছিল, তা আমরা সমাধান করেছি। তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন। আমি অনেক কিছু সহ্য করেও সবার সঙ্গে বসে কথা বলেছি। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করেছি। মেগাপ্রজেক্টসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রকল্প ও গৃহীত পদক্ষেপগুলোর প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, যে কাজগুলো আমরা করে যাচ্ছি, দারিদ্র্য বিমোচনের যে কর্মসূচি নিয়েছি, তা যেন বাস্তবায়ন করতে পারি। আপনাদের জন্য ব্যবসাবান্ধব একটা পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। অন্তত এখন তো এটুকু বলতে পারবেন না, কেউ হাওয়া ভবন খুলে সব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে থাবাথাবি করছে; কিছু করতে গেলেই ভাগ দিতে হবে। অন্তত আমরা তা করি না। করব না, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। সরকার হিসেবে দায়িত্ব পরিবেশ সৃষ্টি করা

বরগুনার আলো