• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

আমদানিনির্ভরতা কমাতে দেশেই নির্মিত হচ্ছে পেঁয়াজ গুদাম

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৯  

চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকে হঠাৎই অস্থির পেঁয়াজের বাজার। পাইকারি ও খুচরা বাজারে সমানতালে বেড়েছে দাম। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভাব ও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়াতেই মূলত দাম চড়া।

দেশে তেল, ডাল, গম ও আলুর জন্য গুদাম থাকলেও পেঁয়াজ সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে, আপৎকালীন সময়ে পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়ে সরকার। ভারতসহ অন্য দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমাতে সারাদেশের কয়েকটি স্থানে প্রথমবারের মতো আধুনিক পেঁয়াজ গুদাম নির্মাণ করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

টিসিবি সূত্র জানায়, দেশে পেঁয়াজের গড় চাহিদা ২৪ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদন হয় প্রায় ২৪ লাখ ৩০ হাজার টন। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ঘাটতি থাকে বলে আমদানির মাধ্যমে তা পূরণ করা হয়। চলতি বছর পেঁয়াজ সংরক্ষণ ব্যাহত হয়েছে। শুরুতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে বেশ কম দামে। অনেক পেঁয়াজ নষ্টও হয়েছে। ফলে, সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টন ঘাটতি দেখা দেয়। সাধারণত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে এই ঘাটতি পূরণ করা হয়। এবার, আমদানিনির্ভরতা কমাতে দেশে নির্মিত হচ্ছে পেঁয়াজ গুদাম।

জানা যায়, দেশে প্রয়োজন অনুযায়ী একাধিক গুদাম নির্মিত হবে। পাবনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, দিনাজপুর ও রংপুরে অধিক পরিমাণে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর পাইকারি বড় মোকাম বসে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, দিনাজপুর ও পাবনায়। প্রয়োজন অনুযায়ী এসব স্থানে পেঁয়াজ গুদাম নির্মাণ করা হবে। এছাড়া, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রধান দুই রুট যশোরের বেনাপোল ও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরেও আধুনিক গুদাম নির্মিত হবে। কোনো কারণে দাম বেড়ে গেলে এসব গুদাম থেকে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি।

কৃষকরা সাধারণত পেঁয়াজ বাছাই ও গ্রেডিংয়ের পর বাঁশের মাচা, ঘরের সিলিং, প্লাস্টিক বা বাঁশের র‌্যাক অথবা ঘরের পাকা মেঝেতে শুষ্ক ও বায়ু চলাচলযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করেন। সারাদেশে কয়েকটি আধুনিক শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) গুদাম নির্মাণের ফলে এভাবে আর পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে হবে না। এসব গুদামে তাপমাত্রা হবে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পেঁয়াজ গুদাম নির্মাণে আলাদা প্রকল্প তৈরি শুরু করেছে টিসিবি। এধরনের প্রকল্প বাংলাদেশে এটাই প্রথম। তাই বিভিন্ন দেশ থেকে ধারণা নেওয়া হচ্ছে। তবে, এখনো গুদামের সংখ্যা, নির্মাণের স্থান ও প্রকল্প ব্যয় চূড়ান্ত হয়নি। সব কাজ শুরু হয়েছে মূলত পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে। টিসিবি মনে করে, এসি গুদাম নির্মিত হলে পেঁয়াজ নিয়ে আর বিপাকে পড়বে না সরকার।
 
এ প্রসঙ্গে টিসিবি সচিব এনামুল হক  বলেন, সারাদেশে আলু সংরক্ষণে গুদাম রয়েছে, অথচ পেঁয়াজের জন্য নেই। চলতি বছরে পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে দেশে প্রথমবারের মতো এসি পেঁয়াজ গুদাম নির্মাণ করা হবে। কয়টি গুদাম কোথায় কোথায় নির্মাণ করা যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। এখন প্রকল্প প্রস্তুতের কাজ চলছে।

বরগুনার আলো