• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

তিতাস নদী পুনঃখননের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৯  

পর্যায়ক্রমে দেশের সব ভরাট হয়ে যাওয়া নদীগুলো ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পুনঃখনন করে দ্রুত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। নদীগুলো পুনঃখননের ফলে নৌ চলাচলের সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো সম্ভব হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ‘কুমিল্লার তিতাস ও হোমনা উপজেলায় তিতাস নদী (লোয়ার তিতাস) পুনঃখনন’ করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৭৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের পর এটি চলতি বছরের অক্টোবর থেকে জুন ২০২২ সালে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের ডিপিপি থেকে জানা গেছে, বর্তমানে লোয়ার তিতাস নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় নাব্যতা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। হোমনা ও তিতাস উপজেলায় অবস্থিত ভরাট হয়ে যাওয়া নদী খননের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে। নদী পথের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) গত বছর একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে। ওই কারিগরি কমিটির সুপারিশের আলোকে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ প্রকল্পটির ওপর গত বছরের অক্টোবরে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে।

প্রকল্পটির উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, তিতাস নদী পুনঃখননের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করে জলাবদ্ধতা দূর করা হবে, অনাবাদি জমি আবাদযোগ্য করা, নদী পুনঃখননের মাধ্যমে সেচযোগ্য পানির মজুদ বৃদ্ধি করা। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে ১৮ লাখ ঘন মিটার নদী ড্রেজারের মাধ্যমে পুনঃখনন করা, ১২ লাখ ঘন মিটার নদী এক্সকেভেটর দ্বারা পুনঃখনন করা, অফিস ভবন ও কলোনি মেরামত ৬টি এবং সিসি ব্লক দ্বারা ১১টি ব্রীজের ফাউন্ডেশন ট্রিটমেন্ট করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটির পিইসি সভায় প্রস্তাবিত ব্যয় ছিল ৪৭ কোটি টাকা। কিন্তু পুনর্গঠিত ডিপিপিতে মোট ব্যয় প্রায় ৩০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৭৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরের অক্টোবর থেকে জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত করার জন্য সুপারিশ করা সত্ত্বেও পুনর্গঠিত ডিপিপিতে ২ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ জানাতে বলা হয়েছে।

প্রকল্পটির পুনর্গঠিত ডিপিপিতে নদী পুনঃখনন খাতে পূর্ব নির্ধারিত প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ড্রেজার দ্বারা ও ৫৮ লাখ টাকা এক্সকাভেটর দ্বারা অতিরিক্ত ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। এর যৌক্তিকতা পুনর্গঠিত ডিপিপিতে দেয়া হয়নি। সভায় নদী পুনঃখনন খাতে ব্যয় বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশন।

বরগুনার আলো