• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

যমুনার ভাঙন ঠেকাতে আসছে নয়া প্রকল্প

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২০  

জামালপুর ও বগুড়া জেলার কিছু অংশ যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৬ দশমিক ২৫০ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

‘জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলাধীন প্যাকেজদরসহ ও বালিজুরি এবং বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলাধীন জামথল এলাকা যমুনা নদীর ভাঙন হতে রক্ষা’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
 
প্রকল্পের অওতায় যমুনা নদীর ভাঙনমুক্ত করাসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি অবকাঠামো শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কৃষি, অকৃষি জমি, ফসলাদি, জনসাধারণের ঘরবাড়ি ইত্যাদি রক্ষা করা হবে। ২ হাজার ৩১১ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে প্রকল্প এলাকা সংশ্লিষ্ট প্রায় ১০ হাজার লোক সরাসরি উপকৃত হবেন। আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নসহ এলাকার নিরাপত্তা ও জাতীয় অর্থনৈতিক বিরুপ প্রভাব থেকে রক্ষা করা হবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নানা কারাণে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। যমুনা নদীর মূল সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ হলো এর ক্রমাগত চ্যানেল পরিবর্তন করা। যমুনা নদীতে স্থির ও সুনির্দিষ্ট নদীতল গড়ে না।  প্রতি বর্ষাতেই নতুন নতুন চ্যানেলের সৃষ্টি হয় এবং পুরাতন চ্যানেল পরিত্যক্ত হয়। বাংলাদেশের বড় বড় নদ-নদীগুলির ভাঙন একটি বিরাট সমস্যা। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী জনগণের জীবনযাত্রার ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। সাধারণ বন্যায় কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনের জন্য উপকারী হলেও ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে কৃষি ও মৎস্য জমি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদী ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অনিয়ন্ত্রিত ও ক্রমবর্ধমান নদী ভাঙনের কারণে অতিগুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ক্ষতি হচ্ছে। বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতি চরম আকার ধারণ করেছে। এতে করে বিভিন্ন খাতের বিনিয়োগ যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি উর্বর জমির উৎপাদন ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (উন্নয়ন অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম বলেন, “যমুনা নদীর কারণে নদী পাড়ের মানুষের অভাব বাড়ছে। নদীমাতৃক দেশে পানি বাড়বেই। এগুলো মেনেই আমাদের চলতে হবে। নদী খনন করে বন্যার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হবে। যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আসলে আমাদের উচিত পরিকল্পনাভাবে যমুনা নদীর পাড় বাঁধা। কিন্তু বিরাট ব্যয় বহন করা সম্ভব হয় না। তাই আমরা বিক্ষিপ্তভাবে উদ্যোগ নিচ্ছি। ”

 

বরগুনার আলো