• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

বাঙালিদের হত্যা করে এ কুয়াতেই ফেলত পাকিস্তানি হানাদাররা

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২০  

১৯৭১ সালে রংপুর টাউন হলকে টর্চার সেল বানিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদাররা। টাউন হলের উত্তর পাশে ছিল একটি কুয়া। এ কুয়ার পাশেই ছিল একটি বড়ই গাছ। সেই গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হতো বাঙালিদের। এরপর হত্যা করে কুয়ায় ফেলে দেয়া হতো। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর দৃশ্যমান হলো সেই কুয়া।

সম্প্রতি ওই স্থানটিকে বধ্যভূমি হিসেবে চিহ্নিত করে নির্মাণ করা হচ্ছে স্মৃতিসৌধ। সোমবার নির্মাণের জন্য শ্রমিকরা মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে নির্যাতনের চিহ্ন কুয়াটি। সেখানে পাওয়া গেল মানুষের হাড়গোড় ও দুটি দাঁত।

১৯৭১ সালের পুরো ৯ মাস মুক্তিকামী নিরপরাধ বাঙালিদের ধরে এনে টাউন হলে চালানো হতো নির্মম নির্যাতন। বাঙালি রমনীদের ধরে এনে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হতো। পরে এক সময় তাদের হত্যা করা হতো।

অসহায় নারী-পুরুষের আত্মচিৎকারে ভারী হয়ে উঠতো টাউন হল চত্বর। টাউন হল সংলগ্ন উত্তর পাশে ছিল একটি বড় পাকা কুয়া। ঠিক কুয়ার পাশেই ছিল বিশাল এক বড়ই গাছ। প্রতিদিন সেই গাছের ডালে ঝুলিয়ে নিরপরাধ মানুষগুলোকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করা হতো। নির্মম নির্যাতনের পর এক সময় তাদের হত্যা করে বড়ই গাছের নিচে কুয়ায় অথবা পাশের তৎকালীন উদ্ভিদ উদ্যান কেন্দ্র (বর্তমানে চিড়িয়াখানা) আমবাগানে মাটিচাঁপা দিয়ে রেখে দিতো।

স্বাধীনতার পরের দিন ১৭ ডিসেম্বর অনেকেই আমবাগানে অসংখ্য গলিত এবং অর্ধগলিত লাশ দেখেছে। ওই স্থানটিকে বধ্যভূমি হিসেবে চিহ্নিত করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডি এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, যে স্থানটিতে স্মৃতিসৌধ হচ্ছে ওই স্থানে পাকিস্তানি হানাদাররা বাঙালিদের ধরে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করতো। স্বাধীনতার পরদিন সেই স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে ১৪৭টি মানুষের মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছিল।

বরগুনার আলো