• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

পায়রা সেতুর উদ্বোধন আজ, দক্ষিণাঞ্চলের আরেকটি স্বপ্নপূরণ

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২১  

উন্নয়নের মহাসড়কে আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হলো দক্ষিণাঞ্চলবাসীর। পটুয়াখালীতে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম পায়রা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে আজ। সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।

সেতুটি চালু হলে বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দর পর্যন্ত সড়ক পথ হবে ফেরিবিহীন। যোগাযোগ ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহন এবং পর্যটনের নতুন দ্বার উন্মোচন হয়ে অর্থনীতিতে গতি আসবে এই অঞ্চলের মানুষের।

সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৪০০ আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে সেতুর পটুয়াখালী প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন- পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এমপি। এছাড়া দুমকী প্রান্তে উপস্থিত থাকবেন বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার সংসদ সদস্যরা, সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী ও প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর, শেখ হাসিনা সেনা নিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো. জিয়াউর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল, ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খানসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জানা যায়, পায়রা নদীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে চার লেনের লেবুখালী পায়রা সেতু। পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী পয়েন্টে পায়রা নদীতে পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায় ২০১২ সালে। নকশা জটিলতায় দীর্ঘ সময় কাজ বন্ধ থাকলেও নির্মাণযজ্ঞ শেষ করে এখন যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত এই সেতু। এক হাজার চার শ সাত চল্লিশ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালে ২৪ জুলাই সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড।

নান্দনিক নির্মাণ শৈলীতে দ্বিতীয় কর্ণফুলী সেতুর আদলে করা প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে ও ২০ মিটার প্রস্থের সেতুর মাঝ বরাবর একটি মাত্র পিলার বসানোর ফলে নদীর গতিপথ থাকবে সচল। দুই পাড়ে প্রায় সাত কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ও আধুনিক টোল প্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে। রাখা হয়েছে ওজন পরিমাপের ব্যবস্থা।

সেতুটি চালু হলে এর কোনো সমস্য হচ্ছে কি না তা নির্ণয়ের জন্য সচল থাকবে ব্রিজ হেলথ মনিটরিং সিস্টেম। আধুনিক এ সেতু চালু হওয়ায় খুশি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সাগর, সুজনী বিদ্যানিকেতনের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া, স্থানীয় ব্যবসায়ী আলী আকবরসহ এ অঞ্চলের সব মানুষের মনেই উচ্ছ্বাস। অত্যাধুনিক এ স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সবাই।

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাঙ্খিত একটি স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার প্রতি এ অঞ্চলের মানুষের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন হয় এটা বার বার প্রমাণিত। এ অঞ্চলের মানুষ সারা জীবন শেখ হাসিনার জন্য দু’হাত তুলে দোয়া করেন।

পায়রা লেবুখালী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হালিম বলেন, দীর্ঘ কর্মযজ্ঞ শেষে পায়রা সেতু এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত যান চলাচলের জন্য। এটি অত্যাধুনিক একটি সেতু। পদ্মা সেতু চালু হলে সারা দেশের সঙ্গে এই সেতু চালুর মাধ্যমে কুয়াকাটা পর্যন্ত ফেরিবিহীন যান চলাচলের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

এছাড়া পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটাকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটবে বলেও মনে করেন তিনি। পর্যটন শিল্প বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি এ সেতু চালু হলে পায়রা বন্দরের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মুক্ত হবে এবং পটুয়াখালী তৃতীয় অর্থনৈতিক করিডোরে রুপান্তরিত হবে বলে মন্তব্য এই কর্মকর্তার।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, এ সেতু চালুর ফলে পায়রা বন্দর, পর্যটন নগরী কুয়াকাটা, নির্মাণাধীন পটুয়াখালী ইপিজেডসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবন মান পাল্টে যাবে। কৃষি এবং মৎস্য শিল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। কুয়াকাটা পর্যটন নগরী হবে ঢাকার সবচেয়ে কাছের সমুদ্র সৈকত। আগামী দিনে পটুয়াখালী দেশের তৃতীয় অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবে আর্বিভূত হবে।

বরগুনার আলো