• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

গোপালগঞ্জের পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশন শাখায় দাখিল করা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় চারটি ভলিউমে ৩৯৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করেন।

পাঁচ ব্যক্তির তিনজন হলেন- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার দিয়াসুর গ্রামের বাসিন্দা মোতাহার উদ্দিন সিকদার, সাধুহাটি গ্রামের ইনায়েত হোসেন মিয়া ও তার ভাই নিজামুল হক মিয়া ওরফে লুথু মোল্লা। তদন্তের স্বার্থে বাকি দু'জনের নাম প্রকাশ করেনি তদন্ত সংস্থা। এর মধ্যে মোতাহার উদ্দিন সিকদার গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক। অন্য এক আসামি দিয়াসুর গ্রামের এবিএম রফিকুল আলম সিকদার গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করায় তাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এসব আসামি মুক্তিযুদ্ধের সময় কাশিয়ানী এলাকার ছোট বাহিরবাগ, রামদিয়া বাজার পোস্টঅফিস, সিতারামপুর গ্রাম ও প্রিন্সিপাল আইয়ুবুর রহমানের বাড়িতে হত্যা, অপহরণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, আটক, নির্যাতন ও লাশ গুমসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত করে। তাদের বিরুদ্ধে চার ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

এর আগে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার কথা জানান সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হাননান খান। এ সময় জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক এম সানাউল হকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আসামিরা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহায়তায় সিরাজ মিয়াকে ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে, ওড়াকান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আব্দুস ছালাম মিয়াকে ধরে নিয়ে হত্যা করে এবং সিতারামপুর গ্রাম ও এর আশপাশ এলাকায় নয়টি বাড়িতে লুটপাট-অগ্নিসংযোগ করে। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কাদের মোল্লা ও মকবুল হোসেনকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। তারা পাকিস্তানি বাহিনীর সহায়তায় রামদিয়া বাজারে স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনের অন্তত ৫০-৬০টি দোকান লুটপাট করে এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এরপর প্রিন্সিপাল আয়ুবুর রহমানের বাড়িতে লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর শুরু হয়ে গতকাল তদন্ত শেষ হয়েছে। আসামিদের মধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকি চারজনের মধ্যে পলাতক আসামি ইনায়েত হোসেন মিয়া, নিজামুল হক মিয়া এই আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। অন্য দু'জনের বিরুদ্ধে এখনও পরোয়ানা জারি হয়নি। আসামিরা সবাই '৭১ সালে মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। বর্তমানে তাদের বেশিরভাগই স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থক বলেও জানানো হয়।

বরগুনার আলো