• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

চালুর প্রহর গুনছে স্বপ্নের রূপসা রেলসেতু

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২২  

দেশের দীর্ঘতম রূপসা রেলসেতু এখন চালুর প্রহর গুনছে। স্বপ্নের রূপসা রেলসেতুর ৯৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে এখন একেবারে শেষের পথে নির্মাণকাজ।

প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের দক্ষিণের অন্যতম মেগা প্রজেক্ট ছিল রূপসা রেলসেতুর নির্মাণকাজ। কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আশা করা হচ্ছে, চলতি বছর জুনেই দেশের দীর্ঘতম এ রেলসেতুর উপর দিয়ে চলবে ট্রেন।

এ সেতু চালু হলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। সুন্দরবনের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা বাড়বে, ব্যবহার বাড়বে মোংলা বন্দরের। সেতু বাস্তবায়নে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিল্পায়নসহ অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হবে। ভাগ্য খুলবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর। সেতু চালু হলে অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের অনেক দ্বার খুলবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভারত, নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন সহজ হবে। বিভিন্ন স্থান থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও সহজে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারবেন।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পটির কাজ ৩টি ভাগে বিভক্ত। এর একটি রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু, অপরটি রেললাইন এবং অন্যটি টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং। প্রকল্পের আওতায় লুপ লাইনসহ রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। রূপসা নদীর উপরে যুক্ত হচ্ছে ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতু।

এছাড়া ২১টি ছোট সেতু ও ১১০টি কালভার্ট নির্মাণ এবং খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৮টি স্টেশন নির্মাণের কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর ওপর রেলসেতুর নির্মাণকাজ করছে। বাকি কাজ করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।

এ রেলসেতুর জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন ও রেলসেতু নির্মাণসহ সমগ্র প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এটি হবে দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু।

২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর রূপসা রেলসেতুর পাইলিংয়ের কাজ উদ্বোধন করা হয়।

সেতুর অগ্রগতি সম্পর্কে রূপসা রেলসেতুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন ম্যানেজার সুব্রত বলেন, প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ শতাংশ। চলতি বছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

বরগুনার আলো