• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নেদারল্যান্ডসের আদলে গড়ে তোলা হবে যমুনা রিভার ইকোনমিক করিডোর

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২২  

যমুনা নদী ঘিরে নেয়া হয়েছে সোয়া তিন লাখ কোটি টাকার প্রকল্প। এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নদী প্রকল্প। নদীশাসনের মাধ্যমে বন্যা ও নদীভাঙন রোধ, পানিপ্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি দুই তীরে গড়ে উঠবে অর্থনৈতিক অঞ্চল, টাউনশিপ ও ইকো টুরিজম। ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহন বাড়বে তিন গুণ; আর নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাড়বে আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্য। অর্থনীতিবিদদের আশা, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে যমুনা ইকোনমিক করিডোর জিডিপিতে যোগ করবে ৩৬৪ বিলিয়ন ডলার। যমুনাপারের বাসিন্দাদের যেন কষ্টের সীমা নেই। প্রতিনিয়ত ভাঙনে নিঃস্ব জনগোষ্ঠীকে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগই দেয় না যমুনার সর্বগ্রাসী ভাঙন।

এমন অবস্থার পরিবর্তনে যমুনা নদী ঘিরে সোয়া তিন লাখ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। যমুনা রিভার ইকোনমিক করিডোর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটিতে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বিশ্বব্যাংক। দুই পাড় বাঁধাই করে পর্যায়ক্রমে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতুর উত্তর পাড় থেকে কুড়িগ্রামের নুনখাওয়া পর্যন্ত ২৩০ কিলোমিটার ঘিরে ইকোনমিক করিডোর, টাউনশিপ, ইকো টুরিজম গড়ে তোলা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, পানি প্রবাহ ঠিক রাখা এবং পাড় বাঁধাই নিয়ে বড় ধরনের কাজের অধ্যয়ন চলছে।

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই নদী প্রকল্পের আওতায় নদীভাঙন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। বর্তমানে নদীর প্রস্থ ১২ থেকে ২০ কিলোমিটার হলেও নদীশাসনের মাধ্যমে দুই পাড় সংকুচিত করে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে রূপ দেয়া হবে। পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বাড়ানো হবে গভীরতা।

ভারতের সঙ্গে বছরে পণ্য পরিবহন তিন গুণ বেড়ে দাঁড়াবে ১ দশমিক ১৫ কোটি টনে। বর্তমানে নাব্য সংকটের কারণে যা মাত্র ৩৫ লাখ টন। এ ছাড়া নৌপথে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও পণ্য পরিবহন করা যাবে। সেই সঙ্গে ২০৪৪ সাল নাগাদ দেশের অর্থনীতিতে ৩৬২ বিলিয়ন ডলার বা ৩০ দশমিক ৭১ লাখ কোটি টাকা যুক্ত হওয়ার আশাবাদ।

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘এখানকার ইকো টুরিজমটা আমরা মোটেও ব্যবহার করছি না। সেটা করতে পারলে বড় ধরনের একটা কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে।’

নেদারল্যান্ডসের আদলে গ্রহণ করা ডেলটা প্ল্যান বা বদ্বীপ পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ যমুনাকেন্দ্রিক এ প্রকল্প।

বরগুনার আলো