• শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

  • || ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ড. ওয়াজেদ মিয়া অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’

বই পাঠের অভ্যাস শিশুর মানসিক বিকাশে সহায়ক

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮  

মানুষ আজন্ম জ্ঞান পিপাসু। তার সবকিছুই জানার আগ্রহ থাকে। তার অদম্য জানার স্পৃহাকে একমাত্র দমন করতে পারে বই। যা হাতের কাছে পাওয়া যায় তাই যদি মানুষ পড়ে তা হলেও অনেক কিছু শিখতে পারে।
বই পড়ার গুরুত্ব যিনি উপলব্ধি করেছেন, বই পড়াকে যিনি অভ্যাসে পরিণত করতে পেরেছেন, তার এটি একটি নেশার মতো। বই পড়াতে আনন্দ আছে। এ আনন্দ একমাত্র পাঠকই বুঝতে পারবেন। যিনি কিছু জানতে চান, তাকে বই পড়তেই হবে। কারণ জ্ঞানার্জনের জন্য বই পড়ার চেয়ে সহজ মাধ্যম দ্বিতীয়টি নেই।
বই পড়ার জন্য প্রথম প্রয়োজন অভ্যাস। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, শৈশব থেকেই এই অভ্যাস তৈরি করতে হবে, এটা অত্যন্ত সহজ ব্যাপার। অভিভাবকদেরকেই এ দায়িত্বটা নিতে হবে।
সব শিশুই বই ভালবাসে, বিশেষ করে আনন্দমূলক কোন বই। এ ধরনের কোনো বই হাতের কাছে পেলেই তারা পড়তে চেষ্টা করে। ভালোভাবে পড়তে না পারলে বানান করে পড়ে। তাও যদি না পারে তবে ছবি দেখে বুঝতে চায়। সব শিশুদের মধ্যে এ আগ্রহটা আছে।
অভিভাবকদের উচিত শিশুদের এ আগ্রহটা কাজে লাগানো। শিশুরা যখন একটু পড়তে শেখে, তখন সে অনেক কিছুই পড়তে চায়। অনেক অভিভাবক তাতে বাধা সৃষ্টি করেন। ক্লাসের পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য কোন বই পড়তে দিতে তারা নারাজ। এটা ঠিক নয়; বরং উচিত বই পড়ার ব্যাপারে তাদের উৎসাহিত করা। নতুন বই সংগ্রহ করে দেয়া, ভাল ভাল বই কিনে দেয়া।
পাঠাভ্যাস যেহেতু জন্মগত কোন বিষয় নয়, সেই জন্য মানব শিশুর ক্ষেত্রে পাঠাভ্যাসের চর্চা, পরিশীলন ও পাঠাভ্যাস বৃদ্ধির একান্ত প্রয়োজন রয়েছে। শিশুকে খুশি করার জন্য আমরা অনেক আয়োজন করি। শিশুকে ঘিরে আমরা সবাই গড়ে তুলতে চাই এক আলোময় আনন্দলোক। যদি শিশুটির শৈশবের গোড়াপত্তন হয় গল্পের বই পড়া ও শোনার মধ্যে, তবে সে এই অভ্যাসকে সহজপ্রাপ্য নিত্য অভ্যাসের বিষয় হিসাবেই নেবে। এভাবেই পুস্তকের সঙ্গে শিশুর ঘটবে পরিচয় ও ভালোবাসা।
সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস সৃষ্টি ও এর উন্নয়ন এবং মানুষকে গ্রন্থ ও গ্রন্থাগার মনস্ক করা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। অপরাপর যে কোন অভ্যাসের ন্যায় পাঠাভ্যাসও শিশু-কিশোর বয়স থেকে গড়ে তোলা যেমন সহজ, তেমনি কার্যকরও বটে। শৈশব ও কৈশোরে পড়বার ও জানবার আগ্রহ থাকে সব চাইতে তীব্র। আবেগ ও কৌতুহলে মনে হয় রোমাঞ্চিত। সে বয়সেই ছেলে মেয়েদের বই পড়ার দিকে আগ্রহী করে তোলা প্রয়োজন।
বই মানুষের জীবনের নিত্য সঙ্গী । শিক্ষা অর্জনের একমাত্র ধারক ও বাহক হলো বই। বই মানুষের মনের খোরাক জোগায়, সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটায়। মানুষের প্রতিভাকে ফুলের মতো প্রস্ফূটিত করে। যে জাতি যত শিক্ষিত সেই জাতি তত উন্নত। আর এই উন্নতির মূলে রয়েছে বই। বই মানুষের জীবনকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যায়।
মনীষী লিও টলস্টয় বলেছেন, মানুষের জীবনের শুধু তিনটি জিনিসের প্রয়োজন সে তিনটি জিনিস হলো বই, বই এবং বই।
ওমর খৈয়াম বলেছেন, রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে, কিন্তু একটি বই অনন্ত যৌবনা যদি বইটি তেমন বই হয়।
গ্রন্থপাঠ ও গ্রন্থ ব্যবহার দুই-ই মানুষের মনে সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গঠনের হাতিয়ার হয়ে কাল থেকে কালান্তরে ধাবিত হয়। গ্রন্থ পাঠ ও গ্রন্থের ব্যবহারের নেশা যদি মনের মধ্যে সৃষ্টি হয় তাহলে পাঠাভ্যাস বৃদ্ধিও একটি সহজতম ব্যবস্থা। সাধারণত জানবার অনুসন্ধান থেকে পাঠাভ্যাসের আগ্রহ বাড়ে।
একটা বই পড়ে আপনি কতটা লাভবান হতে পারবেন তা কল্পনাও করতে পারবেন না, তা হবে অশেষ ও সীমাহীন। অবসর সময়ে যখন কেউ থাকে না আপনার সঙ্গে কথা বলার, তখন আপনি নিশ্চিন্তে এই নিস্তব্ধ জগতের সাথে মিতালী পাতিয়ে ফেলে অন্য জগতে চলে যেতে পারেন।
তাই পরিশেষে বলব, আজকের শিশু আগামী দিনের দেশের যোগ্য নাগরিক, তাই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কোমলমতি শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলতে, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত,তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়তে অবশ্যই শিশুদের বই পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
বরগুনার আলো