• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

ড্রাগনের রক্ত বয়ে চলেছে যে গাছ!

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৯  

 

দূর থেকে দেখলে গাছগুলোকে মনে হবে ছাতা। সোজা কান্ডের ওপর ভর করে রয়েছে শাখা-প্রশাখা। আর তাতেই ভরে রয়েছে অগণিত পাতা। তাই ছাতার মতো মনে হয় তাদের। এই গাছে আঘাত করলে কিছুটা চমকে উঠবেন আপনি। কারণ, ক্ষত থেকে বেরিয়ে আসবে রক্ত! প্রচলিত রয়েছে, বহু বছর ধরে ড্রাগনের রক্ত বহন করে চলেছে এই গাছগুলো। আর তাইতো তাদের ‘ড্রাগন ট্রি’ বলা হয়। 

অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত একটি দ্বীপ ‘ক্যানারি’। আর এই দ্বীপেই দেখা মিলবে আশ্চর্য এই বৃক্ষের। কিন্তু কেন এদের ড্রাগন ট্রি বলা হয়? ড্রাগনের রক্তের সঙ্গে এদের কী সম্পর্ক? সব প্রশ্নের পেছনে লুকিয়ে আছে অদ্ভুত এক কল্পকাহিনী। 

গ্রিক পুরান অনুযায়ী, হেসপেরাইডসের বাগান থেকে হারকিউলিসকে তিনটি সোনার আপেল ফিরিয়ে আনতে হতো। কিন্তু আপেল আনা যে বড্ড কষ্টের। কারণ সেগুলো পাহারা দিচ্ছিল শতমুখী ড্রাগন ল্যান্ডন। আপেল আনতে হলে ড্রাগনকে মেরে তবেই আনতে হবে। আর তাই শুরু হয় হারকিউলিস-ড্রাগন যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে মৃত্যু হয় ড্রাগনটির। আর তার রক্ত ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। 

সেই রক্ত থেকেই নাকি জন্মেছে এই গাছগুলো। তাইতো এদের নাম ড্রাগন ট্রি। ড্রাগনের রক্ত বুকে বয়ে চলেছে এরা। এই গাছ কাটলেই বয়ে যায় রক্তের ধারা। বিজ্ঞানীরা অবশ্য জানাচ্ছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, যেই তরলকে রক্ত বলে মনে করা হয় তা আসলে রেজিন। গাছের এক ধরনের উপক্ষার এটি। 

নাম কিছুটা ভয়ানক হলেও এই গাছের কিন্তু রয়েছে অনেক উপকারিতা। বিশেষত রক্তবর্ণ সেই উপক্ষারের। প্রাচীনকালে পেটের নানা সমস্যায় ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হতো এই রক্ত। কাজে লাগানো হতো বিভিন্ন রঞ্জক হিসাবে কিংবা টুথপেস্ট তৈরিতে। 

আরেকটি মজার বিষয় হলো সাধারণ গাছের মতো এই গাছে কোনো বর্ষবলয় তৈরি হয় না। তাহলে কীভাবে বয়স নির্ধারণ করা হয়? জানা যায়, কান্ডের সংখ্যা দেখে এর বয়স নির্ধারণ করা হয়। 

আপনি কি কখনো এই ড্রাগন ট্রি দেখেছেন? সেগুন গাছের কচি পাতা ঘসলেও কিন্তু রক্তের খোঁজ মেলে! কখনো সেই পাতা হাতে নিয়ে কি ঘষে দেখেছেন? ক্ষুদে বড়লা নামের আরেকটি গাছ থেকেও এমন লাল রং নিঃসৃত হয়। তবে আমাদের দেশে গাছটি বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় বলা চলে। 

বরগুনার আলো