• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলার রায় কাল

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২০  

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আগামীকাল অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেবেন আন্তর্জাতিক আদালত। এ আদেশ নিয়ে আশাবাদী, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। আইসিজের রায় দেশে ফিরে যাওয়ার পথকে সুগম করবে বলে আশা তাদের। এ আদেশের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় বিশ্ব আদালত সোচ্চার হবে এমনটাই প্রত্যাশা আইন বিশেষজ্ঞদের।
 

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালায় মিয়ানমার। দেশটির সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে নতুন করে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

এই নৃশংসতাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আগামী ২৩ জানুয়ারি রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালত দিতে পারে বলে আশা তাদের। এতে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পথ সুগম হতে পারে বলে মনে করে রোহিঙ্গারা।

এক রোহিঙ্গা বলেন, সারাবিশ্ব মিলে এদের বিচার করবে-এটা আমাদের সবার প্রত্যাশা। 

আরেক রোহিঙ্গা বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে আমাদের জমি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আমরা আশা করি। 

রোহিঙ্গাদের একজন বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, আমরা রাখাইনে নাগরিকত্ব ও অধিকার নিয়ে ফিরতে পারব। 


আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিব উল্লাহ বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরি হবে। এতে মিয়ানমার আমাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।  অন্তর্বর্তী রায় আমাদের পক্ষে যাবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ সাবেক ডীন ড. জাকির হোসেন চৌধুরী মনে করেন, রোহিঙ্গাদের ওপর গত চার দশক ধরেই নির্যাতন ও গণহত্যা চলছে-এটা প্রমাণিত হবে।

এ আইন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, আমরা বিশ্বাস করি। আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকরা এমন একটি রায় দেবেন, যে রায়ের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষা করা হবে। এবং রোহিঙ্গা গণহত্যা সম্পূর্ণ বন্ধ হবে। একই সঙ্গে আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক আদালত রোহিঙ্গাদের পক্ষে সোচ্চার হবে। 

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। গাম্বিয়া রোহিঙ্গাদের রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে ৬টি অন্তর্বর্তী আদেশের আবেদন করেছে আইসিজেতে।

বরগুনার আলো