• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিজ্ঞা পালন করতে গিয়ে ৪৮ বছর বনবাসে ৭১ বছরের বৃদ্ধ!

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০  

জীবনসঙ্গী ছাড়া জীবন কাটানো কষ্টকর। তাইতো প্রতিটি মানুষ বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হন সারাজীবন সুখে থাকার আশায়। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সঙ্গে জীবনের সব সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেন। তবে সবাই যে বিবাহিত জীবনে সুখী হয়, তা কিন্তু নয়। অনেকের জীবনেই বিয়ে সুখ বয়ে আনে না। পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকে।

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। যেখানে স্ত্রীর ওপর রাগ করে ৪৮ বছর বনবাসে আছেন ৭১ বছরের এক বৃদ্ধ! ১৯৬৮ সালে কেন্নাচাপ্পা গৌড়া নামের সেই বৃদ্ধ ঘর ছেড়েছিলেন। এরপর থেকে একা একাকি প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে সুলিয়া এলাকার মারগাঞ্জ অভয়ারণ্যে বাস করছেন তিনি।

সম্প্রতি ভারতের একটি টিভি চ্যানেলের অনুসন্ধানে উঠে আসে ওই ব্যক্তির বনবাস জীবন কাহিনী। এরপর তাকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবর প্রকাশ হতে থাকে।

 

কেন্নাচাপ্পা গৌড়ার বনবাস

কেন্নাচাপ্পা গৌড়ার বনবাস

ভারতের সংবাদমাধ্যম জি নিউজে প্রকাশিত, ২২ বছর বয়সে ১৯৬৭ সালে বিয়ে করেছিলেন কেন্নাচাপ্পা। স্ত্রী উমা ছিলেন অতি রাগী প্রকৃতির নারী। একদিন কথা কাটাকাটির কারণে স্ত্রী পরিবারের অন্য সদস্যদের সামনে তার গায়ে হাত তোলেন। সেদিন রাগে-ক্ষোভে কেন্নাচাপ্পা বনবাসী হন। বাড়ি ছাড়ার সময় তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, যতোদিন পর্যন্ত উমা মারা না যাবেন ততোদিন তিনি বাড়ি ফিরবেন না। এরপর হতে বনে বনেই কাটছে ৭১ বছর বয়েসী এই বৃদ্ধের।

আরো জানা যায়, যে নারীর জন্য ঘর ছেড়েছেন কেন্নাচাপ্পা সেই নারী তার স্ত্রী এখনো জীবিত। কয়েক বছর আগে স্বামীর সন্ধান পেয়েছিলেন তিনি। তবে জানার পরও স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে যাননি তিনি। এমনকি তার একমাত্র ছেলেকেও বাবার কাছে যেতে দেননি উমা।

অন্য একটি টিভি চ্যানেল ইন্ডিয়া টাইমসকে কেন্নাচাপ্পা গৌড়া জানান, নারকেল পাতা দিয়ে বানানো একটি ছোট্ট ঘরে বসবাস করেন তিনি। জঙ্গলে কৃষিকাজ করে উৎপন্ন আলু দিয়ে বানানো খাবার খেয়েই কাটে তার জীবন। এভাবেই এতোটি বছর বেঁচে রয়েছেন কেন্নাচাপ্পা!

বরগুনার আলো