• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক রাইসি-আমির আব্দুল্লাহিয়ান মারা গেছেন: ইরানি সংবাদমাধ্যম সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতে কাজ করছে বিএসটিআই: প্রধানমন্ত্রী চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত

যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে চুপ বিএনপি

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮  

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচার চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকলেও জোটের প্রধান দল বিএনপির ইশতেহারে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণার এক দিন বাদে মঙ্গলবার বিএনপি তাদের দলীয় ইশতেহার প্রকাশ করে। সেখানে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে নির্বাচন করা বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কোন কথা বলেনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ইশতেহার প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দলটি কী কী করবে, তা তুলে ধরা হয় ইশতেহারে।

ড. কামাল হোসেনের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারের ৩৫ দফার মধ্যে ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা’ অংশে বলা হয়েছিল, ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে যুদ্ধাপরাধের অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে নির্বাচন করায় তাদের এ ইশতেহাকে জাতির সাথে ‘তামাশা’ আখ্যায়িত করেছে আওয়ামী লীগ।

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণার একদিন পর বিএনপি যে ইশতেহার দিয়েছে, তাতে জোটের ইশতেহারের সঙ্গে অনেক মিল পাওয়া গেলেও যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচারের কোনো প্রসঙ্গ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০০৮ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ক্ষমতায় যাওয়ার পর যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করে দলটি।

এরই মধ্যে বিচারে বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। আর সাজা হয়েছে আব্দুল আলীমসহ বিএনপির কয়েকজন নেতার। এছাড়া বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষনেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা, মো. কামরুজ্জামান, মীর কাসেম আলীর ফাঁসিও কার্যকর হয়েছে। সাজা হয়েছে গোলাম আযম, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ কয়েকজন নেতার। তবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের শুরু থেকে এর বিরোধীতা করে আসছে বিএনপি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের বেশ কয়েকজনের স্বজনদের ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে প্রার্থী করেছে বিএনপি। একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন হারানোয় দলটির নেতাদের ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করার সুযোগও করে দিয়েছে দলটি। বিএনপি নেতারা এতদিন বলে আসছিলেন, যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তারা ক্ষমতায় গেলে ‘প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের’ বিচার করবেন।

কিন্তু ইশতেহারের যে অংশটি বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সরবরাহ করেছে তাতে কোথাও যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি নেই। বিএনপির ইশতেহারে ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা’ অংশে বলা হয়েছে, সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ‘রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিক’ ঘোষণা করা হবে এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের নামে দুর্নীতির অবসান ঘটানো হবে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে ইশতেহারে। দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিত করে সেসব স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কথাও বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী করে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছিল বিএনপির আমলেই। যা শহীদদের প্রতি ‘চপেটাঘাত’ বলে যুদ্ধাপরাধের এক মামলার রায়ে বলা হয়েছিল।

বরগুনার আলো