• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

ইশতেহারে ঐক্যফ্রন্টের প্রহসন,সর্বস্তরে প্রত্যাখ্যিত

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮  

মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং ভোটের রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান তৈরি করার অপকৌশল স্পষ্টত প্রতয়িমান হয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে। ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার যেন প্রতিশ্রুতির রঙিন বেলুন। যদি তারা ক্ষমতায় আসে, সঙ্গে সঙ্গেই তা চুপসে যাবে। এসব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার কোন বাস্তবতা ও নেই। তারা নির্বাচনে জেতার জন্য কতগুলো অবাস্তব এবং অলৌকিক স্বপ্ন তুলে ধরছে । ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে, এটা বছরের সেরা কৌতুক ও ভূতের মুখে রাম নাম বলে প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের জনগন ।  ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত ইশতেহারে অনেক আশ^াস ও অঙ্গীকারের কথা বলা হলেও এ সকল আশ^াস বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট কোন রোডম্যাপ পরিস্কারভাবে তুলে ধরা হয়নি। যা মানুষের কাছে  গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তারা এমন ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন দুর্নীতির দুই মামলায় দন্ডিত, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া মানিলন্ডারিং মামলায় দন্ডিত, ক্ষমতায় থাকতে তারা হাওয়া ভবন করে দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে। তাদের ইশতেহারে যদি বলা হয়-দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কথা, তা হাস্যকর ছাড়া আর কি হতে পারে? বাংলাদেশের মানুষ কোনো অবস্থাতেই এসব বিশ্বাস করে না জাতীয় ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করা হয়েছে। দেশবাসী এর সমালোচনায় বলেছে-ঐক্যফ্রন্ট যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহন করার সুযোগ করে দিয়েছে। এ ঐক্যফ্রন্ট যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চালু রাখবে-এটি কোনো দিনই দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। এক্ষেত্রে দেখা যায় , বাংলাদেশের মানুষকে তারা স্পষ্টতই ধোঁকা দিতে চায়। কিন্তু এই বিজয়ের মাসে তারা বাঙালিদের ধোঁকা দিতে পারবে না। তরুণ সমাজ তার পাল্টা জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে ঘরে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। একাত্তরে বাঙালি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে, তখনো  জাতিকে  বিভ্রান্ত করার  লোকের অভাব ছিল না।
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে বলা হয়েছে, সরকারী চাকুরির ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে কোন বয়সসীমা থাকবেনা। এ ধরনের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন যোগ্য নয় এবং তা দেশের বেকার সমস্যাকে আরো প্রকট করে তুলবে। তারা আরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৩০ বছরের বেশি বয়সী বেকারদের ভাতা প্রদান করবে। এই ধরনের গল্পে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম আস্থা রাখে না। তাদের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার প্রতিশ্রুতিকেও সবাই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছে যে ১০ বছরের স্বেচ্ছাচারিতাকে নাকি পরিবর্তন করবে। তাহলে পরিবর্তন কি জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, বাংলা ভাই সৃষ্টি, মানি লন্ডারিং, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশে আবার সন্ত্রাস, আবার সেই ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা, আবার নির্বাচনের নামে প্রহসন । ঐক্যফ্রন্টের সরকার প্রধান কে হবে? এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী সে হবে? না, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানের হত্যাকারী, সাজা পাওয়া আসামি, মি:  টেনপারসেন্ট সে হবে? বা যাদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাজা দিয়েছে, তাদের কেউ হবে? ঐক্যফ্রন্ট সেটা স্পষ্ট করে তারা জানায় নি ইশতেহারে। অতএব ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারকে জাতি প্রহশনের ইশতিহার বলে ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে ।

বরগুনার আলো