• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

অহংকার ডেকে আনে ধ্বংস

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 

অহংকার পতনের মূল। অহংকার ধ্বংস ডেকে আনে। অতীতে যারাই আল্লাহর জমিনের ওপর দম্ভ করে চলাফেরা করেছে, তাদের সবাই ধ্বংস হয়েছে। অহংকারী ব্যক্তির নেক আমল থাকা সত্ত্বেও জান্নাতের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অহংকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে গেলে বাধাপ্রাপ্ত হবে। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে ‘অহংকারীকে বলা হবে, তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ করো সেখানে চিরকাল অবস্থানের জন্য, কতই না নিকৃষ্ট অহংকারীদের আবাসস্থল।’ (সুরা জুমার :৭২)

অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘আর আমি কত জনপদকে ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা তাদের জীবনোপকরণ নিয়ে দম্ভ-অহংকার করত! এগুলো তো তাদের বাসস্থান। তাদের পরে সামান্যই বসবাস করা হয়েছে। আর আমিই চূড়ান্ত মালিকানার ওয়ারিশ।’ (সুরা কাসাস :৫৮)

অহংকার হলো কোনো কিছুর বড়াই বা গৌরব করা। সামাজিক প্রভাব-প্রতিপত্তি, বংশমর্যাদা ও ধনসম্পদের গর্বকারী, অহংকারী, দাম্ভিক, হিংসুক ব্যক্তিকে আল্লাহ অপছন্দ করেন। আর যাদের আল্লাহ অপছন্দ করবেন, তাদের জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে। ইরশাদ হয়েছে- ‘আর তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক কোরো না। আর সদ্ব্যবহার করো মা-বাবার সঙ্গে, নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে, এতিম-মিসকিন, নিকটাত্মীয় প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসিদের সঙ্গে। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা পছন্দ করেন না দাম্ভিক ও অহংকারীকে।’ (সুরা নিসা :৩৬)

সুরা লোকমানের ১৮-১৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর তুমি মানুষকে অবজ্ঞা এবং পৃথিবীতে দম্ভভরে চলাফেরা কোরো না; নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক, অহংকারীকে পছন্দ করেন না। আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলন্বন করো, তোমার আওয়াজ নিচু করো; নিশ্চয়ই সবচেয়ে নিকৃষ্ট আওয়াজ হলো গাধার আওয়াজ।’

অহংকারীদের আল্লাহ তায়ালা ইহকাল ও পরকালে লাঞ্ছিত করবেন। পরকালে অহংকারীদের আবাসস্থল হবে জাহান্নাম। হযরত ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন- ‘যে ব্যক্তি অহংকার করে আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।’ ইবনে শুয়াইব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন- ‘কিয়ামতের দিন অহংকারীদের ক্ষুদ্র পিপীলিকার মতো জমা করা হবে।’ (তিরমিজি-মেশকাত, পৃ. নং-৪৩৩) ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন- ‘যার অন্তরে সামান্য পরিমাণ অহংকার থাকবে। সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (সহিহ মুসলিম :১৬৭)

বরগুনার আলো