• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

‘জাজাকাল্লাহ’ কোথায় বলতে হয়

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২০  

কৃতজ্ঞতা মুমিনের ভূষণ। কেউ উপকার করলে তার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা ইসলামের শিক্ষা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।’ অথবা ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতিও অকৃতজ্ঞ।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮১১)

আর মহান আল্লাহ অকৃতজ্ঞদের পছন্দ করেন না। এ কারণেই রাসুল (সা.) তাঁর প্রিয় উম্মতদের কৃতজ্ঞতা শিক্ষা দিয়েছেন। কারো দ্বারা উপকৃত হলে তার উপকার করার প্রতি জোর তাগিদ দিয়েছেন। কমপক্ষে উপকারীর জন্য দোয়া করার শিক্ষা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তোমাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করে তোমরা তার উত্তম প্রতিদান দাও। প্রতিদান দেওয়ার মতো কিছু না পেলে তার জন্য দোয়া করতে থাকো, যতক্ষণ না তোমরা অনুধাবন করতে পারো যে তোমরা তার প্রতিদান দিতে পেরেছ। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৬৭২)

পবিত্র কোরআনেও উত্তম প্রতিদান দেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘উত্তম কাজের (ইহসানের) প্রতিদান উত্তম পুরস্কার (ইহসান) ছাড়া কী হতে পারে?’ (সুরা : আর রহমান, আয়াত : ৬০)

অতএব কারো দ্বারা উপকৃত হলে আমাদের উচিত উপকারকারীকে পুরস্কৃত করা, তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা। তার উপকার করার সামর্থ্য না থাকলে কমপক্ষে তার জন্য দোয়া করা। উসামা ইবনে জায়দ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কাউকে অনুগ্রহ করা হলে সে যদি অনুগ্রহকারীকে বলে—‘জাজাকাল্লাহু খাইরান’ (আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন), তাহলে সে উপযুক্ত ও পরিপূর্ণ প্রশংসা করল। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৩৫)

আমাদের সমাজে উপকারকারীকে ধন্যবাদ জানানোর প্রথা আছে। কেউ বাংলায় ‘ধন্যবাদ’ বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, কেউ ইংরেজিতে ‘থ্যাংক ইউ’ বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হয়ে গেলেও উপকারকারীর জন্য দোয়া হয় না। অথচ উপকারকারীর জন্য রাসুল (সা.)-এর ভাষায় দোয়া করাই বেশি ফজিলতপূর্ণ। এর বরকতে মহান আল্লাহ যদি নিজ হাতে তাকে পুরস্কৃত করেন, তবে এর চেয়ে বড় প্রতিদান আর কী হতে পারে? তাই আমরা কারো দ্বারা উপকৃত হলে, বিপদ ও সংকটের সময় কাউকে কাছে পেলে তার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তার জন্য রাসুল (সা.)-এর ভাষায় ‘জাজাকাল্লাহ’ বলে দোয়া করা উচিত। এতে একদিকে তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় হবে, অন্যদিকে নিজেদের মধ্যে আন্তরিকতাও বাড়বে। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর বিধান মেনে চলার তাওফিক দান করুন।

বরগুনার আলো