• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

যে অপরাধের সাজা ১০ গুণেরও বেশি

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২০  

নেক আমল বা ইবাদতের ক্ষেত্রে বান্দার আমলনামায় ভালো কাজের বিপরীতে ১০ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত সাওয়াব বাড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা এসেছে হাদিসে। পক্ষান্তরে একটি অপরাধের বিনিময়ে একটি গোনাহের কথা সবাই জানে। কিন্তু এমন একটি অপরাধ রয়েছে, যার শাস্তি হবে ১০ গুণ। তাহলে কী সেই অন্যায় বা অপরাধমূলক কাজ? এ সম্পর্কে হাদিসের বর্ণনাই বা কী?

এ কথা সবার জানা যে, ভালো কাজের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য সাওয়াব বাড়িয়ে দেবেন। তিনি বান্দার জন্য আরহামুর রাহিমিন- এটাই তার প্রমাণ। কিন্তু অপরাধের ক্ষেত্রে এমন একটি মন্দ কাজ আছে, যাতে একটি মন্দ কাজের সাজা অন্য ১০টি মন্দ কাজের সাজা বা শাস্তির সমান। হাদিসে এসেছে-

হজরত মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবায়ে কেরামকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, কারো সঙ্গে জেনা বা ব্যভিচার করাকে তোমরা কীভাবে দেখ? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! এটা তো হারাম; আল্লাহ তাআলা হারাম করেছেন। অপরাধসমূহের মধ্যে বড় মারাত্মক অন্যায় কাজ।

তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, প্রতিবেশী কোনো নারীর সঙ্গে জেনা বা ব্যভিচার করা অন্য যে কোনো ১০ জন নারীর সঙ্গে জেনা বা ব্যভিচার করার চেয়েও জঘন্য অপরাধ। তিনি আরও বলেছেন- প্রতিবেশীর কোনো কিছু চুরি করা, অন্য ১০ ঘরে চুরি করার চেয়েও মারাত্মক অপরাধ।’ (মুসনাদে আহামদ)

এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিবেশীর সঙ্গে অপরাধ করলে অন্য কোথাও সম অপরাধের ১০ গুণ বেশি অপরাধের কথা উল্লেখ করেছেন। এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ১০ গুণ শাস্তি ভোগ করবে।

প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদিসে প্রতিবেশীর সঙ্গে দুটি অপরাধের (ব্যভিচার ও চুরি) কথা উল্লেখ করেন। এভাবে প্রতিবেশীর সঙ্গে যে কোনো অপরাধই অন্যদের সঙ্গে করা অপরাধের চেয়ে ১০ গুণ বেশি শাস্তি ভোগ করতে হবে।

মনে রাখা জরুরি
প্রতিবেশী স্থায়ী হোক কিংবা অস্থায়ী হোক; নিজ বাড়ির পাশের প্রতিবেশী হোক কিংবা ভাড়া বাড়ির পাশের প্রতিবেশী হোক; কোনোভাবেই প্রতিবেশীর সঙ্গে অন্যায় অপরাধ করা যাবে না। প্রতিবেশীর সঙ্গে করা যে কোনো অপরাধের শাস্তি ১০ গুণ ভোগ করতে হবে।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের প্রতি হাদিসের আহ্বান ও শিক্ষা হলো- প্রতিবেশী সঙ্গে শুধু জেনা-ব্যভিচার বা চুরি-ডাকাতিই নয় বরং কোনো ধরনের অপরাধ বা অন্যায়মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত না হওয়া। কেননা প্রতিবেশীর সঙ্গে অন্যায় করার গোনাহের শাস্তি হবে ১০ গুণ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রতিবেশীর সঙ্গে খারাপ আচরণ বা অপরাধ করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো আচরণ করার তাওফিক দান করুন। ভালো আচরণ সব সময় সব স্থানে অব্যাহত রাখার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বরগুনার আলো