মানুষ আল্লাহর প্রিয় ও অপ্রিয় হয় কেন?

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পূর্বশর্ত হলো তাঁকে ভালোবাসা। আর আল্লাহর অবাধ্য কাজ করলেই বান্দা তার অপ্রিয় হয়ে যায়। তাই যে আল্লাহকে ভালোবাসে আল্লাহ তাআলাও তাকে ভালোবাসেন। আর যে বান্দা আল্লাহর অপ্রিয় হয়ে যায়, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ঘৃণা পোষণ করে। আল্লাহর ভালোবাসার প্রভাব যেমন অকৃত্রিম হয় আবার তার ঘৃণার প্রভাবও কঠিন আকারে বিস্তৃতি লাভ করে। দুনিয়াতে সে হয় অপমানিত ও লাঞ্ছিত।
আল্লাহ তাআলা কোরআন-সুন্নার একাধিক ঘোষণায়ে এ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভালোবাসে আল্লাহ তাআলাও তাকে ভালোবাসে। নবিজীর নির্দেশনা থেকে জানা যায়, আল্লাহর ভালোবাসার মাধ্যমেই মানুষ দুনিয়াতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আরোহন করে। আর তার বিরাগভাজন হলে দুনিয়াতে সে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়।
তাই সব সময় আল্লাহ তাআলাকে ভালোবাসার চেষ্টায় নিজেদের নিয়োজিত রাখা জরুরি। কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে আল্লাহ তাআলাকে ভালোবাসার পাশাপাশি আল্লাহর ভালোবাসা পেতে তারই দিকনির্দেশনা মেনে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা তাঁর নবিকে উদ্দেশ্য করে কোরআনে পাকে ঘোষণা করেন-
قُلۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰهَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡکُمُ اللّٰهُ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
‘(হে রাসুল!) আপনি বলুন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও; তাহলে আমার (প্রিয়নবির) অনুসরণ কর। ফলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেন। মূলত আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৩১)
এ ঘোষণা প্রমাণ করে যে, মৌখিক দাবির মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারবে না। আল্লাহ তাআলার প্রিয় হতে পারবে না। এর জন্য প্রয়োজন হলো- অবশ্যিকভাবে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করা। তবেই বান্দা মহান রবের প্রিয় হতে পারবে। ভালোবাসা পেয়ে ধন্য হবে।
আল্লাহ যে বান্দাকে ভালোবাসেন সে সংবাদ তিনি ফেরেশতাদের মাধ্যমে সারা জাহানে জানিয়ে দেন। দুনিয়াতে তাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। এরপর আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। যখন কোনো মানুষ আল্লাহর ভালোবাস পেয়ে ক্ষমাপ্রাপ্ত হন; তখনই মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি পেয়ে ধন্য হন।
মানুষকে ভালোবাসা ও ঘৃণার নির্দেশ
আল্লাহর ভালোবাসায় মানুষ দুনিয়াতে জনপ্রিয়তা লাভ করে। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে সে বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ যখন কোনো ব্যক্তিকে ভালোবাসেন, তখন জিবরিলকে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসি, সুতরাং তুমিও তাকে ভালোবাস।
এরপর জিবরিল আলাইহিস সালাম তাকে ভালোবাসতে থাকেন। তারপর (জিবরিল) আকাশবাসীকে (ফেরেশতাদের) বলে দেন যে, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসেন। অতএব তোমরা তাকে ভালোবাস। তখন আকাশের সকল ফেরেশতা তাকে ভালোবাসতে থাকেন। অতঃপর সে ব্যক্তির জন্য জমিনেও জনপ্রিয়তা দান করা হয়।
আর আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ঘৃণা করেন তখন জিবরিলকে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ঘৃণা করি, তুমিও তাকে ঘৃণা কর। তখন জিবরিলও তাকে ঘৃণা করেন। এরপর আকাশবাসীকে বলে দেন যে, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন, তোমরাও তাকে ঘৃণা কর। তখন আকাশবাসীরা তাকে ঘৃণা করতে থাকে। অতঃপর তার জন্য জমিনেও মানুষের মনে ঘৃণা সৃষ্টি হয়।’ (মুসলিম, মিশকাত)
সুতরাং হাদিসের এ ঘোষণা থেকে বুঝা যায়, আল্লাহ যাকে প্রিয় করে নেন, আসমান ও জমিনবাসী তাকে প্রিয় করে নেন। আর যাকে কর্মের কারণে ঘৃণা করেন, আসমান ও জমিনবাসীর কাছেও অপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে যায়।
প্রশ্ন আসে! মানুষকে ভালোবাসার নিদর্শন কী? মহান আল্লাহ তাআলাকে মানুষ কি পরিমাণ ভালোবাসেন?
মহান আল্লাহ তিনি; যিনি মানুষকে কোনো কিছু চাওয়ার আগে অসংখ্য কল্যাণকর জিনিস দান করেছেন; যা আল্লাহ ছাড়া দুনিয়ার কেউ তা কাউকে দান করতে পারে না।
তিনিই তো সেই আল্লাহ; যিনি মানুষকে সুনিপুন কারিগরি শৈলিতে সৃষ্টি করেছেন। মায়ের পেটে অন্ধকারের মধ্যে সুরক্ষিত রেখেছেন এবং সুন্দর আকার দান করেছেন।
বুঝার জন্য দিয়েছেন উন্নত মেমোরি তথা মস্তিষ্ক। পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখতে দিয়েছে দু’টি চোখ। শোনার জন্য দিয়েছেন দু’টি কান। কথা বলার জন্য দিয়েছেন জবান। খাওয়ার জন্য দিয়েছেন দাঁত। স্বাদ গ্রহণের জন্য দিয়েছেন অটোমেটিক মেশিন জিহ্বা। নিশ্বাস গ্রহণের জন্য দিয়েছেন অতন্দ্র প্রহরী নাক।
চলাচলের জন্য দিয়েছেন সচল মেশিন দু’টি পা। আর অনবরত হালাল রিজিক লাভে দিয়েছেন দু’টি হাত। অবশেষে মানুষকে করেছেন সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত মানুষ। এ সবাই বান্দাকে মহান আল্লাহ তাআলার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
সর্বোপরি কথা হলো
যারা এ সব নেয়ামত লাভের পরও মহান আল্লাহকে ভালোবাসতে পারেনি তাদের জন্য রয়েছে অশুভ পরিণতি। আল্লাহ তাআলা সে কথাও কোরআনে পাকে ঘোষণা করেছেন-
وَ لَقَدۡ ذَرَاۡنَا لِجَهَنَّمَ کَثِیۡرًا مِّنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ ۫ۖ لَهُمۡ قُلُوۡبٌ لَّا یَفۡقَهُوۡنَ بِهَا ۫ وَ لَهُمۡ اَعۡیُنٌ لَّا یُبۡصِرُوۡنَ بِهَا ۫ وَ لَهُمۡ اٰذَانٌ لَّا یَسۡمَعُوۡنَ بِهَا ؕ اُولٰٓئِکَ کَالۡاَنۡعَامِ بَلۡ هُمۡ اَضَلُّ ؕ اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡغٰفِلُوۡنَ
‘আর আমি তো বহু জ্বিন ও মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি; যাদের কলব বা অন্তর আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না; তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা দেখে না; তাদের কান আছে; এ কান দিয়ে তারা শোনে না। এরা চার পা বিশিষ্ট জন্তুর মতো; বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট বিভ্রান্ত। তারাই হলো উদাসিন।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ১৭৯)
সুতরাং মানুষের উচিত, আল্লাহ তাআলার দান করা জ্ঞান ও শারীরিক অঙ্গ দ্বারা নিজেদেরকে নিয়ে চিন্তা গবেষণা করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর কুদরত ও নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা। আল্লাহ তাআলার বিধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তার প্রিয় হওয়ার চেষ্টা করা। তার কাছে অপ্রিয় হওয়া থেকে বেঁচে থাকা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিধি-বিধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তাদের প্রিয় হওয়ার তাওফিক দান করুন। তাদের অপ্রিয় হতে বেঁচে থাকতে যথাযথ আমল-ইবাদত করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও আখেরাতে নিজেদেরকে আল্লাহ এবং তার রাসুলের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বরগুনার আলো- জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা, মোনাজাত
- ঢাবির ‘ক’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
- মুকুল বোসের প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা
- বগি রেখেই স্টেশন ছাড়ল ট্রেন!
- বাউফলে নির্মাণ হবে নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু
- হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে ২ জেলের মৃত্যু
- রফিকুল আমিনের ২০০ কোটি টাকার জরিমানা স্থগিত: হাইকোর্ট
- ঢাকা সিলেট সফরে আসছেন প্রিন্স চার্লস
- পদ্মা সেতুতে সন্তানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সেলফি
- লিসিচানস্ক থেকে পিছু হটল ইউক্রেন, গুরুত্বপূর্ণ জয় রাশিয়ার
- কোনো অ্যাপ ছাড়াই স্মার্টফোনে বাংলা টাইপ করার উপায়
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পুলিশের এএসআই আহত
- সৌদি পৌঁছেছেন ৫৬ হাজার ৯৫২ হজযাত্রী
- দোকানে বন্দুক রেখে মালিককে ফাঁসাতে গিয়ে দুই কর্মচারী ধরা
- ৩ দিনের মধ্যে বৃষ্টি বাড়তে পারে
- সাকিবের বিশ্বরেকর্ড
- ‘পদ্মা সেতু ও রপ্তানি আয় জাতির সক্ষমতা প্রমাণ করছে’
- জুলাইয়ে হচ্ছে না এসএসসি পরীক্ষা
- সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি
- আফগানিস্তানে খাবার, ওষুধ, কম্বল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ
- পদ্মাসেতু হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছেন পেয়ারা চাষিরা
- গরুর ট্রাকে চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না: আইজিপি
- মঙ্গলবার শপথ নেবেন কুসিক মেয়র রিফাত
- ইউরোপসহ সারাবিশ্বে আম দ্রুত বাজারজাত করতে পারবো: কৃষিমন্ত্রী
- সেনা কল্যাণ সংস্থার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
- দেশে নাক দিয়ে নেওয়ার টিকা ট্রায়ালের অনুমোদন
- প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ পদক্ষেপে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে
- কোরবানির পশু পরিবহনে ৬ জুলাই থেকে বিশেষ ট্রেন
- লোডশেডিংয়ের কারণ জানালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
- বিমানবন্দরে লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা পীড়াদায়ক: মোমেন
- সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন হাসপাতালে
- ছয় দিনে সৌদি পৌঁছেছেন ৪ হাজার ২২ হজযাত্রী
- হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়
- শেখ হাসিনার মুক্তিতেই ফিরেছিল গণতন্ত্র
- ব্রেইন ডেথ এক রোগী থেকে ৮ প্রাণ বাঁচানো সম্ভব: বিএসএমএমইউ
- জাল ভোট-গোলযোগের দায়ে ৬ জনের জেল, আটক ৫
- দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে হবে, প্রবাসীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সবার জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে ২৬ জুন
- ভয় নেই, আমরা আপনাদের পাশে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এক ডলারে ৯১ টাকা ৯৫ পয়সা নিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- সব বিভাগেই মেরিন অ্যাকাডেমি হবে : প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ সফরে কাতারের সশস্ত্র বাহিনী প্রধান
- স্বপ্নজয়ের পর অপার সম্ভাবনার হাতছানি
- পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলা যুবকের মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে
- আটকে পড়া ঢাবি শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী
- পদ্মা সেতুর স্মারক নোট ও ডাকটিকিট উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- আখের রস পানের আগে ৫টি বিষয় জানা উচিত
- ২৫ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে
- ‘পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে’
- পাকা আমের মধুর রসে
আমের বরফি