• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ওটিপি শেয়ার না করলেও চুরি হতে পারে অ্যাকাউন্টের টাকা

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২১  

করোনাকালে লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেট ব্যাংকিং। খুব সহজেই নিজের মোবাইল থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন সম্ভব। এসব লেনদেনের ক্ষেত্রে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) মাধ্যমে অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু ওটিপি শেয়ার না করলেই কি অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ নিরাপদ এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে গ্রাহকরা সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার মাধ্যমে।

আধুনিক এই সময়ে পকেটে নগদ টাকার চাপ কমেছে। মানিব্যাগে টাকার বদলে জায়গা করে নিচ্ছে ব্যাংকের কার্ড। কিন্তু সুবিধার উল্টো পিঠ হচ্ছে অসুবিধা। খুব সহজেই ওটিপি শেয়ার করা ছাড়াই একজন গ্রাহক প্রতারণার শিকার হতে পারে।

একটি দৃশ্যকল্প কল্পনা করলেই ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে যায়। আপনি হয়তো কোনও রেস্তোরাঁ বা পেট্রল পাম্পে গেছেন। সেখানে কাউন্টারের ব্যক্তির হাতে তুলে দিয়েছেন নিজের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড। ওই লোকটি কিন্তু চাইলেই নিজের মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে চোখের নিমেষে আপনার কার্ডের উভয় পিঠের ছবি তুলে নিতে পারে। লোকটি যদি কোনও অফশোর ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কার্ডটি ব্যবহার করে, তাহলে কোনও ওটিপি কিংবা পিনের প্রয়োজনই পড়বে না। আপনার কার্ড নম্বর ব্যবহার করেই সে আপনার অজান্তেই হাতিয়ে নিতে পারবে আপনার কষ্টার্জিত অর্থ।

আরেকটি নতুন ফন্দি হচ্ছে প্রতারকরা কিউআর কোড স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে আপনার অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে। তারপরই ফোন চলে আসছে আপনার কাছে। কাঁচুমাচু গলা করে একজন আপনাকে জানাবে যে ভুলবশত আপনার অ্যাকাউন্টে সে টাকা পাঠিয়ে ফেলেছে, আর এই টাকা যদি এখুনি তাকে ফেরত না পাঠানো হয় তবে অফিসে অডিটর হিসাবের গোলমাল পাবে এবং ফলে তার অ্যাকাউন্ট্যান্টের চাকরিটি যাবে। আপনাকে সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সে কাকুতি-মিনতি করবে। আপনি দয়াপরবশ হয়ে রাজি হয়ে গেলেই সে কাজটা করার জন্য আপনাকে একটি কিউ-আর কোড স্ক্যান করতে বলবে। আর একবার এখানে দয়া-দাক্ষিণ্য দেখিয়ে স্ক্যান করলেই অ্যাকাউন্ট থেকে হাওয়া হয়ে যাবে টাকা।

মনে রাখতে হবে প্রযুক্তিগত সুবিধার সঙ্গে সঙ্গে হ্যাকাররা নিজেদেরকেও অভিনব করে তুলছে। তবে কিছু অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করে নিজের অর্থকে প্রতারণার হাত থেকে নিরাপদ রাখা সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে যারা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের উচিত মোবাইলে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা। বাড়তি সতর্কতার জন্য সেভিংস অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের টাকা না রেখে ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা অনেকখানি নিরাপদ। এ ছাড়া হোয়াটস অ্যাপ কিংবা এসএমএসে আসা কোনো লিংকে না জেনেবুঝে ক্লিক করা যাবে না। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে। নিজের ক্রেডিট কার্ডের নম্বর শেয়ার করার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতাই পারে প্রতারণা থেকে গ্রাহকের টাকা নিরাপদ রাখতে।

বরগুনার আলো