• শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

  • || ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরগুনার আলো
ব্রেকিং:
ড. ওয়াজেদ মিয়া অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’

মহাকাশে পিৎজা টমেটো

বরগুনার আলো

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২১  

এবার মহাকাশে পাঠানো হলো পিৎজা। গত মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) মার্কিন মহাকাশ কোম্পানি নর্থরোপ গ্রুম্যান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মোট তিন হাজার ৭০০ কিলোগ্রাম পণ্য পাঠিয়েছে। এদের মধ্যে পিৎজাসহ ছিল টমেটো ও আপেলও। এ নিয়ে নাসার হয়ে ১৬ বারের মতো পণ্য পাঠাল নর্থরোপ।

মহাকাশ নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনার কমতি নেই! সেখানে যেতে চলে কতই না পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ কোম্পানি নর্থরোপ গ্রুম্যান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মোট তিন হাজার ৭০০ কিলোগ্রাম পণ্য পাঠিয়েছে। এগুলোর মধ্যে পিৎজাও পাঠানো হয়েছে মহাকাশে। সঙ্গে ছিল টমেটো, আপেলও।

কোম্পানিটির সিগনাস কার্গো রকেটে করে এসব পণ্য পাঠানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এ নিয়ে ১৬ বারের মতো নাসার হয়ে মহাকাশে পণ্য পাঠাল নর্থরোপ গ্রুম্যান। এর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় চালান। মহাকাশ স্টেশনে থাকা আমেরিকা, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সাত মহাকাশচারীর জন্যই মূলত পাঠানো হয়েছে পিৎজা, আপেল আর টমেটো।

নাসার আরেক পরিবহন রকেট স্পেসএক্স আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে গ্রহাণু বেনু পরবর্তী দুই শতাব্দী পরে কোথায় গিয়ে অবস্থান করবে, তা ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আর কোনো সন্দেহ থাকল না। এই ভালো খবরটির পাশাপাশি খারাপ সংবাদটি হলো—উল্কাপিণ্ডের পৃথিবীতে আঘাত হানার আশঙ্কা আগে যা করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি।

আবার আগামী শতাব্দীতে বেনু পৃথিবীতে হামলে পড়ার আশঙ্কা একেবারেই কম বলে বুধবার (১১ আগস্ট) জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের বিজ্ঞানী ডেভিড ফার্নোচিয়া বলেন, এটি নিয়ে আমাদের খুব একটা হতাশ হওয়ার প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, আগামী এক কিংবা দু-শতাব্দীতে বেনুর আঘাত হানার আশঙ্কা দুই হাজার ৭০০-এর মধ্যে এক শতাংশ কিংবা এক হাজার ৭৫০-এর মধ্যে এক শতাংশ হতে পারে। নাসার ওসিরিস-রেক্স মহাকাশযানের বদৌলতে বেনুর গতিপথ নিয়ে বিজ্ঞানীদের অনেক ভালো ধারণা রয়েছে।

এই বিজ্ঞানীরা বলেন, আমি মনে করি, সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

বেনু হচ্ছে এপোলো গ্রুপের একটি গ্রহাণু। নাসার লিনিয়ার প্রজেক্টের মাধ্যমে এটি আবিষ্কৃত হয়। পৃথিবীর সঙ্গে এর সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। বেনু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য নাসা ওসিরিস রেক্স মিশন পরিচালনা করেছে, যা গ্রহাণুটির গঠনগত প্রকৃতি ও আকৃতি সম্পর্কে সুষ্ঠু ধারণা দিতে পারবে।

গ্রহাণু বেনুর ঘূর্ণায়মান ধ্বংসস্তূপ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরোক্ষ গতিপথে ফিরে আসছে ওসিরিস-রেক্স। সৌরজগতের পরিচিত বিপজ্জনক গ্রহাণুর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুটির একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় বেনুকে। আরও দুবছর পর ২০২৩ সালে এই নমুনা পৃথিবীতে এসে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৮ সালে ওসিরিস-রেক্স বেনুতে আসার আগে গ্রহাণুর ভেতরকার বিষয়াদি নিয়ে নিখাদ ধারণা দিয়েছে বিভিন্ন দূরবীক্ষণ যন্ত্র। গ্রহাণুর ব্যাস এক মাইলের এক-তৃতীয়াংশ হতে পারে। ভবিষ্যতে গ্রহাণুর প্রদক্ষিণ পথ নিয়ে বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যদ্বাণীর সহায়তায় গত আড়াই বছরে যথেষ্ট উপাত্ত সংগ্রহ করেছে এই মহাকাশযান।

এ নিয়ে গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে ইকারোস সাময়িকীতে। এতে গ্রহাণুর গতিপথ নিয়ে মানচিত্র তৈরি করতে সহায়তা করবে এসব তথ্য-উপাত্ত। ভবিষ্যতে কখন আরেকটি বিপজ্জনক উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে, তা নিয়েও ভালো ধারণা পাবেন বিজ্ঞানীরা।

ওসিরিস-রেক্স ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে বেনুর পৃথিবীতে আঘাত হানা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেছেন বিজ্ঞানীরা। বলা হয়, ২২০০ সালে এটির আঘাত হানার শঙ্কা দুই হাজার ৭০০-এর মধ্যে এক শতাংশ। আর ২৩০০ সালে সেই আশঙ্কা এক হাজার ৭৫০-এর মধ্যে এক শতাংশ। আর এককভাবে সবচেয়ে ভয়ের দিনটি হচ্ছে ২১৮২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর।

২১৩৫ সালে বেনু পৃথিবীতে সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসতে পারে। তখন এটি চাঁদের অর্ধেক দূরত্ব দিয়ে অতিক্রম  করবে। নাসার গ্রহ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা লিন্ডলি জনসন বলেন, বেনু যদি পৃথিবীতে আঘাত হেনেই বসে, তবে প্রাণীজগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে না। বরং গ্রহাণুর চেয়ে ১০ থেকে ২০ গুণ বড় জ্বালামুখ তৈরি করতে পারবে।

বরগুনার আলো